হু্জ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
চৌত্রিশতম অমীয় বাণী। গ্রন্থ শিরোনাম : চল্লিশটি অমীয় বাণী। (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ) সংকলন : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ)।
বিষয় : ওই লোকদের ব্যপারে যারা মানবিকতা থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে।
বিখ্যাত আলেম শেখ সাদুক্ব (রহঃ) বর্ণনা করেন :
اِنَّه قِیْلَ لِاَبِیْ عَبْدِ اللّٰهِ عَلَیْهِ السَّلامُ اَتَرٰی هٰذَا الْخَلْقَ کُلَّه مِنَ النَّاسِ؟
فَقَالَ:
اَلْقِ مِنْهُمُ التَّارِكَ لِلسِّوَاكِ
وَ الْمُتَرَبِّعَ فِیْ مَوْضِعِ الضِّیْقِ
وَ الدَّاخِلَ فِیْمَا لا یَعْنِیْهِ
وَالْمَمَارِیْ فِیْمَا لاعِلْمَ لَه بِه
وَ الْمُتَمَرِّضَ مِنْ غَیْرِ عِلَّةٍ
وَالْمُتَشَعِّثَ مِنْ غَیْرِ مُصِیْبَةٍ
وَالْمُخَالِفَ عَلٰی اَصْحَابِه فِیْ الْحَقِّ وَ قَدْ اِتَّفَقُوْا عَلَیْهِ
وَالْمُفْتَخِرَ بِاَبَائِه وَ هُوَ خَلَوٌ مِنْ صَالِحِ اَعْمَالِهِمْ فَهُوَ بِمَنْزِلَةِ الْخَلَنْجِ یُقْشَرُ لَحَا عَنْ لَحَا حَتّٰی یُوْصَلَ اِلٰی جَوْهَرِیَّتِه وَ هُوَ کَمَا قَالَ اللّٰهُ عَزَّ وَ جَلَّ اِنَّ هُمْ اِلَّا کَالْاَنْعَامِ بَلْ هُمْ اَضَلُّ سَبِیْلاً
ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-কে জিজ্ঞাসা করা হয় :
“আপনি যে সমস্ত মানুষকে দেখতে পাচ্ছেন এদেরকে কি মানবতার মধ্যে গণ্য করা হয়?”
তিনি (আঃ) বলেন : (নিম্নলিখিত) লোকদেরকে মানবজাতি থেকে বহিষ্কার করে দাও।
" যে মেসওয়াক ত্যাগ কারে,
যে সংকীর্ণ স্থানে প্রশস্ত আসন গ্রহণ করে,
যে অন্যের বিষয়ে অযথা হস্তক্ষেপ করে অথচ ঐ বিষয়বস্তু থেকে তার কোন সম্পর্ক নেই,
যে এমন বিষয়ে ঝগড়া করে, যে বিষয়ে তার কোন জ্ঞান নেই,
যে অকারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে,
যে বিনা মসিবতে নিজের চুলে ধুলো বালি ছিটিয়ে নেয়,
যে সত্যের প্রতি বিদ্যমান নিজের সহকর্মীদের বিরোধিতা করে অথচ নিজেদের মধ্যে তারা সহমত,
যে নিজের পূর্বপুরুষদের উপর গর্ববোধ করে, অথচ সে নিজেই নেককর্ম থেকে শূন্য, এই ব্যক্তি খালাঞ্জের মতো। (যার ছালকে ফার্সি ভাষায় খাদং বলা হয় আর এই বৃক্ষের কাঠ তীর তৈরির জন্য উপযোগী। তারা এই বৃক্ষের ছাল ছাড়িয়ে ফেলে, যাতে এটি তার আসল মর্মে পৌঁছাতে পারে। সুতরাং যেভাবে খাদং বৃক্ষের ছাল ছাড়িয়ে ফেলে দেওয়া হয় অথচ ওই ছাল কাঠের কার্নেল এবং সারাংশের সাথে মিশে থাকে। ঠিক তেমনভাবে যার মধ্যে তার পূর্বপুরুষদের কোন গুণাবলী পাওয়া যায় না তারা এমন ব্যক্তির কোন পরোয়া করে না)
এর উদাহরণ ঠিক ওদের ন্যায় যেভাবে বিশ্বজগতের প্রতিপালক বলেছেন যে, তারা হল চতুষ্পদ জন্তুর মত, বরং তার থেকেও নিকৃষ্ট এবং তারা পথভ্রষ্ট।
বিহারুল আনওয়ার খন্ড ৭০ পৃষ্ঠা ১১..
মহান আলেম শেখ আব্বাস কুম্মী (রহঃ) বলেন, কতো সুন্দর কথা বলা হয়েছে যা সর্বোত্তম।
اَلْعَاقِلُ یَفْتَخِرُ بِالْهِمَمِ الْعَالِیَةِ لا بِالرَّمَمِ الْبَالِیَةِ کُنْ اِبْنَ مَنْ شِئْتَ وَاکْتَسِبْ اَدَبًا یُغْنِیْكَ مَحْمُوْدُه عَنِ النَّسَبِ اِنَّ الْفَتٰی مَنْ یَقُوْلُ هَا اَنَا ذَا لَیْسَ الْفَتٰی مَنْ یَّقُوْلُ کَانَ اَبِیْ
"জ্ঞানী ব্যক্তি সাহস ও বীরত্বের উপর গর্ববোধ করে, (পূর্বপুরুষদের) পচা হাড়ের উপর নয়।
যার ইচ্ছা তার পুত্র হয়ে যা তবে নৈতিকতা শেখ, ভাল নৈতিকতা তোকে বংশ পরম্পরা থেকে অমুখাপেক্ষী করে তুলবে।
বীর পুরুষ তো সেই, যে বলবে, আমি হলাম (অনেক পরিপূর্ণতা ও সদগুণের অধিকারী), বীর সে নয়, যে এটা বলবে, আমার বাবা এমন ছিলেন।"