হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, মহানবী (সা.) ও ইমাম সাদিক (আ.) এর শুভ জন্মদিনে ইরানের ইসলামী ব্যবস্থার নেতারা এবং ইসলামী ঐক্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অতিথিরা ইসলামী বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনায়ীর সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
এ উপলক্ষে ইসলামী বিপ্লবী নেতা একটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি তুলে ধরেন, যার কয়েকটি নিম্নরূপ:
নবী আকরামের ব্যক্তিত্ব বিশ্বজগতে অতুলনীয়। মহানবীর (সা.) শুভ জন্মদিন মহান রহমতের দিন। তাঁর শুভ জন্মদিনে ঈদ উদযাপন করার অর্থ কেবল উদযাপন এবং স্মরণ করা নয়, এটি পাঠ শেখার এবং মহানবীকে (সা.) আপনার আর্দশ বানানোর দিন।
ইসলামী উম্মাহর জন্য মহানবীর একটি শিক্ষা হল: 'মহানবী তোমার কষ্ট দেখে দুঃখ পেয়েছেন।' স্পষ্টতই এটি কেবল নবীর যুগের মুসলমানদের জন্য নয়। অর্থাৎ আজ ফিলিস্তিন, মায়ানমার ইত্যাদির মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট নবীজীর আত্মাকে কষ্ট দেয়।
সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা মুসলমানদের দুর্দশা দেখে খুশি। মুসলিম সম্প্রদায় কেন এত বিপাকে? অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা, সাম্রাজ্যবাদের আগ্রাসন ও দখল, গৃহযুদ্ধ ইত্যাদি। মুসলমানদের এই কষ্টের কারণ কি? এর একটি বড় কারণ হল মুসলমানদের মধ্যে বিভক্তি।
বর্তমান যুগে ইসলামী উম্মাহর সমস্যাগুলো মুসলমানদের পারস্পরিক বিভেদের ফল। আমরা যখন বিভক্ত হয়ে পড়ি, একে অপরের জন্য ভালো না চাই কিন্তু প্রায়শই খারাপ, তখন এই ফল হবে। কুরআন স্পষ্টভাবে বলে: যখন তোমরা নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে, তখন তোমরা রাগান্বিত হবে এবং অন্যদের জন্য তোমাদের প্রতি দুর্ব্যবহার করার পথ খুলে দেবে।
আজ শত্রুরা মুসলমানদেরকে মুত্তাহিদ হিসেবে দেখতে চায় না। এই এলাকায় তিনি ইহুদিবাদী শাসনের নামে ক্যান্সারের বীজ বপন করেছিলেন, যা ইসলামের শত্রু পশ্চিমের আস্তানা। ভয়ঙ্কর ও নির্দয় ইহুদিবাদীরা মাজলুম ফিলিস্তিনে বসতি স্থাপন করে এবং এ উদ্দেশ্যে একটি ভুয়া সরকার গঠন করে।
এখন শত্রুদের প্রচেষ্টা, ইহুদিবাদী সরকার, অর্থাৎ এই ক্যান্সারকে যেন শত্রু মনে না করে এবং এলাকার দেশগুলোর মধ্যে বিবাদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়। মুসলমানদের সাথে এই স্বাভাবিক সম্পর্ক স্থাপন করা একটি বড় বিশ্বাসঘাতকতা।
মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বলতে কী বোঝায়? মানে হল ইসলামী উম্মাহর স্বার্থ রক্ষায় ঐক্য, ইসলামী উম্মাহর স্বার্থ কী, কার সঙ্গে শত্রুতা করতে হবে, কার সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে হবে, এ বিষয়ে পারস্পরিক সমঝোতা করা উচিত।