۲۸ فروردین ۱۴۰۳ |۷ شوال ۱۴۴۵ | Apr 16, 2024
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / হযরত রাসূলুল্লাহর ( সা.) প্রথম সহধর্মিণী হযরত খাদীজা বিনতে খুওয়াইলিদ্ ( আ.) এর শাহাদাত সম ওফাত দিবস ১০ রমযান ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

(১০ রমযান ১৪৪৩ হি.)

পর্ব ৩- পূর্বোক্ত হাদীস সমূহ সম্পর্কে কিছু কথা :

রাসূলুল্লাহ (সা:) কেন চারটি রেখা এঁকে ছিলেন ?

এ প্রশ্নের জবাবে বলতে হয় : তিনি ( সা:) সবার সামনে চার রেখা

অংকন করে আসলে সমগ্র সৃষ্টি জগতের সকল প্রজন্মের নারীকুলে শুধু মাত্র ঐ চার শ্রেষ্ঠ নারীর নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের কথা ( الأفضلية المطلقة ) পরম নিরঙ্কুশ নিখুঁত সীমিত করণ ( الحصر المثالي ) ও সীমাবদ্ধ করণ প্রক্রিয়ায় স্পষ্ট দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ব্যক্ত ও প্রকাশ করেছেন যাতে করে ভবিষ্যতে তাঁর অবর্তমানে কোনো ব্যক্তি যেন দাবী করতে না পারে যে উল্লেখিত এই চার নারী ব্যতীত আরো নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী নারী আছেন । অর্থাৎ মহানবী (সা:) সর্বশ্রেষ্ঠ নারীদের সংখ্যা - যা হচ্ছে ৪ তা - নির্ধারণ করেছেন ; তিনি সৃষ্টি জগতের সর্বশ্রেষ্ট নারীদের সংখ্যা তাঁদের নাম সহ ৪ এর মধ্যে সীমিত ও সীমাবদ্ধ করে দিয়েছেন যা অলংঘনীয় । অতএব যদি এতদসত্ত্বেও কোনো ব্যক্তি দাবী করে যে উক্ত ৪ শ্রেষ্ঠ নারী ছাড়াও আরও নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী নারী আছেন তাহলে সুনির্দিষ্ট সংখ্যায় ব্যক্ত ও প্রকাশিত উক্ত পরম নিরঙ্কুশ নিখুঁত সীমাবদ্ধ ও সীমিত করণ নীতির ( আল - হাসর আল মিসালী الحصر المثالي ) আলোকে ঐ দাবী মিথ্যা প্রতিপন্ন হবে । আর এ নীতি ও সূত্র হবে ঐ মিথ্যা দাবিকারীর বিপক্ষে শক্ত দলীল ( হুজ্জত ) ।

মহানবী ( সা.) কর্তৃক এ নীতি অবলম্বন এ বিষয়টারও ইঙ্গিত বহ যে ভবিষ্যতে মহানবীর সা রিহলাতের ( ওফাত ) পরে কিছু ব্যক্তি এই চার নারী ছাড়াও আরো কিছু নারীর নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্বের ( الأفضلية المطلقة ) মিথ্যা দাবি করবে । আর তাঁর ( সা.) পরে এ ধরণের দাবিও করা হয়েছে ।

মহানবীর ( সা.) পথ ও মতই হচ্ছে একমাত্র সিরাতে মুস্তাকীম ( সরল সঠিক পথ ) অর্থাৎ হিদায়তের পথ । আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ ( রা.) বলেন : মহানবী ( সা .) একদা নিজ হাতে একটি সরল রেখা এঁকে বললেন : এটাই হচ্ছে মহান আল্লাহর সরল সঠিক পথ । এর পর তিনি ঐ রেখার ডান ও বাম পাশে আরো কতকগুলো রেখা এঁকে বললেন : এগুলো হচ্ছে এমন সব পথ যেগুলোর প্রতিটির দিকে ইবলীস শয়তান সবাইকে ডাকছে ও আহ্বান করছে ( অর্থাৎ এগুলো সবই হচ্ছে গুমরাহীর পথ ) । এরপর তিনি ( সা.) সূরা - ই আন্'আমের ১৫৩ নং আয়াত তিলাওয়াত করলেন :

وَ أَنَّ هٰذَا صِرَاطِيْ مُسْتَقِيْمَاً فَاتَّبِعُوْهُ ، وَ لَا تَتَّبِعُوْا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيْلِهِ .

আর এটাই হচ্ছে আমার পথ যা হচ্ছে সরল সঠিক পথ । অতএব তোমরা ( সবাই ) এর অনুসরণ করবে । আর তোমরা (এ পথ বাদ দিয়ে ) অন্য সকল পথের অনুসরণ করো না ; আর যদি তা করো তাহলে তোমরা ( সবাই ) তাঁর ( মহান আল্লাহ ) পথ থেকে বিচ্যুত

হয়ে যাবে । ( সূরা -ই আন্'আম : ১৫৩ )

আরেকটি বিষয় এখানে সবিশেষ প্রণিধানযোগ্য । আর তা হলো :

চার শ্রেষ্ঠ নারীর পরিচিতিমূলক এ সব হাদীস ও রিওয়ায়তের কোনো কোনোটিতে ( ১নং , ২নং ও ৩নং হাদীস ) হযরত খাদীজার নাম সর্বাগ্রে এবং

কোনো কোনো হাদীসে ( ৪ , ৫ , ৬ ৭ নং ও ৮ নং হাদীস ) হযরত মারয়ামের ( আ .) নাম সর্বাগ্রে উল্লেখিত হয়েছে । আসলে এ থেকে যে বিষয়টা স্পষ্ট হয়ে যায় তা হচ্ছে যে , এ সব হাদীসের লক্ষ্য হচ্ছে স্রেফ সর্বশ্রেষ্ঠ চার নারীকে পরিচিত

করিয়ে দেয়া ; তবে সর্বশ্রেষ্ঠ এ চার নারীর মধ্যে কে সর্বশ্রেষ্ঠ তা ব্যক্ত ও উল্লেখ করা এ সব হাদীসের লক্ষ্য নয় । তাই আমরা দেখতে পাই যে কতিপয় হাদীসে হযরত খাদীজার নাম সর্বাগ্রে এবং কতিপয় হাদীসে হযরত মারয়ামের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখিত হয়েছে । কেবল একটি হাদীসে ( এ প্রবন্ধের ৪ নং হাদীস ) উক্ত চার নারীকে নিজ নিজ যুগ অর্থাৎ সমসাময়িক প্রজন্মের নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম বলার সাথে সাথে হযরত ফাতিমাকে (আ.) সমগ্র বিশ্ব জগতে সকল প্রজন্মে শ্রেষ্ঠ এই চার নারীর মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম বলা হয়েছে । সমাপ্ত

تبصرہ ارسال

You are replying to: .