হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা তাকী আব্বাস রিজভী
হ্যাঁ, সম্মানিত রোজাদার! রমজানের শুভ দিন এবং বরকতপূর্ণ সময় খুব দ্রুত কেটে যাচ্ছে, এবং প্রতি বছর এমন হয় যে আমরা আমাদের জীবনের সাধারণ ব্যস্ততা থেকে দূরে সরে গিয়ে রোজার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর ইবাদত, আত্মার পরিশুদ্ধি এবং আত্মার চাহিদা পূরণের একটি প্রোগ্রাম তৈরি করতে করতে দেখি রমজান মাস খুবই দ্রুত গতিতে চলে যায়....।
এইতো গতকালই সারা মুসলিম বিশ্বসহ আমরা রমজান মাসের আগমনের অপেক্ষায় ছিলাম।
এবং আজ দেখতে দেখতে আল্লাহর মাসের আট তারিখ আমাদের ছেড়ে চলে এগেছে!
এই বরকতময় মাসে আমরা আমাদের দুনিয়ার অস্থায়ী জীবনের মতো আমাদের অনন্ত জীবনের জন্য কিছু প্রস্তুতি নিতে পারি এবং রোজা রেখে ইবাদত-বন্দেগী, দোয়া ও নেক আমলের মাধ্যমে আমাদের আল্লাহকে খুশি করতে পারি এবং রাসূল ও নবী পরিবারের সান্নিধ্য লাভ করতে পারি।
যদি! এই বরকতময় মাসে আন্তরিক নিয়ত ও দৃঢ় নিয়তে আমরা তাঁর মূল্যবান মুহূর্তগুলোকে লুণ্ঠন ও ক্ষমতার অমূল্য উপহার হিসেবে বিবেচনা করে তাওবা ও আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতাম...!
যদি! এ মাসে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে আমাদের নফস সংস্কার হতো, আমাদের অন্তর পরিশুদ্ধ হতো, আমাদের মধ্যে তাকওয়া সৃষ্টি হতো।
আমরা ধৈর্য ও সহনশীলতার উপাদান গড়ে তুলতাম, আমরা একে অপরকে ক্ষমা করতে শিখতাম এবং এভাবে আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া রমজান মাসে রোজা রাখার লক্ষ্যগুলি পূরণ হত!
এটাই! এখন আসুন বাকি দিনগুলোতে যাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যদি আমরা এ মাসে কোনো সার্থক কাজ করতে না পারি, তাহল সকল অপ্রয়োজনীয় কাজকে একপাশে রেখে আল্লাহর রহমত ও বরকত সংগ্রহে যথাসম্ভব সময় ব্যয় করা উচিৎ। কারণ এই মাসই হবে বিচার দিবসে প্রভুর সামনে আমাদের ক্ষমা ও সাফল্যের উৎস.....