হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)। বিষয় : মোমিনের চাহিদা পূরণ না করার নিন্দাবাদ।
শেখ ইবনে ফাহাদ হিল্লী আবান ইবনে তাগলিব এর মাধ্যমে ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন :
اَیُّمَا مُوْمِنٍ سَاَلَ اَخَاهُ الْمُوْمِنُ حَاجَةً وَهُوَ یَقْدِرُ عَلٰی قَضَائِهَا فَرَدَّه عَنْهَا سَلَّطَ اللّٰهُ عَلَیْهِ شُجَاعًا فِیْ قَبْرِه یَنْهَشُ مِنْ اَصَابِعِه
"যখন কোন ব্যক্তি নিজের মোমিন ভাইকে কোনো চাহিদার কথা বলে এবং সে সামর্থ্য রাখার পরেও তা করে না, তখন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার কবরে 'শুজা' নামক বড় সাপ নিয়োগ করবেন, সে সবসময় তার আঙ্গুলে কামড়তে থাকবে।"
সূত্র, ইদ্দাতুদ দা'য়ী পৃষ্ঠা ১৯০..
আরেকটি রেওয়ায়েতে উল্লেখ করা হয়েছে,
"সেই সাপ কিয়ামত পর্যন্ত তার আঙুলে কামড়াতে থাকবে। (অর্থাৎ, যতক্ষণ না তাকে ক্ষমা করা হবে বা আযাবে নিক্ষেপ করা পর্যন্ত)।"
শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেছেন যে, ঈমানদার ভাইদের চাহিদা পূর্ণ করার ব্যাপারে অনেক রেওয়ায়েত বর্ণিত হয়েছে। যেমন ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে :
"যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের প্রত্যাশা পূরণ করে, মহান আল্লাহ তাআলা সত্তর হাজার ফেরেশতা দিয়ে তার উপর ছায়া করেন এবং প্রত্যাশা পূরণ করার প্রতিটি পদক্ষেপের (কদম) জন্য, একটি পুণ্য লেখা হবে, একটি মন্দ কাজ মুছে ফেলা হবে এবং তার স্থান এক শ্রেণী উচ্চ করা হবে। আর যখন সে তার কাজ শেষ করবে, তখন তার জন্য হজ্জ ও ওমরার সওয়াব লেখা হবে।"
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বর্ণনা করেছেন :
"একজন মোমিন ভাইয়ের চাহিদা পূরণ করা হজ্জ, হজ্জ এবং হজ্জের ন্যায়। এমনকি উপরোক্ত বাক্যে তিনি দশবার পুনরাবৃত্তি করেন।"
রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে,
"যখন বনী ইসরাইল এ একজন উপাসক (আবেদ) উপাসনার স্থানে উপনীত হতেন, তখন তিনি সমস্ত এবাদতের মাধ্যমে মানুষের চাহিদা পূরণ করার পথ অবলম্বন করতেন।"
আর শাজান ইবনে জিব্রাইল কুম্মী হুজুর (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, শবে মিরাজ এ মহানবী (সাঃ) জান্নাতের দ্বিতীয় দরজায় নিম্নলিখিত শব্দগুলো লিখিত দেখেন।
"সবকিছুর উৎস (অসিলা) আছে এবং পরকালে সুখের উৎস হল চারটি জিনিস :
এতিমদের মাথা স্পর্শ করা (অর্থাৎ তাদের সাহায্য করা), বিধবাদের প্রতি সদয় হওয়া, মোমিনদের চাহিদা পূরণ করা এবং দরিদ্র ও অভাবীদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং তাদের সেবা যত্ন করা।"
অতএব, আলেমগণ, মুরুব্বী ও মোমিনদের চাহিদা পূরণের জন্য খুব যত্ন নিতেন। আর এই বিষয় সম্পর্কিত অনেক ঘটনা বর্ণিত হয়েছে যা এখানে উল্লেখ করা দীর্ঘতর হবে।
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।
অনুবাদ: হজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)