হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা অত্যন্ত উন্নত এবং এ দেশের জনগণকে এ্যাস্ট্রোযেনেকা , ফাইযার্ , মডার্না , জনসনের করোনা ভ্যাক্সিন দেয়া হচ্ছে । কিন্তু ইসরাইল ও সব ভ্যাক্সিনের মাধ্যমে জনগণের দেহে পর্যাপ্ত ইমিউনিটি অর্জনের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে নি বলেই দেশটি এখন ৪র্থ ডোয্ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে !

তাই বলা যায় যে এ্যাস্ট্রোযেনেকা , মডার্না ফাইযার ও জনসন এ্যান্ড জনসনের করোনা টিকা ( এগুলো হচ্ছে নয়া প্রযুক্তির mRNA vaccines ) পর্যাপ্ত ইমিউনিটি তৈরিতে তেমন সফল হয় নি । আর এ কারণেই হয়তো ইউরোপে ৮০%এর বেশি টিকাদানের পরেও সংক্রমণ ও মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে ।গত ২২ডিসেম্বর জার্মানিতে ৪৫,৬০৬ জন নতুন কেস এবং মৃত্যু : ৪৭১ জন , ব্রিটেনে নতুন কেস : ১০৬,১২২ জন এবং মৃত্যু : ১৪০ জন , ফ্রান্সে নতুন কেস : ৮৪,২৭২ জন এবং মৃত্যু : ১৭০জন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কেস : ২০১১১২ জন এবং মৃত্যু : ১২৮৮ জন ।

গত অক্টোবর থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত উল্লেখিত এ সব দেশে নতুন আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা ২২-১২-২০২১ তারিখের নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার চেয়ে কম বেশি হতে দেখা গেছে ! অল্প কিছু দিন কমলেও আবার অনেক বেশি হয়ে গেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা । তবে বেশিরভাগ দিনগুলোয় মৃতের সংখ্যা ছিল বেশি প্রায় এই তিন মাসে এ সব দেশে ।

আবার ইরানে ৬৯% টিকাদান সম্পন্ন হলেও এই সময়ে ( অক্টোবর থেকে ২২ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত ) নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ৮০%এর অধিক ভ্যাক্সিন দেওয়া এ সব দেশের নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার চেয়ে অনেক অনেক কম ।

যেমন : ইরানে ২২-১২-২০২১করোনায় নতুন আক্রান্ত : ২১০৩ জন এবং মৃতের সংখ্যা : ৪৪ জন ।

অথচ গত অক্টোবরের আগে ঐ সব দেশগুলোর নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যার চেয়ে ইরানে নতুন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি !!

তাই এখান থেকেও ভ্যাক্সিন সমূহের কার্যকারিতা নিয়ে সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠে ও সন্দেহ ঘনীভূত হয় ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২৩-১২-২০২১