۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
সালমান রুশদি
সালমান রুশদি

হাওজা / ইরানের রুহুল্লাহ খোমেনী'র ফতোয়া অনুসারে এক শিয়া রুসদীকে আক্রমণ করেছে ৷

মুস্তাক আহমদ

আবার উঠে এলো, New World Order নতুন চমক ৷ আমরা দেখলাম রুসদী আক্রমণ৷

এই রুসদী আক্রমণটি বিশ্বের মিডিয়া সমস্বরে এটাই বলছেঃ "ইরানের রুহুল্লাহ খোমেনী'র ফতোয়া অনুসারে এক শিয়া রুসদীকে আক্রমণ করেছে ৷"

এই বাক্যই মিডিয়া বার বার হুক্কাহুয়া স্বরূপ বলেই চলেছে ৷

আসলে কিন্তু তা নয় ৷ বরং বিষয়টির ভিতরের ভাবনাগুলি সম্পূর্ণ ভিন্ন ৷

এই রুসদী আক্রমণটি একটি সাজানো নাটক ৷

২২-বছর ধরে বিশ্বে দাজ্জালের মিডিয়া এটাই সুন্নী সমাজকে সন্ত্রাসবাদী দেখাবার চেষ্টা করেছে টুইন টাওয়ার ভাঙার পর থেকে লাদেনের মাধ্যমে ৷

এবার শিয়া সমাজকে সন্ত্রাস দেখানোর ষড়যন্ত্র শুরু হলো রুসদী আক্রমণের মাধ্যমে ৷

আমেরিকা যেমন নিজেই নিজেদের টুইন টাওয়ার ভেঙে লাদেন ধরার নামে আফগানিস্থান, পাকিস্তানের মাটিতে জুলুম শুরু করেছিল, ঠিক এমন ভাবেই আমেরিকা তার দেশেই তাদেরই সাজানো নাটকের মাধ্যমে ছেলেটিকে শিয়া সাজিয়ে রুসদী আক্রমণের নামে 'শিয়ারাও সন্ত্রাসবাদ' -এটা গোটা বিশ্বের তুলে ধরার অপপ্রয়াস ৷

আমেরিকাসহ গোটা বিশ্বের লোক খুব ভালোভাবে জানে যে, ১৪০০ বছর ধরে সুন্নীরা শিয়াদের উপরে অত্যাচার করে আসছে, কিন্তু শিয়ারা কোনদিন কারোর উপরে অন্যায় জুলুম করে নি, এমন নজির বিশ্বের কোথাও নেই৷

নিজেরাই নিজেদের সাজানো নাটকে রুসদী আক্রমণ করে এবার বিশ্বের মানুষকে বোঝানো হবে ...'শিয়ারাও সন্ত্রাসী' এটাও বোঝানো হবে ...দেখো দেখো কিভাবে একজন লেখককে মারছে ৷ কিন্তু মজার বিষয় এই লেখক রুসদীকে তারাই মেরেছে সাজানো নাটকের মাধ্যমে, সেদিন কোন শিয়া রুসদীকে আক্রমণ করেনি ৷

ভাবনার বিষয় হলোঃ

বিশ্বব্যাপী New World Order বাস্তবায়ন করতে দাজ্জালের সবথেকে বড় বাঁধা হলো বেলায়ত- এ-আলী অর্থাৎ ঐশী ইমামত ব্যবস্থা ৷ আর এই বেলায়ত বা ইমামত ব্যবস্থাটি শিয়াদের মধ্যেই আছে, এই মুহুর্তে বাকি বিশ্বে আর অন্য কোন ধর্ম বা মসলকের মধ্যে নেই, - এটা দাজ্জালরা খুব ভালোভাবে জেনে গেছে ৷

১- তাই দাজ্জাল চেষ্টা করছে শিয়াদের মধ্যে লড়াই লাগাতে ৷

২- তাই দাজ্জাল চেষ্টা করছে বেলায়ত-এ-ফকি'কে বদনাম করতে নিজেরাই রুসদীকে আক্রমণ করলো ৷

দ্রষ্টব্য: হাওজা নিউজে প্রকাশিত সমস্ত নিবন্ধ লেখকদের ব্যক্তিগত মতামতের উপর ভিত্তি করে। হাওজা নিউজের নীতি লেখকের মতামতের সাথে একমত হওয়া জরুরী নয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .