۳۰ فروردین ۱۴۰۳ |۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 18, 2024
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব

হাওজা / তেল নিয়ে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গুরুতর পার্থক্য বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব তার রিজার্ভ তেল বাজারে আনার সিদ্ধান্তের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেছে।

তেল নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে সর্বশেষ যে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে তা নিয়ে উভয় পক্ষের মতভেদ রয়েছে। আমেরিকা বিশ্বাস করে সৌদি আরব আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এবং রাশিয়ার কাছাকাছি আসছে।

ওপেল প্লাসের দুই মিলিয়ন ব্যারেল তেল কমানোর সিদ্ধান্তের দুই সপ্তাহ পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার রিজার্ভ তেলের কিছু বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইউক্রেন সংকটের কারণে তেল নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মতপার্থক্যের সম্ভাবনা রয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা সৌদি আরবের তেলের উৎপাদন বাড়াতে অনেক চেষ্টা করে।

রিয়াজ আমেরিকার কথা প্রত্যাখ্যান করে তেল বাড়ানোর পরিবর্তে তার উৎপাদন কমিয়েছে। এভাবে আমেরিকা বিশ্বাস করে সৌদি আরব এখন আমাদের থেকে দূরে সরে রাশিয়ার কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।

রিয়াজ এই দাবি অস্বীকার করেছেন। সৌদি আরব বলেছে যে তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে, কূটনৈতিক নয়।

ওপেক প্লাসের সিদ্ধান্তকে ব্যর্থ করতে যুক্তরাষ্ট্র তার রিজার্ভ তেলের রিজার্ভ থেকে তেল প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌদি আরব আমেরিকার এই সিদ্ধান্তকে তেলের বাজারে আমেরিকার হস্তক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে।

পারস্পরিক মতপার্থক্যের বিষয়ে সৌদি আরব মনে করে, তেলের ক্ষেত্রে আমেরিকা তার স্বাধীনতাকে উপেক্ষা করে তাকে অপমান করছে।

এমনটাই জানিয়েছেন সৌদি আরবের নারী রাষ্ট্রদূত। সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রীমা বিনতে বান্দর বলেন, আমরা শুনছি যে কিছু লোক আমেরিকা ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার কথা বলছে।

তিনি বলেন, এটি একটি ইতিবাচক বিষয় কারণ বর্তমানের সৌদি আরব দশ বছর আগের সৌদি আরব নয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, মার্কিন কংগ্রেসের নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে ওয়াশিংটন ও রিয়াজের মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে কোনো কোনো ভাষ্যকার মনে করেন, এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের পরাজিত করার জন্য রাশিয়া ও সৌদি আরব এখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে মনে হয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .