হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ! যদি চান আপনাদের দুশমনেরা সব সময় আপনাদের কাছ থেকে নিরাশ হোক তাহলে বেলায়াতকে আকড়ে ধরুন এবং তাকে জীবিত করে রাখুন। কারণ ঠিক যেভাবে সেদিন (গাদীরে খুমে) ইসলামের দুশমনরা বেলায়াত উপস্থাপনের কারণে নিরাশ হয়েছিল আজকেও যদি বেলায়তকে জীবিত করি এবং তাকে আকড়ে ধরি তাহলে দুশমন ও মুনাফেকরা নিরাশ হয়ে যাবে।
আজকের এই যুগে আমরা অবশ্যই দৃষ্টির আড়ালে লুকায়িত কিন্তু অন্তরে উপস্থিত ইমাম হযরত হুজ্জাত ইবনুল হাসান আল আসকারী (আঃ) এর প্রতি দৃষ্টি রাখবো, তাঁর অবস্থা ও তাঁর চারপাশে অবস্থান নেব। কারণ তার বেলায়াতকে মেনে নেয়ার মাধ্যমে আজকের যুগের নানাবিধ সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যাবে। অতএব বেলায়াতের জ্যান্ত বিষয়টি সকলের ঐক্যবদ্ধতা ও উজ্জল আশার সুখবর এবং এটা সৌভাগ্য ও আশার উৎস, ঠিক যেভাবে বেলায়াত থেকে দূরে থাকলে তা বিশৃংখলা, হতাশা ও ব্যর্থতার উৎস।
যদি মুসলিম বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনতা শুধুমাত্র এই মূলনীতি নিয়ে আমল করতে পারতো; কাধে কাধ মিলিয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে পারতো তাহলে ফিলিস্তিনে এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনা প্রতি দিনই পুনরাবৃত্তি হতোনা এবং ফিলিস্তিনি মুসলমানরা বিশ্ববাসীর চোখের সামনে এমন নির্যাতিত হতোনা। অতএব ইসলামের দুশমনদের নিরাশা ও হতাশার একমাত্র উপায় হল বেলায়াতের রজ্জুকে আকড়ে ধরা।
উপরের লেখাটি 'আয়াতুল্লাহ মাকারেম শিরাজী সাহেবের রচিত অনবদ্য গ্রন্থ "বেলায়াত সম্পর্কিত আয়াতসমূহের তাফসীর" নামক গ্রন্থের ৫৬ পৃঃ থেকে সরাসরি তুলে দেওয়া হলো ৷
প্রচারেঃ সত্যের পথে পত্রিকার সম্পাদক মুস্তাক আহমদ ০৭- ০৭ – ২০২২
দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হাওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।