۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
News ID: 372975
3 اکتوبر 2021 - 00:17
পবিত্র চেহলুম ও চল্লিশা
পবিত্র চেহলুম ও চল্লিশা

হাওজা / হলদিয়া কুমারপুর গ্রামে পবিত্র চেহলুম ও চল্লিশা'র গুরুত্বের উপরে প্রাসঙ্গিক আলোচনা।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া একটি বিখ্যাত নাম ৷ উক্ত হলদিয়ার সন্নিকটে কুমারপুর গ্রাম ৷

সেই গ্রামে গড়ে উঠেছে জাফরি ফেকা মতে জামা মসজিদ ৷

মওলানা মুনির আব্বাস নাজাফি সাহেব (যিনি ইরাক থেকে পড়াশোনা করেছেন) উক্ত মসজিদে জুম্মার খতিব ৷

তার নেতৃত্বে বেশকিছু যুবক দ্বারা গঠিত "পাঁচতারা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি",  উক্ত সোসাইটির উদ্যোগে হতে চলেছে পবিত্র চেহলুম, যাকে আরবীতে বলে আরবাঈন, আর বাংলাতে বলা হয় চল্লিশা ৷

বিশ্বের সকল মুমিনগণ এই চল্লিশা পালন করে থাকেন ৷ কেউ আগে পালন করেন বা কেউ পরে পালন করেন ৷

১০-ই মহররম থেকে ২০-শে সফর, ...এই সময়টির পরিসর হলো চল্লিশ দিনের ৷ চল্লিশ দিন বা চল্লিশ শব্দ ইসলামের পরিকাঠামোয়া খুবই গুরুত্বের দাবীদার ৷

আল্লাহর মিজানে বা আল্লাহর আঞ্জামকৃত কর্মে চল্লিশ দিন বা চল্লিশ শব্দটির প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়েছে ৷ বহু উদাহরণ বিদ্যমান আছে ৷ যদি তা আমরা গভীর ভাবে অনুধাবন করি তাহলে দেখতে পাবো ....

(১) নবীপাক সঃ চল্লিশ বছর পর তাঁর নবুয়তের ঘোষণা করেছিলেন ল্লাহর হুকুমে ৷

(২) মুসা আঃকে ৪০দিনের জন্য আল্লাহপাক কিতাব দেবেন বলে ডেকেছিলেন তুর পাহাড়ে ৷

(৩) প্লাবনে নূহ আঃএর কিস্তি ভেসেছিল ৪০দিন ৷

(৪) নবীপাকের হাদিসে আমাদের সমাজে "প্রতিবেশী" হিসাবে উল্লেখ হয়েছে ৪০টি ঘর নিয়ে প্রতিবেশী ৷

(৫) নবীপাক বলেছেনঃ যে ৪০টি হাদিস মুখস্থ করবে এবং তা পালন করবে, তার জন্য জান্নাতের সুংসাবদ

(৬) প্রতিটি মানবশিশু মায়ের গর্ভে ৪০ দিন ছাড়া অবস্থার পরিবর্তন হয় ৷

(৭) কবরেও মানবদেহ ৪০দিন পর তার মূল আকৃতির পরিবর্তন হতে থাকে ৷

(৮) নবীপাক বলেছেনঃ দোয়ার সময় ৪০জন মুমিনের নাম স্মরণ করবে ৷

(৯) ৪০ দিন ধরে নিজের আমল শুদ্ধ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে ৷

(১০) সু কামনা বা সদ্দিচ্ছা পূরণের জন্য চল্লিশদিন ধরে ধ্যান করার তাগিদ আছে ৷

(১১) বনি ইসরাঈলদের হরকতির জন্য চল্লিশ বছরের জন্য পবিত্র ভূমিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ৷

ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) বলেছেনঃ "যে ব্যক্তি নবী সঃএর বর্ণিত হাদিস চল্লিশটি (যে গুলি তার ধর্মীয় কাজে লাগে) মুখস্থ করবে আল্লাহপাক কেয়ামতের দিন তাকে ফকিহর মর্যাদা দেবেন ৷"

সুত্রঃ শেইখ সাদুক ইবনে বাবোওয়াহে খেসাল, পৃঃ ৩১৯

ফাইযে কাশানী ওয়াফী, খন্ড ১,

বিহারুল আনোয়ার, খঃ ২, পৃঃ ১৫৩-১৫৮

রচনা ও সংকলণঃ মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে}

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .