۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
ফাতেমা
ফাতেমা জাহরা (সা:)

হাওজা / আজ ২০ জুমাদাস সানিয়া রাসূলুল্লাহর ( স.) কন্যা হযরত ফাতিমা যাহরার ( আ.) শুভ জন্মদিন।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ ২০ জুমাদাস সানিয়া রাসূলুল্লাহর ( স.) কন্যা হযরত ফাতিমা যাহরার ( আ.) শুভ জন্মদিন যা ইসলামী বিপ্লব বিজয় ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইরানে মাতৃদিবস ও নারী দিবস হিসেবেও পালিত হচ্ছে । এই দিন নুবুওয়াতের পঞ্চম বর্ষে মহানবীর গৃহ আলো করে প্রথম উম্মুল মুমিনীন হযরত খাদিজাতুল কুবরার ( আ.) গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন হযরত ফাতিমা মার্যিয়াহ্ , রাযিয়া , তাহিরা , যাকিয়া , সিদ্দিকা ( পরম সত্যবাদিনী ) যাহরা বাতূল্ ( আ.) । তিনি নারীকূলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নারী ।

তিনি পূর্ণতাপ্রাপ্ত চার নারীর একজন বরং তিনি তাদের ( এই চার নারী ) মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ।

তিনি সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল জগতের সকল প্রজন্মের নারীদের নেত্রী ( সাইয়েদাতু নিসাইল আলামীন ) । তিনি জান্নাতের সকল নারীর নেত্রী । তিনি সকল মুমিন নারীর নেত্রী । তিনি মুসলিম উম্মাহর সকল নারীর নেত্রী ।

তিনি হযরত মারিয়াম ( আ.) বিনতে ইমরান ( আ.) , হযরত আসিয়া বিনতে মুযাহিম এবং হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদেরও নেত্রী ।

কারণ , মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সা .) সর্বশ্রেষ্ঠ মানব , সৃষ্টির সেরা , সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী ও রাসূল যার অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ হচ্ছেন হযরত ফাতিমা যাহরা ( আ.) এবং ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম । পবিত্র আল -কুরআন সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব যা পূর্ববর্তী সকল আসমানী কিতাব ও সহীফার উপর মুহাইমিন অর্থাৎ রক্ষাকারী , অথরিটি ও অভিভাবক স্বরূপ এবং এ গ্রন্থ ( পবিত্র কুরআন ) ও মহানবীর পবিত্র আহলুল বাইত (আ.) মুতাওয়াতির হাদীসে সাকালাইন অনুসারে সর্বদা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও সহ বিদ্যমান এবং

এদুভয় (পবিত্র কুরআন ও পবিত্র আহলুল বাইত -আ- ) কখনোই পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না । হযরত ফাতিমা ( আ.) মহানবী ( সা.) ও হযরত আলীর (আ ) পরে মহাবীর ( সা.) আহলুল বাইতের ( আলী , ফাতিমা , হাসান ও হুসাইন - এ পাক পাঁচ জন এবং ইমাম হুসাইনের বংশ ধারায় নয় মাসূম নিষ্পাপ ইমাম : এরাই হচ্ছেন রাসূলুল্লাহর আহলুল বাইত ) (আ.) প্রধান ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । সুতরাং এ পবিত্র মুতাওয়াতির হাদীসের আলোকে আহলুল বাইত ( আ.) ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক । সুতরাং আহলুল বাইত (আ) মহানবীর (সা) পরে সকল মানব মণ্ডলীর মধ্যে শ্রেষ্ঠ । কারণ তাঁরা পবিত্র ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের ধারক বাহক হওয়ায় সৃষ্টি কূল তথা সমগ্র মানবজাতির মধ্যে সবচেয়ে জ্ঞানী এবং সবচেয়ে আধ্যাত্মিক আত্মিক নৈতিক চারিত্রিক পূর্ণতারও অধিকারী । আর এই আহলুল বাইতের ( আ.) কারণেই মুসলিম উম্মাহ সর্বশ্রেষ্ঠ উম্মত । কারণ উম্মতের মধ্যে মহান আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ বান্দা এবং রাসূলুল্লাহর (সা.) সর্বশ্রেষ্ঠ অনুসারী হচ্ছেন তাঁর আহলুল বাইত (আ.) । আসলে শ্রেষ্ঠ উম্মত তো তাঁরাই ( আহলুল বাইত )।

এটা ধ্রুব সত্য যে মহানবী (সা.) এর পূর্বে কোনো নবী রাসূলের সময়ই দ্বীন ( ধর্ম ), শরিয়ত ও কিতাব পূর্ণতা লাভ করে নি । কেবল হযরত মুহাম্মদের ( সা.) মাধ্যমেই আল্লাহর দ্বীন , শরিয়ত ও কিতাব পূর্ণতা লাভ করে । সুতরাং মহানবী (সা.) এবং তাঁর পবিত্র ইতরাৎ ( অতিনিকটাত্মীয় রক্তজ বংশধর ) আহলুল বাইত ( আ.)ই আসলে ইসলাম , শরিয়ত ও পবিত্র কুরআনের ধারক ও বাহক হবেন । মুতাওয়াতির ( অকাট্য সূত্রে বর্ণিত ) সাকালাইনের হাদীস থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত যে পবিত্র কুরআন ও মহানবীর ( সা.) আহলুল বাইত ( আ.) সর্বদা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত , নিত্যসঙ্গী ও সহ বিদ্যমান এবং কখনোই পরস্পর বিচ্ছিন্ন হবে না । সুতরাং হযরত ফাতিমা (আ) ইসলাম ও পবিত্র কুরআনের ধারক বাহকদের অন্তর্ভুক্ত

অথচ ঠিক এমন সুমহান বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন না হযরত মারিয়াম (আ) ও হযরত আসিয়া ( আ.) অর্থাৎ তারা পবিত্র কুরআনের ধারক বাহকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন না বিধায় তারা হযরত ফাতিমার ( আ) সমকক্ষ নন যদিও তাঁরা অনেক বিরাট মর্তবা ও ফযীলতের অধিকারী ছিলেন । কারণ কেবল তাঁর জন্মদাতা পিতা হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও তাঁর স্বামী হযরত আমীরুল মুমিনীন আলী ( আ.) ব্যতীত হযরত ফাতিমার জ্ঞান , মারিফাৎ , যোগ্যতা , ফযীলত , মর্তবা এবং আধ্যাত্মিক ও আত্মিক ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ের যার ধারে কাছেও আসতে পারেন না হযরত মারিয়াম এবং সমগ্র সৃষ্টিকুল ( আল - খালায়েক কুল্লুহা আজমাঈন ) ।

আমরা সবাইকে উম্মে আবীহা ( নিজ পিতার মা ) হযরত ফাতিমাতুয্ যাহরা বিনতে রাসূলুল্লাহর (সা.) পবিত্র জন্মদিবসে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও তাবরীক ( মুবারক বাদ ) ।

আজ মহানবী( সা.) , হযরত আলী (আ) , হযরত ফাতিমার (আ ) একজন বংশধর যিনি বিংশ শতক অর্থাৎ চতুর্দশ - পঞ্চদশ হিজরীতে ইসলামের পুনর্জাগরণকারী ইসলামী বিপ্লবের স্থপতি ও ইসলামী হুকূমতের প্রতিষ্ঠাতা সেই ইমাম রূহুল্লাহ আল - মূসাভী আল - খোমেইনীরও শুভ জন্ম দিন ।

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান

২০ জুমাদাস সানিয়া , ১৪৪৩ হি.

تبصرہ ارسال

You are replying to: .