হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মুহাররম ও সফর - এ দুই মাস মহানবীর (সা) পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) জন্য শোক কাল । আশুরার দিবসে ( ১০ মুহাররম ৬১ হিজরী ) কারবালার বিয়োগান্তক ঘটনা অর্থাৎ ইমাম হুসাইন এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ একনিষ্ঠ সঙ্গীসাথীদর ( আসহাব) শাহাদাত এবং ইমাম যাইনুল আবেদীন (আ) ও হযরত যাইনাব সহ মহানবীর আহলুল বাইতের (আ) অসহায় নারী ও শিশুদের বন্দী করে কারবালা থেকে কূফা এবং কূফা থেকে শামের দামেস্কে পাপীষ্ঠ ইয়াযীদের দরবারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এই মুহররম ও সফর পুরো দু' মাস তাঁদের ওপর দিয়ে বিপদের ঝড় প্রবাহিত হয়েছে। তাঁরা অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে মহান আল্লাহর পথে পবিত্র কুরআন, রাসূলুল্লাহর সুন্নাহ ও দ্বীনে ইসলাম রক্ষার জন্য তাঁরা ( মহান আহলুল বাইত আ) এত সব অবর্ণনীয় দু:খ , কষ্ট , ক্লেশ ও যাতনা ভোগ ও সহ্য করেছেন । তাই আহলুল বাইতের (আ) অনুসারী ও মুহিব্ব মুওয়ালী হিসেবে এই দু মাস কাল ( মুহাররম ও সফর ) নিম্নোক্ত আমল করা উচিত:
ইমাম হুসাইনের (আ) নাম শোনামাত্র তিন বার বলা :
صَلَّی اللّٰهُ عَلَیْکَ یَا أَبَا عَبْدِ اللّٰهِ
" হে আবূ আব্দিল্লাহ ( ইমাম হুসাইন ) ! আপনার ওপর মহান আল্লাহ দরূদ ও সালাত প্রেরণ করুন। " ( আর এটা এক ধরণের যিয়ারতও । )
ইমাম হুসাইনের (আ) আসহাবের ( সঙ্গী সাথীগণ ) নাম শুনলে বলা উচিত :
یَا لَیْتَنِیْ کُنْتُ مَعَهُمْ فَأَفُوْزَ فَوْزاً عَظِیْمَاً
" হায় যদি আমি তাদের সাথে থাকতাম তাহলে আমি এক বিরাট বড় সাফল্য অর্জন করতাম ।"
আর এটা হচ্ছে ইমাম হুসাইন (আ) ও আহলুল বাইতের (আ) প্রতি তাওয়াল্লা প্রকাশের সংক্ষিপ্ত নমুনা ।
ইমাম হুসাইনের (আ) হত্যাকারী ও ঘাতকদের নাম শুনলেই আমাদের সবার বলা উচিত:
لَعَنَ اللّٰهُ قَاتِلِیْکَ یَا أَبَا عَبْدَ اللّٰهِ
হে আবূ আব্দিল্লাহ : আপনার হত্যাকারী ও ঘাতকদেরকে মহান আল্লাহ অভিশপ্ত করুন । আর এভাবেই আমরা ইমাম হুসাইন (আ) ও আহলুল বাইতের (আ) দুশমনের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারব ( বারাআত ও তাবার্রা ) ।
সংগ্রহ ও অনুবাদ: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
৭ মুহাররম , ১৪৪৪ হিজরী