হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানের উত্তর সোয়াত অঞ্চলের নদীগুলো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। কিছু এলাকা থেকে স্কুলে বন্যার পানি ঢুকেছে বলে খবর পাওয়া গেছে যার কারণে শিশুরা স্পাইনি ক্লাসে আটকে পড়ে, পরে উদ্ধারকারী দল শিশুদের পানি থেকে বের করে।
এলাকার অনেক বাড়িঘর ও দোকানপাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। ছুটি শেষে স্কুলে যাওয়া পাঁচ শিশু বন্যার পানিতে ভেসে গেছে, যাদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। খাইবার পাখতুনখোয়ায় ভারী বর্ষণে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজার একরের বেশি ফসল নষ্ট হয়েছে।
পাকিস্তানের বৃহত্তম এবং উপকূলীয় শহর করাচিতেও বিভিন্ন এলাকায় বিরতিহীন বৃষ্টি হচ্ছে, যার কারণে কিছু মহাসড়ক যান চলাচলের জন্য বন্ধ করতে হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাশের নর্দমা লাইন আবারও জমে গেছে এবং বড় বড় গর্ত তৈরি হয়ে কিছু রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে, ডিজি খান বিভাগের চারটি জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে, এক জায়গায় বন্যার পানি সরকারি গোডাউনে প্রবেশ করায় হাজার হাজার বস্তা গম নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও রহিম ইয়ার খানে সিন্ধু নদীর বাঁধ ভেঙে কয়েক ডজন বসতি ও ফসলি জমি তলিয়ে গেছে এবং কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে।