রচনাঃ..... মুস্তাক আহমদ (সত্যের পথে)
নাম তো সবাই রাখে, জব্বার নামটি এই বিশ্বের বহু আছে ৷ বহু লোক সাত্তার নাম রাখে ৷ রৌউপ, লতিব, সামাদ, রহিম, রহমান ইত্যাদি এই নামগুলি বহু লোক তার সন্তাদের নাম হিসাবে রাখে ও ডাকে ৷
কিন্তু মজার কথা আমি যেসব নাম উল্লেখ করলাম সব নামগুলিই আল্লাহর ৷ এ রকম বহু নাম আল্লাহ'র আছে, যা মানুষ তার সন্তানের জন্যা রাখে ও সন্তানকে সেই নামে ডাকে ৷ লোকে বলে আল্লাহর ৯৯-টি নাম আছে, বরং সেই সব নামগুলিই মানুষ ব্যবহার করে তাদের সন্তানের নাম হিসাবে ৷ এতে কোন সমস্যা তেমন দেখা দেয় না ৷
কিন্তু আল্লাহর একটি নাম আরো আছে সেই নামটি হলোঃ "আলী" আলী নামটি সরাসরি আল্লাহ'র ৷ এজন্য আমরা পবিত্র কোরআন পাঠ করার পর এই দোয়াটি হার হামেশায় পাড়ে থাকি ৷ সেই দোয়াটি হলঃ "সদাকালল্লাহো আলীউল আজিম" ৷
এখানে এই দোয়াটিতে আল্লাহর একটি নাম "আলী" উল্লেখ করেই দোয়াটি তৈরী ও এভাবেই দোয়াটি আছে ৷ কিন্তু বড় পরিতাপের বিষয়, এই দোয়াটি থেকে "আলী" শব্দটি তুলে দিয়ে সুধু ""সদাকালল্লাহো আজিম" বলা হয় ৷ আল্লাহর "আলী" নামটি আর উচ্চারণ করা হয় না ৷
কেন আল্লাহর ঐ আলী নামটি আর উচ্চারণ করা হয় না??
আল্লাহর আলী নামটি আর উচ্চারণ করা হয় না কারন হলো হযরত আলীর প্রতি হিংসার বহিঃপ্রকাশ ৷ যেহেতু এখানে আলী শব্দটি উল্লেখ আছে, তাই আলী নামটি আর উচ্চারণ করা হয় না ৷
কিন্তু আল্লাহর তো বহু নাম সমাজে প্রচলিত ৷ জব্বার, সাত্তার, রসিদ, রৌউপ, কাহার, সামাদ ইত্যাদি ৷ কই কেউ তো হিংসা করে এই নামগুলি উচ্চারণ করে না এমন নেই!!
তাহলে হযরত আলীর প্রতি এত বিদ্বেষ কেন?? হযরত আলীর প্রতি এত হিংসা কেন??
যদি আল্লাহর নাম "আলী" হয় ৷ এবং এই আলী নামটি আল্লাহর বলে বিশ্বাস করি, তাহলে …"আমি আলী'র বান্দা" এই বাক্যটি বলা যাবে না কেন??
আরে বেকুব …যদি আব্দুল জব্বার নাম রাখা যায়, তাহলে "আলীর বান্দা অর্থাৎ আব্দুল আলী" নামটি রাখা যাবে না কেন?
আসলে তুমি শয়তান ও চক্রান্তবাজ ৷ তোমরা হিংসটি শয়তানকে সন্তুষ্টি দান করেছে ৷
দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।