হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আফগান শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সমর্থন পাওয়ার বদলে নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য দুঃখপ্রকাশ করে একথা বলেছেন।
আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গণি সরকারের পতনের মধ্যদিয়ে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে দেশটি থেকে বিপুল সংখ্যক শরণার্থী ইরানে আশ্রয় নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যরা একথা বললেন।
দক্ষিণ আয়ারল্যান্ড থেকে নির্বাচিত ইউরোপীয় পার্লামন্টের সদস্য মাইক ওয়ালেস মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) টুইটার এক পোস্টে বলেন, “ইরান ৩৬ লাখ আফগান শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে কিন্তু তুরস্কের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে শত শত কোটি ডলার পাচ্ছে না। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান আসার পর নতুন করে তিন লাখ শরণার্থী ইরানে প্রবেশ করেছে কিন্তু অর্থনৈতিক সমর্থন পাওয়ার পরিবর্তে দেশটি নিষেধাজ্ঞা পাচ্ছে।”
আফগান শরণার্থীদের বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনো রকমের চিন্তাভাবনা আছে কিনা তা নিয়ে ওয়ালেস সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এর আগে চলতি মাসের প্রথম দিকে নরওয়ের শরণার্থী পরিষদের মহাসচিব জ্যান এগেল্যান্ড বলেছিলেন, “আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এত স্বল্প সমর্থনের পর ইরানের পক্ষে এই বিপুল সংখ্যক আফগান শরণার্থীর বোঝা বহন করা সম্ভব নয়।