মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান
কানাডার টরেন্টো ভার্সিটির একদল গবেষক দীর্ঘ দিন গবেষণায় এ ফলাফলে উপনীত হয়েছেন যে, আস্তিক ব্যক্তি তথা আল্লাহর উপর বিশ্বাসী ব্যক্তির মস্তিস্কের কোষগুলো নাস্তিক ও কমিউনিষ্ট ব্যক্তির তুলনায় বেশি সক্রিয় ও সুশৃঙ্খল।
কানাডার টরেন্টো ভার্সিটির মস্তিস্ক ও মানসিক বিশেষজ্ঞদের একটি টিম দীর্ঘ দিন গবেষণা পরিচালনার পর এমন ফলাফলে পৌছেছেন যে, আল্লাহর উপর বিশ্বাস ও আস্থা মানুষের মস্তিস্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এ গবেষণায় যারা সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাসী ও যারা সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করে না উভয় শ্রেণীর লোকদের মস্তিস্কের কোষগুলোর মধ্যে সুষ্পষ্ট পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে।
ফরাসী বার্তা সংস্থার খবরে বলা হয়েছে যে, এ গবেষণায় দেখা গেছে যে, আকস্মিক কোন দূর্ঘটনা কিংবা দু:সংবাদ শোনা মাত্র নাস্তিক ও সেক্যুলার ব্যক্তিদের মস্তিকে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সময় তাদের মস্তিস্কের কোষগুলো অনিয়ন্ত্রিত ও অনিয়মিত হয়ে পড়ে; ফলে তাদের থেকে যে কোন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে। পক্ষান্তরে যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসপোষণ করে তারা এ ধরনের কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় উৎকণ্ঠিত ও অস্বস্তিবোধ করে না। আল্লাহর প্রতি ঈমান ও আস্থা থাকায় তারা নাস্তিক ও ধর্মহীন ব্যক্তিদের তুলনায় অনাকাংখিত কোন পরিস্থিতিতে কম উদ্বিগ্ন ও ধৈর্যহারা হয়ে থাকে।
আল্লাহর উপর বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী লোকদের মস্তিস্কের কোষসমূহের কার্যক্ষমতার মধ্যেও ব্যবধান পরিলক্ষিত হয়েছে। আস্তিক ব্যক্তির মস্তিস্কের কোষসমূহ নাস্তিক ব্যক্তি অপেক্ষা নিয়মতান্ত্রিক ও সুসৃঙ্খলভাবে কাজ করে এবং যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলায় তুলনামূলক কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে।