۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
বাইডেন
জো বাইডেন

হাওজা / মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ লাখ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে তলাবিহীন ঝুড়িতেই ( bottomless busket )পরিণত হয়েছে ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ৩০ লাখ কোটি ডলার ঋণ নিয়ে তলাবিহীন ঝুড়িতেই ( bottomless busket )পরিণত হয়েছে । অথচ গত শতাব্দীর ৭০এর দশকে সাবেক ইহুদী যায়নবাদী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: ( ডাকাত বলাই শ্রেয় ) হেনরী কিসিঞ্জার বলেছিল : বাংলাদেশ নাকি তলাবিহীন ঝুড়ি ( bottomless busket ) ।

কারণ তার দৃষ্টিতে বাংলাদেশকে যত সাহায্য ও ঋণ দেওয়া হোক না কেন তা অবশিষ্ট থাকে না সব নি:শেষ হয়ে যায় অর্থাৎ তলাবিহীন ঝুড়িতে যা কিছুই রাখা হোক না কেন তা নীচে পড়ে যায় ঠিক তেমন অবস্থা বাংলাদেশেরও। এ জন্য বাংলাদেশকে সাহায্য করে লাভ নেই। এমন অপমানজনক ও হেয়কর উক্তি করেছিল ঐ বুড়ো ইহুদী বদমাশটা ( হেনরী কিসিঞ্জার ) । ভাগ্যের কি পরিহাস যে, প্রায় অর্ধ শতক পরে অবস্থা ঠিক উল্টো হয়ে গেছে ।

তলাবিহীন ঝুড়ি সদৃশ বাংলাদেশ এই ৫০ বছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির কারণে তলাবিহীন ঝুড়ির অবস্থা ও দুর্নাম থেকে বের হয়ে এসে উন্নত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ।

এককালের সেরা ধনী দেশ সমূহের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ কেন তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছিল ? প্রায় দুই শতাব্দীর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের বরকতে বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে হত দরিদ্র ফকীর দেশে পরিণত হয়েছিল । তাই তলাবিহীন ঝুড়ি বা bottomless busket হওয়ার প্রকৃত কারণ ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কুশাসন ও শোষণ যা হেনরী কিসিঞ্জার উল্লেখ করে নি ।

আসলে সাম্রাজ্যবাদী শোষক ব্রিটেন বাংলাদেশ থেকে ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন পাউন্ড অর্থ ও সম্পদ শুষে চুরি করে নিয়ে গেছে । লুণ্ঠিত সম্পদ ফেরত দিলে খোদ ব্রিটেনই তলাবিহীন ঝুড়িতে ( bottomless busket ) পরিণত হত ! তারপর ব্রিটেন ভারত থেকে ৪৫ ট্রিলিয়ন পাউন্ড লুট করে নিয়ে গিয়েও এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঋণগ্রস্ত দেশ ! তাই কোন্ দেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আখ্যায়িত করা উচিত ?

আর যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধন সম্পদ , উন্নত জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বদৌলতে ৭০এর দশকে পৃথিবীতে স্বপ্নের স্বর্গ রাজ্যের খ্যাতি লাভ করেছিল সেই দেশটি আজ পর্বত প্রমাণ ঋণের বোঝা ও ভারে জর্জরিত হয়ে তলাবিহীন ঝুড়িতেই পরিণত হয়েছে ! ৩০ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ লাখ কোটি ডলার ঋণ চাট্টিখানি কথা নয়। এমন ঋণ পরিশোধ করাই অসম্ভব । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন এ হাল ? সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে একমাত্র পরাশক্তি হয়ে যায় । কিন্তু আজ সেই এক চেটিয়া প্রাধান্য আর নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের !! শক্তিশালী সর্বগ্রাসী পাশ্চাত্য তথা অতি জটিল কুটিল মার্কিন ধনতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেমন অন্যায়ভাবে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অর্থ ও সম্পদ শুষে নিচ্ছে ঠিক তেমনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিতরেরও সকল সম্পদ শুষে খাচ্ছে । মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ১% ( চরম সংখ্যালঘু) ধনী ( ধনতান্ত্রিক ) শোষক পূঁজিবাদী গোষ্ঠী । আর চরম সংখ্যালঘু এ শ্রেণীটির খেদমতে নিয়োজিত রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাবৎ এলিট শ্রেণী ( যারা হচ্ছে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ , উচ্চ পদস্থ সামরিক বেসামরিক সরকারি - বেসরকারি কর্মকর্তা , টেকনোক্র্যাট বর্জুয়া , নিরাপত্তা ও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী , পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থা সমূহ । এই এলিট শ্রেণী মার্কিন জনসংখ্যার মাত্র ১০% ) ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৯০% সম্পদ এই ১% - এর হাতে ৯% সম্পদ সেবাদাস এলিট শ্রেণীর হাতে এবং মাত্র ১% সম্পদ বাদবাকি জনগণের হাতে ! তাই মার্কিন সম্পদ বন্টন ব্যবস্থায় চরম অন্যায় ও অসমতা আজ এ রাষ্ট্রটিকে চরম ঋণগ্রস্ত এবং এর অর্থনীতিকে চরম রুগ্ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করে দিয়েছে । অভাবী ক্ষুধার্ত সর্বহারা ব্যক্তি যেমন হিংস্র হয়ে লুটপাট শুরু করে ঠিক তেমনি চরম ঋণগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হিংস্র হয়ে পৃথিবীর সম্পদ লুটপাট করতে ব্যস্ত ও নিয়োজিত রয়েছে।

আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যত বাড়বে বিশ্বব্যাপী তার লুটতরাজ ও চৌর্যবৃত্তি ততই বৃদ্ধি পাবে। আর বিশ্বের সকল দেশ বিশেষ করে সামরিক ভাবে দুর্বল দেশগুলো থেকে অর্থ ও সম্পদের পাচার ও প্রবাহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে অব্যাহত থাকবে ; আর এ দেশটির ঋণও ততই বাড়বে । এ যেন এক অদ্ভূত বাতিল চক্র ।

আসলে এ দেশটির ভিত্তি হয়েছে লুটতরাজ , অন্যায় , নির্যাতন , নিপীড়ন , শোষণ ও হত্যা যজ্ঞের ওপর । প্রথমে আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ান জনগোষ্ঠীকে মেরে কেটে ধ্বংস ও নির্মূল করে দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লুটপাট ও শোষণের শুভ যাত্রার শুরু এবং এরপর তা এখন সমগ্র বিশ্ব জুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছে !! আসলে পাশ্চাত্য তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হারাম সুদ ভিত্তিক ধনতান্ত্রিক পূঁজিবাদী অর্থনীতি সত্যিকার অর্থে চরম ভাবে ব্যর্থ যার প্রমাণ দেশটির পর্বত প্রমাণ ঋণ ( ৩০ লাখ কোটি ডলার) ; আর পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশের অবস্থাও সুখকর নয় ।

আসলে পাশ্চাত্য তথা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিকেই আছে সামরিক শক্তির উপর ভর করে । সামরিক পরাশক্তি

হওয়ার কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুরো বিশ্বের উপর ছড়ি ঘোরায় এবং আধিপত্য বিস্তার করে আছে । আর তা যদি না হত তাহলে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুর্ভিক্ষে লেগে মারা পড়ত ! আর সমগ্র বিশ্বে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি ও বেস সমূহের অস্তিত্ব থেকে তাদের মিলিটারিজমের বলিষ্ঠ প্রমাণ মেলে । এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যত বাড়বে পুরো বিশ্ব জুড়ে লুটপাট , দ্বন্দ্ব - সংঘাত , সংঘর্ষ ও অশান্তি তত বাড়বে । এখানে একটি প্রশ্ন : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ যদি কমে যায় অথবা তা শূন্যের কোঠায় নেমে আসে তাহলে বিশ্ব কি শান্তির মুখ দেখবে ? উত্তর : না । কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিই হচ্ছে অন্যায় ও শোষণ । অন্যায় ও শোষণের এক অন্যতম পরিণতি ও ফল হচ্ছে ঋণ । এ দেশ ও রাষ্ট্রটি এবং এর সুদভিত্তিক হারাম ধনতন্ত্র যতদিন টিকে থাকবে ততদিন ঋণ ও এ দেশটির সাথে থাকবে । অতএব ঋণ হচ্ছে মার্কিন মুলুকের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ! যেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঋণ থাকবে না সেদিন পৃথিবীর বুকে এ দেশটিও আর অবশিষ্ট ও বিদ্যমান থাকবে না !!

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .