হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনের সরকারী বার্তা সংস্থা সাবার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাহজ এবং অন্যান্য প্রদেশ সহ ইয়েমেনের বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ হয়েছে যার ফলস্বরূপ বেসামরিক লোক শহীদ ও আহত হয়েছে।
আল-মাসিরা টিভিও জানিয়েছে যে ইয়েমেনের সংসদ সদস্যরা এক বিবৃতিতে দক্ষিণ ইয়েমেনের দখলকৃত শহরগুলিতে সৌদি জোটের অপরাধের তীব্র নিন্দা করেছেন।
তিনি অপরাধগুলিকে "মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন" এবং "ইয়েমেনের জনগণের জন্য সমস্যা বৃদ্ধি" হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
ইয়েমেনের পার্লামেন্ট জাতিসংঘকে ইয়েমেনি যাত্রী ও অসুস্থদের জন্য সানা বিমানবন্দর পুরোপুরি খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইয়েমেনি জনগণের সামনে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে দখলকৃত অঞ্চলের অনিরাপদ সড়ক।
সানা বিমানবন্দরই একমাত্র উৎস যার মাধ্যমে ইয়েমেনি জনগণের জন্য মানবিক সাহায্য ইয়েমেনে পৌঁছাতে পারে এবং অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া যায়।
যাইহোক, সৌদি জোটের নিষেধাজ্ঞা এবং আগ্রাসনের কারণে বিমানবন্দরটি ২০১৬ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে এবং সেখান থেকে শুধুমাত্র ত্রাণ বা জাতিসংঘের ফ্লাইট চলাচল করছে।
গত কয়েক মাস ধরে সৌদি জোটের আক্রমণে সানা বিমানবন্দরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে সব ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন গভর্নমেন্টের প্রধানমন্ত্রী আবদুল আজিজ বিন হাবতুর বলেছিলেন যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের দখলকৃত অঞ্চলের পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে উভয় দেশই তাদের আগ্রাসী উদ্দেশ্য ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ এবং ইয়েমেনের ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইয়েমেনের জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করতে এবং সে দেশে ইহুদিবাদী মার্কিন ও ব্রিটিশ সরকারের স্বার্থ রক্ষার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।