۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
News ID: 377044
5 فروری 2022 - 22:10
রজব মাসের ফযীলৎ
রজব মাসের ফযীলৎ

হাওজা / রজব , শা'বান ও রমযান - এ তিন মাস পূর্ণ ফযীলৎ ও মর্যাদার মাস ।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, রজব , শা'বান ও রমযান - এ তিন মাস পূর্ণ ফযীলৎ ও মর্যাদার মাস । এ মাসত্রয়ের ফযীলতে অগণিত রেওয়ায়ত বর্ণিত হয়েছে । মহানবী ( সা:) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে " রজব হচ্ছে মহান আল্লাহর কাছে ( অত্যন্ত ) মর্যাদাশীল মাস । আর কোন মাসই ফযীলৎ ও মর্য্যাদায় এ রজব মাসের পর্যায়ে নয় । এ মাসে কাফিরদের সাথে যুদ্ধ করা হারাম ( অবৈধ ও নিষিদ্ধ ) । রজব মহান আল্লাহর মাস , শা'বান আমার মাস এবং রমযান আমার উম্মতের মাস । যে ব্যক্তি রজব মাসের যে কোনো এক দিন রোযা রাখবে সে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে , ঐশ্বরিক গযব তার থেকে দূর হয়ে যাবে । " হযরত ইমাম মূসা ইবনে জা'ফার ( আ:) থেকে বর্ণিত হয়েছে : " যে ব্যক্তি রজব মাসের যে কোনো একদিন রোযা রাখবে তার থেকে দোযখের আগুন এক বছরের পথের পরিমাণ (দূরত্বে) দূরে থাকবে বা চলে যাবে । আর যে ব্যক্তি এ মাসে তিন দিন রোযা রাখবে বেহেশত তার জন্য ওয়াজিব ( অবধারিত ) হয়ে যাবে । " তিনি ( আ:) আরো বলেছেন : " বেহেশতে রজব নামের একটি নহর ( নদী / ঝর্ণা ) আছে তা দুধের চাইতে সাদা এবং মধূর চেয়েও মিষ্টি । যে ব্যক্তি রজব মাসে একদিন রাযা রাখবে সে অবশ্যই ঐ নহরের ( রজব ) পানি পান করবে । " মহানবী ( সা:)

থেকে ইমাম জা'ফার আস - সাদিক ( আ:) বর্ণনা করেছেন : " রজব আমার উম্মতের ইস্তিগফারের মাস । অতএব , এ মাসে বেশি বেশি ইস্তিগফার ( ক্ষমা প্রার্থনা ) করো তোমরা । কারণ , মহান আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়ালু । রজব মাসকে

আসাব্ব ( أَصَبّ ) বলা হয় । কারণ , এ মাসে মহান আল্লাহর রহমত আমার উম্মতের উপর অনেক অনেক বর্ষিত হয় । তাই এ মাসে অধিক অধিক : আসতাঘফিরুল্লাহ ওয়া আতূবু ইলাইহ্ ( আমি মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তওবা অর্থাৎ অনুশোচনা প্রকাশ করছি । ) পাঠ করা উচিৎ । শেখ সাদূক ( ইবনে বাবাভেইহ ) সহীহ ( বিশুদ্ধ ) সনদ সহকারে সালিম থেকে বর্ণনা করেছেন : তিনি ( সালিম ) বলেন : আমি রজব মাসের শেষের দিকে ইমাম জাফার সাদিক ( আ: ) - এর কাছে যাই । তখন রজব মাসের অল্প কয়েক দিন বাকি ( অবশিষ্ট ) ছিল । আমার উপর তাঁর দৃষ্টি পড়লে তিনি ( আ:) বললেন : " এ মাসে কি তুমি রোযা রেখেছ ? " আমি বললাম : " না "। তখন তিনি বললেন : " তুমি এতটা সওয়াব ( পূণ্য ) হারিয়েছ যে একমাত্র আল্লাহ পাক ব্যতীত আর কেউ তা জানে না । নিশ্চয়ই রজব হচ্ছে এমন মাস যা মহান আল্লাহ অন্য সকল মাসের উপর মর্যাদা দিয়েছেন এবং এ মাসটিকে অত্যন্ত সম্মানিত করেছেন এবং এ মাসে রোযা রাখার বিধান দেয়ার মাধ্যমে এ মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন নিজের উপর অবধারিত ( ওয়াজিব ) করেছেন । " অত:পর আমি বললাম : " ইয়াবনা রাসূলিল্লাহ ( হে রাসূলুল্লাহর সন্তান ) যদি আমি রজব মাসের এ অবশিষ্ট কয়েকটি দিন রোযা রাখি তাহলে আমি এ মাসে রোযা রাখার সওয়াবের কিছু অংশ পাব কি ? " তখন তিনি বললেন : হে সালিম , যে ব্যক্তি এ মাসের শেষের দিকে ( শেষ ভাগে ) যে কোনো একদিন রোযা রাখবে মহান আল্লাহ তাকে তীব্র মৃত্যু যন্ত্রণা , মৃত্যোত্তর বিভীষিকা এবং কবরের আযাব থেকে নিরাপদ রাখবেন ; আর যে কেউ এ মাসের শেষের দিনগুলোর মধ্য থেকে দুদিন রোযা রাখবে সে কিয়ামত দিবসে সিরাতের উপর দিয়ে সহজে পার হয়ে যাবে ; আর যে কেউ এ মাসের শেষের দিনগুলোর মধ্য থেকে তিন দিন রোযা রাখবে সে কিয়ামত দিবসের ভীষণ ভয় - ভীতি , তীব্র কষ্ট ও বিভীষিকা থেকে নিরাপদ থাকবে এবং দোযখের আগুন থেকে মুক্তির সনদও লাভ করবে । "

রজব মাসের অনেক ফযীলৎ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে । হাদীসে বর্ণিত হয়েছে : " যদি কোন ব্যক্তি এ মাসে রোযা রাখতে অপারগ হয় এবং সে যদি প্রতি দিন নিম্নোক্ত এ তসবীহ টি ১০০ বার পাঠ করে তাহলে তাকে প্রতিটি দিবসের রোযার সওয়াব ( পূণ্য ) দেয়া হবে । তাসবীহটি :

سُبْحَانَ الْإِلٰهِ الْجَلِیْلِ سُبْحَانَ مَنْ لَایَنْبَغِيْ التَّسْبِیْحُ إِلَّا لَهُ سُبْحَانَ مَنْ لَّبِسَ الْعِزَّ وَ هُوَ لَهُ أَهْلٌ .

সূত্র : মাফাতিহুল জিনান

অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .