মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান (মুহররম, ১৪৪৪ হি.)
সালামুন আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ওয়া বারাকাতুহ্ ।
পর্ব ১- আবূ আব্দিল্লাহ ইমাম হুসাইনের ( আ:) উপর সালাম ; আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবেদীনের ( আ:) উপর সালাম ; ইমাম হুসাইনের ( আ:) আওলাদে কিরামের( আ:) উপর সালাম ; ইমাম হুসাইনের ( আ:) আসহাবের ( সঙ্গী সাথীগণ ) উপর সালাম যাঁরা সবাই নিজেদের বুকের তাজা রক্ত উৎসর্গ করেছেন ইমাম হুসাইনের ( আ:) সান্নিধ্যে এবং তাঁকে কভু করেন নি ত্যাগ কারবালার মরু প্রান্তরে ;
মুহাররমের উপর সালাম ; কারবালার উপর সালাম ; দাশতে নেইনাভার ( নেইনাভার মরুপ্রান্তর ) উপর সালাম ; যাইনাবের ( আ:) উপর সালাম ; আহলুল বাইতের ( আ:) উপর সালাম ; ক্বামার - ই - বনী হাশেম ( বনী হাশেমের চাঁদ ) আব্বাস - ই আলমদারের ( আ:) ( ইমাম হুসাইনের আ: মহাপতাকাবাহী আব্বাস ইবনে আলী ইবনে আবী তালিব ) উপর সালাম ; শিবহে পয়গম্বর সীরাতান ওয়া সূরাতান খালকান ওয়া খুলুকান (রাসূলুল্লাহর সা. চেহারা মুবারক ও চরিত্র সদৃশ ) আলী আকবরের ( আ:) উপর সালাম ; ক্বাসিম ইবনুল হাসানের ( আ:) উপর সালাম ; ( ইমাম হুসাইনের ) ছয় মাসের দুগ্ধপোষ্য শিশু সন্তান হযরত আলী আসগারের ( আ:) উপর সালাম ; খূন -ই কারামের ( সম্মানিত মহানুভব ব্যক্তিবর্গের রক্ত ) উপর সালাম ।
তরবারির উপর রক্তের বিজয়ের মাস মুহাররমুল হারামের উপর সালাম ।
মুহাররাম হচ্ছে ইসলামে ঐ অতি সম্মানিত মাস চতুষ্টয়ের অন্তর্ভুক্ত যে মাস গুলোয় যুদ্ধ হারাম ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে শরিয়তে । অথচ কমজাত কাফির ইয়াযীদ , বনী উমাইয়া , উবাইদুল্লাহ ইবনে মার্জানা , উমর ইবনে সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস , শিমার ইবনে যিল জওশন এই নিষিদ্ধ মাসেই সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের ( সা:) সন্তান বেহেশতের যুবকদের নেতা ইমাম হুসাইন ( আ:) ও রাসূলুল্লাহর (সা:) আহলুল বাইতের ( আ:) বিরুদ্ধে নাহক যুদ্ধ করে তাদেরকে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে হত্যা করেছে । যেমন করে ভেড়াকে যবেহ করা হয় ঠিক সে ভাবেই ইমাম হুসাইনকে ( আ:) যবেহ করেছে এই ধর্মত্যাগী বদকার ইয়াযীদীরা । আর গোটা উম্মত এ জঘন্য অপরাধ বসে বসে প্রত্যক্ষ করেছে এবং মযলূম ইমাম হুসাইনকে (আ:) সাহায্য করা থেকে বিরত থেকেছে । তাই এই গাদ্দার উম্মত কিভাবে আশা করে কাল কিয়ামত দিবসে মহানবী হযরত মুহাম্মদ আল মুস্তফার ( সা:) শাফায়াতের এবং ঐ বেহেশতে প্রবেশের যার অধিবাসী যুবকদের নেতৃদ্বয় হচ্ছেন নবীদৌহিত্রদ্বয় ইমাম হাসান ( আ:) ও ইমাম হুসাইন ( আ:) । সহীহ হাদীসে মহানবী ( সা :) হযরত আলীকে ( আ :) উম্মতের গাদ্দারির সংবাদ দিয়ে বলেছিলেন : নিশ্চয়ই এই উম্মত আমার পরে তোমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ও খিয়ানত (গাদ্দারী ) করবে ; অথচ তুমি জীবন যাপন করবে আমার ধর্মের ( মিল্লাত ) উপর এবং আমার সুন্নাহর উপর নিহত ( শহীদ ) হবে ; তোমাকে যে ভালোবাসবে সে আমাকেই ভালবাসবে এবং তোমাকে যে ঘৃণা করবে সে আমাকেই ঘৃণা করবে ; আর এটা ( হযরত আলীর - আ: - মাথা থেকে তাঁর পবিত্র দাড়ী ) রক্ত রঞ্জিত হয়ে যাবে ( অর্থাৎ তিনি গাদ্দার উম্মতের হাতে শাহাদাত বরণ করবেন ) ।
۴۷۶۶ - عَنْ حَیَّانِ الْأَسَدِيِّ سَمِعْتُ عَلِیَّاً یَقُوْلُ : قَالَ لِيْ رَسُوْلُ اللّٰهِ -ص-
«إِنَّ الْأُمَّةَ سَتَغْدُرُ بِکَ بَعْدِيْ وَ أَنْتَ تَعِیْشُ عَلَیٰ مِلَّتِيْ وَ تُقْتَلُ عَلَیٰ سُنَّتِيْ ، مَنْ أَحَبَّکَ أَحَبَّنِيْ ، وَ مَنْ أَبْغَضَکَ أَبْغَضَنِيْ ، وَ إِنَّ هٰذِهِ سَتُخْضَبُ مِنْ هٰذَا » یَعْنِيْ لِحْیَتَهُ مِنْ رَأْسِهٖ . صَحِیْحٌ
-(۴۷۴۴ )وافقه الذهبي في التلخیص : صحیح .
( দ্র : আল হাকিম আল নিশাপুরীর আল মুস্তাদ্রাক আলাস সহীহাইন , খ : ৩ , পৃ : ৩৫৩ , হাদীস নং ৪৭৪৪ ; আল হাকিম এ হাদীসটি সহীহ বলেছেন এবং আল্লামা যাহাবীও আত - তালখীস গ্রন্থে তাঁর সাথে একমত পোষণ করে বলেছেন যে এ হাদীসটি সহীহ ) ।…চলবে…