۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 20, 2024
ফাতেমা
ফাতেমা জাহরা (সা:)

হাওজা / ৩ জুমাদাস সানিয়া ১১ হিজরী আহলুল বাইতের (আ.) মশহূর ( প্রসিদ্ধ ) অভিমত অনুসারে এবং অন্য একটি বর্ণনা মতে ১১ হিজরী সালের ১৩ জুমাদাল উলা নবী দুহিতা হযরত ফাতিমা যাহরার ( আ.) শাহাদাত দিবস ।

মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান

পর্ব ৫- হযরত আয়েশা ( রা.) বলেন : পায়ে হেঁটে হযরত ফাতিমা আসলেন যেন তার হাঁটার ধরণ ধারণ ছিল মহানবীর হাঁটার মতোই । তখন নবী ( সা.) বললেন : " হে আমার কন্যা ! তোমাকে স্বাগতম । "

এরপর তিনি ( সা.) তাঁকে (আ.) তাঁর ( সা.) ডান অথবা বাম পাশে বসিয়ে তাঁর সাথে গোপনীয় কথা বললে ফাতিমা কাঁদলেন । আমি তাঁকে বললাম : " তুমি কেন কাঁদছ ? " এরপর রাসূলুল্লাহ ( সা.)

তাঁর ( আ.) কাছে গোপনে আরও কিছু কথা বললে তিনি ( ফাতিমা ) হাসলেন । তখন আমি (নিজে নিজে) বললাম : আজকের মতো দু:খের সবচেয়ে নিকটবর্তী এমন কোনো সুখ ও আনন্দ ( কখনো) আমি প্রত্যক্ষ করি নি ! তাই আমি তাঁকে ( ফাতিমা ) মহানবী ( সা .) তাঁকে যা বলেছেন সে ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম । কিন্তু তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : " রাসূলুল্লাহর ( সা.) সির্র ( রহস্য ) ফাঁস করা আমার জন্য শোভনীয় ও উচিৎ হবে না । " নবীর ( সা.) মৃত্যুর পর আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করি । ( বুখারী , হাদীস নং ৩৬২৩ )

অত:পর তিনি ( ফাতিমা ) বললেন : হযরত জিবরাঈল (আ) প্রতি বছর একবার করে আমার [রাসূলুল্লাহ (সা.) ] কাছে সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করতেন এবং এ বছর তিনি আমার কাছে দুই বার পবিত্র কুরআন উপস্থাপন ও পাঠ করেছেন । আর এটাকে আমার মৃত্যু কাল উপস্থিত হওয়া ব্যতীত আর কিছুই মনে করছি না এবং আমার আহলুল বাইতের মধ্য থেকে তুমিই হবে প্রথম ব্যক্তি যে আমার সাথে মিলিত । তখন আমি কাঁদলাম । এরপর তিনি (সা.) বললেন : "জন্নাত বাসীদের নারীদের নেত্রী অথবা মুমিনদের নারীদের নেত্রী হতে তুমি কি পছন্দ করছ না ? " অত:পর আমি এ জন্য হাসলাম । " ( দ্র : সহীহ আল - বুখারী , ৮৮৬ - ৮৮৭ )

আসলে মুমিনদের নারীদের নেত্রী =এই উম্মতের নারীদের নেত্রী =জান্নাতের নারীদের নেত্রী = জগৎ সমূহের নারীদের নেত্রী এক সমান অর্থ ও তাৎপর্য বহন করে । আর এ সব তা'বীর ও উপাধি আসলে সকল নারীর ওপর হযরত ফাতিমার শ্রেষ্ঠত্ব ও নেতৃত্ব প্রতিপন্ন ও প্রমাণিত হয় । আর যেহেতু মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মহানবীর আহলুল বাইতকে সকল পাপ পঙ্কিলতা ( রিজস ) থেকে পবিত্র ( মাসূম ও নিষ্পাপ ) করার ঘোষণা দিয়েছেন এবং ফাতিমাই মহানবীর পরে এই পবিত্র আহলুল বাইতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সদস্য

, মুতাওয়াতির হাদীসে সাকালাইন অনুসারে পবিত্র কুরআন ও আহলুল বাইত কখনো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না এবং মুবাহালার আয়াতের ব্যাখ্যায় বিদ্যমান হাদীস সমূহের আলোকে আহলুল বাইত রাসূলুল্লাহর নুবুওয়াত ও রিসালতের সত্যতার সাক্ষী সেহেতু এ দুর্লভ ফযীলতের ( বেহেশতের নারীদের নেতৃত্ব ) অধিকারী তো তিনি ( ফাতিমা ) হবেনই ।

এ সব হাদীস থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে , হযরত ফাতিমা সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল নারীর নেত্রী । কারণ বেহেশতবাসী নারীরা নি: সন্দেহে সকল নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ; আবার এ সব শ্রেষ্ঠ নারীর নেত্রী হচ্ছেন হযরত ফাতিমা (আ.) ; আর শ্রেষ্ঠত্বের কারণেই নেতৃত্ব ; তাই হযরত ফাতিমা ( আ .) সকল নারীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ ।...চলবে...

تبصرہ ارسال

You are replying to: .