মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমধ্য সাগরে ইসরাইল - লেবাননের বিতর্কিত মালিকানার ক্যারিশ গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস রিজার্ভ ২-৩ ট্রিলিয়ন ঘন ফুট যা হচ্ছে বিশ্বে গ্যাস উৎপাদনের একটা অতি ক্ষুদ্র সামান্য অংশ মাত্র ।
তবুও ইউক্রেন সংকটের কারণে রুশ গ্যাস রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য শীতকাল আসার আগে ইউরোপের গ্যাস ও জ্বালানি সংকটে সামান্য কিছু প্রভাব রাখতে পারে এই গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস উৎপাদন। আর প্রচার প্রোপ্যাগ্যাণ্ডার জন্যই ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেখাতে চাচ্ছে যে এই গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ইউরোপের গ্যাস চাহিদার খানিকটা পূরণ করতে পারবে ।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের জনগণকে আসন্ন শীতে গ্যাসের তীব্র সংকটে মনস্তাত্ত্বিক ভাবে চাঙ্গা রাখার জন্য এ কথা বলছে । আর বিশ্ব জুড়ে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের নতুন নতুন উৎস্য খুঁজে বের করে সেগুলো দখলের মহাধান্দায় আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ব্রিটেন , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নিয়ে নবগঠিত অ্যাংলোফোনীয় ( ইংরেজি ভাষাভাষী ) পাঁচ রাষ্ট্র জোট ।
স্মর্তব্য যে ব্রিটেন প্রায় বছর দেড়েক আগে ব্রেক্সিট করেছে এতদ উদ্দেশ্যেই । এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন এই অ্যাংলোফোনীয় জোট হন্যে হয়ে গ্যাস ও জ্বালানি তেল সম্পদ খুঁজবে বা খুঁজছে পৃথিবী জুড়ে। তাই এদের থেকে সাবধান হওয়া একান্ত বাঞ্ছনীয়। কারণ গ্যাস ও জ্বালানি তেল সম্পদ কব্জা করতে এ জোট বিশ্ব ব্যাপী বিভিন্ন দাঙ্গা , দ্বন্দ্ব , সংঘাত , সংকট , অস্থিরতা ও যুদ্ধ ঘটাতে ও বাধাতে পারে আগামী দিনগুলোতে।
আর সামনে বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের সম্ভাব্য গ্যাস খনিজ বিভিন্ন অঞ্চল যেমন : পার্বত্য চট্টোগ্রাম , সিলেট ও কুমিল্লার সম্ভাব্য গ্যাস খনিজ অঞ্চল যেমন তিতাস গ্যাস ফিল্ড এবং পার্শ্ববর্তী মনিপুর , রাখায়িন অঞ্চল ইত্যাদি কব্জা করে নিয়ে তা থেকে ঐ অ্যাংলোফোনীয় জোট গ্যাস আহরণের উদ্যোগ নিলে এবং এ জন্য এ অঞ্চলে নতুন নতুন দ্বন্দ্ব সংঘাত দেখা দিলে ও ভূ - রাজনৈতিক পরিবর্তন সাধন করা হলে বিস্ময়ের কিছু থাকবে না ।