۳۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 19, 2024
ফাতেমা
ফাতেমা জাহরা (সা:)

হাওজা / ৩ জুমাদাস সানিয়া ১১ হিজরী আহলুল বাইতের (আ.) মশহূর ( প্রসিদ্ধ ) অভিমত অনুসারে এবং অন্য একটি বর্ণনা মতে ১১ হিজরী সালের ১৩ জুমাদাল উলা নবী দুহিতা হযরত ফাতিমা যাহরার ( আ.) শাহাদাত দিবস ।

মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান

পর্ব ২- হযরত ফাতিমার জীবদ্দশায় জনগণের কাছে আলীর এক বিশেষ মর্যাদা ও সম্মান ( ওয়াজহ ) ছিল । ....... আর ঐ মাসগুলোতে ( যে মাসগুলোয় হযরত ফাতিমা জীবিত ছিলেন সে মাসগুলোতে ) তিনি ( আলী ) বাই'আতও করেন নি । ......

( দ্র : আবূ আব্দিল্লাহ্ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল্ ইবনে ইব্রাহীম্ ইবনে বার্দেযবাহ্ আল - বুখারী [ ইমাম বুখারী ] প্রণীত সহীহ আল - বুখারী , ( ৩৮/৬৪ কিতাবুল মাগাযী , হাদীস নং ৪২৪০ - ৪২৪১ , পৃ : ১০৩৬ , প্রকাশক : দারুল ফিকর , বৈরুত , লেবানন , প্রথম সংস্করণ , প্রকাশ কাল : ২০০৮ )

আর এ থেকে প্রমাণিত হয় যে , হযরত ফাতিমা ( আ.) হযরত আবূ বকরকে খলীফা বলে স্বীকৃতি দেন নি এবং তার বাইআতও করেন নি। আবূ বকর ফাদাক , খাইবর ও মদীনায় রাসূলুল্লাহর ( সা) রেখে যাওয়া ভূসম্পত্তির ন্যায্য মীরাস ( উত্তরাধিকার ) থেকে তাঁকে বঞ্চিত করলে হযরত ফাতিমা ( আ.) তার ( আবূ বকর ) উপর রাগাম্বিত হয়ে তার সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করেন এবং তার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেন এবং আমৃত্যু তিনি তার সাথে কথা বলেন নি ।

আর এ হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে , হযরত ফাতিমা ( আ.) হযরত আবূ বকরের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নেন ।

সত্য সহীহ প্রতিষ্ঠিত হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে যে ব্যক্তি যুগের ইমামকে না চিনে ও তাঁর আনুগত্য না করে মৃত্যু বরণ করবে তার মৃত্যু হবে জাহিলিয়াতের মৃত্যু ।

যেমন :

১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর ( রা:) মহানবী ( সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন :

مَنْ خَلَعَ یَدَاًمِنْ طَاعَةٍ، لَقِيَ اللّٰهَ یَوْمَ الْقِیَامَةِ، لَا حُجَّةَلَهُ، وَ مَنْ مَاتَ وَ لَیْسَ فِيْ عُنُقِهٖ بَیْعَةٌ مَاتَ مِیْتَةً جَاهِلیَّةً .

যে ব্যক্তি ( ইমামের ) আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নেবে ( আনুগত্যের শপথ অর্থাৎ বাইআত করে তা ভঙ্গ করবে ) সে কিয়ামত দিবসে এমতাবস্থায় মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ ( দীদার ও লিকা ) করবে যে তার পক্ষে কোনো হুজ্জাত ( পারলৌকিক আযাব থেকে রেহাই ও নাজাতের দলীল ও প্রমাণ ) বিদ্যমান থাকবে না ( অর্থাৎ সে জাহান্নামী হবে ) । আর যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করবে এমতাবস্থায় যে তার গর্দানে বাইআত নেই সে জাহিলিয়াতের মৃত্যুই বরণ করবে । ( সহীহ মুসলিম , কিতাবুল ইমারাহ্ , হাদীস নং ৪৮১৪ , পৃ : ৭১৮ , প্রকাশক : দার সাদির , বৈরুত , লেবানন , প্রথম সংস্করণ ; আল্লামা আলবানী প্রণীত সিলসিলাতুল আহাদীস আস সাহীহাহ্ , আল- মাকতাবুল ইসলামী , ২য় খণ্ড , পৃ: ৭১৫ ) ।

২. মহানবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে :

مَنْ مَاتَ وَ لَیْسَ عَلَیْهِ إِمَامٌ مَاتَ مِیْتَةً جَاهِلِیَّةً .

যে ব্যক্তি মৃত্যু বরণ করবে এমতাবস্থায় যে তার ওপর ইমাম ( কর্তৃত্বশীল নেতা ) থাকবেন না সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করবে ।

( দ্র: মাজমাউয যাওয়ায়েদ , ৫ম খণ্ড , পৃ : ৪০৫ )

৩. আল্লামা তাফতাযানী শারহুল মাকাসিদ গ্রন্থে পবিত্র কুরআনের সূরা -ই নিসার ৫৯ নং আয়াত :

یَا أَیُّهَا الَّذِیْنَ ءَامَنُوْا أَطِیْعُوا اللّٰهَ وَ ءَاطِیْعُوا الرَّسُوْلَ وَ أُوْلِي الْأَمْرِ مِنْکُمْ

" তোমরা মহান আল্লাহর আনুগত্য কর এবং আনুগত্য কর রাসূল ( সা.) ও তোমাদের মধ্য হতে উলীল আমরের ( কর্তৃত্বশীল নেতৃবর্গ ) - " এর ব্যাখ্যায় মহানবী ( সা.) থেকে একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন :

مَنْ مَاتَ وَ لَمْ یَعْرِفْ إِمَامَ زَمَانِهٖ مَاتَ مِیْتَةً جَاهِلِیَّةً.

যে ব্যক্তি নিজ যুগের ইমামকে না চিনে মৃত্যু বরণ করবে , সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করবে ।

তিনি ( আল্লামা তাফতাযানী ) এ হাদীসকে সুনিশ্চিত ( সন্দেহাতীত ও তর্কাতীত ) অর্থাৎ মুসাল্লাম ( مُسَلَّمٌ ) বলেছেন এবং এ হাদীসের ভিত্তিতে উক্ত গ্রন্থে স্বীয় আলোচনার অবতারণা করেছেন ( দ্র : শারহুল মাকাসিদ , ৫ম খণ্ড , পৃ : ২৩৯ ) ।

৪. আমীর মুয়াবিয়া মহানবী ( সা.) থেকে বর্ণনা করেছে :

مَنْ مَاتَ بِغَیْرِ إِمَامٍ مَاتَ مِیْتَةً جَاهِلیَّةً.

যে ব্যক্তি ইমামবিহীন ( ইমামের আনুগত্য না করে ) মৃত্যু বরণ করবে সে জাহিলিয়াতের মৃত্যু বরণ করবে ( দ্র : মুসনাদে আহমাদ ইবনে হাম্বাল , ৪র্থ খণ্ড , পৃ : ৯৬ ; হুলিয়াতুল আওলিয়া, ৩য় খণ্ড , পৃ: ২২৪ ( এ হাদীসটি যে সহীহ তা এখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে ) ।...চলবে...

تبصرہ ارسال

You are replying to: .