অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মাহে রমযানের রোযার পূর্ব প্রত্ততিমূলক পদক্ষেপ সমূহ
১. একজন দক্ষ ইসলামী তাবীবের ( চিকিৎসক) তত্ত্বাবধানে নিজের তাব্' ( দেহ ও মনের তবিয়ত ও প্রকৃতি ) সংশোধন করানো
২. দুপুরের খাবার ( লাঞ্চ বা নাহার ) খাওয়া ত্যাগ করা অর্থাৎ না খাওয়া [ দুই বেলা খাওয়া : সকালের নাশতা ও রাতের প্রথম ভাগে এশার নামাযের ওয়াক্তের শুরুতে এশার নামায পড়ার পর রাতের খাবার ( শাম বা ডিনার ) খাওয়া ]
৩. ভোরের শুরুতে অর্থাৎ প্রভাতের একদম প্রথম দিকে নাশতা করা
৪. রাতের শুরুতে রাতের খাবার ( শাম / আশা ) খেয়ে নেওয়া
৫. মাহে রমযানের মূলনীতি মালা অনুযায়ী নিদ্রা ও ঘুম থেকে ওঠা অর্থাৎ জাগার সময় তানযীম ( নির্ধারন ও নিয়ন্ত্রণ ) করা
৬. ফাস্ট ফুড ও কড়া মসল্লা যুক্ত খাবার পরিহার ও বর্জন
৭. ক্যাফেইন যুক্ত পানীয় পানের পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে এক পর্যায় তা বাদ দেওয়া
৮. ফল ও শাক-সবজি খাওয়া
৯.( চিনির বদলে ) কিসমিস , খোরমা ( খেজুর ) , তুঁত্ ফল ( Mulberry ) ইত্যাদি খাওয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক উপায়ে রক্তে চিনি বা শর্করার মাত্রা (ব্লাড সুগার লেভেল ) নিয়ন্ত্রণে রাখা
১০. কিশোর ( নওজোয়ান ) ও যারা প্রথম রোযা রাখছে তারা সেকাঞ্জাবীনের ( Oxymel ) শরবত এবং কাসনি ( Chicory ) , খোরফা ( portulaca oleracea বা purslane ) ইত্যাদির মতো বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি বেশি খাবে
১১. ইসলামী তাবীবের ( চিকিৎসক) তত্ত্বাবধানে ও নির্দেশনায় মাহে রমযানের আগমনের আগে হিজামত করানো
১২. বিশেষ করে যারা উষ্ণ প্রকৃতির তারা ডালের (lentil) সাওয়ীক্ব্ ( ছাতু ) খাবে
১৩. দেহ ও পাকস্থলী শক্তিশালী করতে সাওয়ীক্ব্ - ই কামিল ( পূর্ণ ছাতু ) খাওয়া
১৪. ফাতির পানি [ফুটিয়ে শীতল করা বা ঈষদুষ্ণ পানি ( lukewarm water ) ] পান বিশেষ করে ইয়াবূসাত ( শরীরের কষাভাব ও কোষ্ঠকাঠিন্য ) দূর করতে খালি পেটে ফাতির পানি পান করা ।
সূত্র : তিব্ব - ই ইসলামী - ই তাহা