۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
চিনা
চিনা ভাষা

হাওজা / চিনা ভাষা যা আরবী বর্ণমালায় চীনা মুসলমানরা ( হুই ) লিখে থাকেন


হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, শিআওএরদিং : চীনা ভাষা যা আরবী বর্ণমালায় চীনা মুসলমানরা ( হুই ) লিখে থাকেন । এ ছাড়াও চীনের দোংজিয়াং , সালার জনগোষ্ঠী এবং বিশেষ করে উত্তর চীনে এ আরবী শিয়াওএরদিং হরফে ঐ অঞ্চলের চীনা ভাষা লিখা হয় !!! কম্যুনিষ্ট বিপ্লবের পর চীনা সাংস্কৃতিক শুদ্ধি ও দমন অভিযান চালিয়েও এ বর্ণমালা বিলুপ্ত করতে পারে নি চীনা কমিউনিস্ট জান্তা ও সরকার । চীনা মুসলমানরা যারা হুই নামে পরিচিত তারা অনেক অত্যাচার , নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড সহ্য করে বুকের রক্ত দিয়ে এ বর্ণমালা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করছেন । কিন্তু সেক্যুলাররা এখনো হুইদেরকে চাপের মধ্যে রাখে যাতে তারা এ বর্ণমালা বাদ দিয়ে চীনা বা অন্য কোনো বর্ণমালা ( যেমন : রুশ বা ল্যাটিন ) ব্যবহার করেন । সেক্যুলাররা যে কোনো ভাষায় আরবী হরফ ও আরবী শব্দের গন্ধ পেলেই সেটা বাদ দেওয়ার জন্য আদাজল খেয়ে উঠে পড়ে লাগে । এমন কি আরব দেশগুলোয়ও শুদ্ধ আরবী ভাষা ও আরবী হরফ সেকেলে ও ব্যাক্ ওয়ার্ড বলে অভিহিত করে তা ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করত সেক্যুলাররা । ইউরোপীয়রা আরব দেশগুলোয় আঞ্চলিক আরবী ডায়ালেক্ট সমূহ ল্যাটিন বর্ণমালায় লেখার চেষ্টা চালিয়েছে । সোভিয়েত শাসনামলে মধ্য এশিয়ার অধিবাসীদেরকে তুর্কী ও ফার্সী ( তাজিক ) ভাষা আরবী বর্ণমালার পরিবর্তে সিরিলিক ( রুশ স্লাভ ) বর্ণমালায় লিখতে বাধ্য করে । এভাবে মুসলমানদেরকে তাদের ধর্ম , সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য থেকে সম্পূর্ণ বেগানা ও অপরিচিত রাখার জন্য ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শক্তি গুলো ( ব্রিটেন , ফ্রান্স , জার শাসিত রাশিয়া এবং সেক্যুলার কমিউনিস্ট সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভিন্ন মুসলিম দেশে আরবী হরফ হটিয়ে ল্যাটিন বা সিরিলিক বর্ণমালা প্রবর্তন করে । এগুলো সবই তারা করেছে ইসলাম , পবিত্র কুরআন , আরবী ভাষা ও আরবী হরফের প্রতি বিদ্বেষ পোষণের কারণেই যদিও তারা বর্ণমালার এ পরিবর্তনকে আধুনিকীকরণ , বৈজ্ঞানিকতা , আধুনিকতা ও মুক্তবুদ্ধির চর্চা এবং আরবী ভাষা ও বর্ণমালা চর্চাকে সেকেলে ও জ্ঞান-বিজ্ঞান বিরোধী বলে অভিহিত করত !!
তাই আজও ইউরোপীয়রা এবং তাদের তল্পী বাহকরা আমাদের দেশ এবং পৃথিবী জুড়ে প্রচার করে যে আরবী হচ্ছে অত্যন্ত কঠিন ভাষা ( Arabic is a very difficult language ) এবং বিষ বাষ্প সম এ তন্ত্র মন্ত্রটি প্রায় সকল দেশের পাঠ্য পুস্তকে সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে করে শিশুদের মনে আরবী ভীতি বদ্ধমূল হয়ে যায় এবং খুব কম লোকই যেন এ ভাষা শিখে । অথচ ৫০০ বছরের অধিক কাল এ আরবী ভাষা ইউরোপে জ্ঞান - বিজ্ঞানের ভাষা ও শিক্ষার মাধ্যম ছিল । ইতালির সিসিলির ভাইকিং রজার শাসকগোষ্ঠীর রাজদরবারের ভাষা ছিল আরবী । সিসিলির সম্রাটদের ভাষা ছিল আরবী । এমনকি স্পেনের মুসলিম বিদ্বেষী রাণী ইসাবেলা আরবী সাহিত্য ও কাব্যের ভক্ত ছিল । আরবী ভাষা যদি অত্যন্ত কঠিন হয় তাহলে ঐ ৫০০ বছর কিভাবে ইউরোপীয়রা এ ভাষা চর্চা করত ও শিখত ? রেনেসাঁর পরে এরাই আরবী ভাষার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে থাকে যা আজও অব্যাহত আছে । দাগেস্তানে ১২০০ বছর ধরে আরবী ছিল শিক্ষা ও সংস্কৃতির ভাষা । দাগেস্তান ঐ সময় বিশ্বে আরবী ভাষা ও সাহিত্য চর্চার কেন্দ্র বলে গণ্য হত। এমনকি আরবদেশ থেকেও ছাত্ররা বৃত্তি নিয়ে আরবী ভাষায় উচ্চ শিক্ষা নেয়ার জন্য দাগেস্তান গমণ করত । কিন্তু ১৯২৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের কমিউনিস্ট সরকার দাগেস্তানে আরবী ভাষা চর্চা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করলে আরবী ভাষা এ অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয় । দাগেস্তানীরা অনারব হয়েও তারা আরবী ভাষা এমন রপ্ত করেছিল যে তারা আরবদেরকেও আরবী ভাষা শেখাত । ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শাসন শোষণের আগে কিভাবে ভারত বর্ষের অনেকেই আরবী ভাষা জানত ? শুধু তাই নয় । ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত
হওয়ার পরও যে ভারতবর্ষে অনেকেই আরবী জানত তার প্রমাণ গিরিশ চন্দ্র সেন এবং রাজা রাম মোহন রায় ।
তারা আরবীতে সুপণ্ডিত ছিলেন ।
সুতরাং আরবী ভীতি দূর হওয়া বাঞ্ছনীয় ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
(১৪ আযার ১৪০০ )

تبصرہ ارسال

You are replying to: .