۲ آذر ۱۴۰۳ |۲۰ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 22, 2024
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / বর্ণ বৈষম্যবাদ , দুর্নীতি , অপরাধ ও সন্ত্রাসের ওপরই ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি কায়েম ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্ণ বৈষম্যবাদ , দুর্নীতি , অপরাধ ও সন্ত্রাসের ওপরই ইসরাইল নামক রাষ্ট্রটি কায়েম ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । তাই বেন ইয়ামীন নেতানিয়াহুর মতো দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকই যদি প্রধান মন্ত্রী নির্বাচিত হয় তাহলে তাতে বিস্ময়ের কিছু নেই। কারণ এ ধরনের গণতন্ত্র মূলতঃ দুর্নীতিবাজদেরকে নির্বাচিত করে দেশ শাসনের ম্যান্ডেট দেয় । আর এ জন্যই হয়তো বলা হয় যে রাজনীতির কোনো মা বাপ নেই অর্থাৎ আদর্শ নেই ।

সব কিছুই রাজনৈতিক স্বার্থের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ও সম্পর্কিত । আর তথাকথিত রাজনৈতিক স্বার্থ বৈধ ও অবৈধ বলে কোনো কিছুর ধার ধারে না। তাহলে এ ধরণের গণতন্ত্রের সাথে দুর্নীতি ও অপরাধের সম্পর্ক থাকবেই । আর তথাকথিত রেঁনেসোত্তর পাশ্চাত্য ঠিক এ ধাঁচেরই গণতন্ত্রের প্রবক্তা।

পশ্চিমা রাজনীতি ও গণতন্ত্রের স্বরূপ হচ্ছে দুর্নীতি পরায়নতা হয় নিজ জাতির সাথে না হয় ভিন জাতির সাথে। তাই স্বার্থ সিদ্ধির জন্য দেখা যায় যে তথাকথিত গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পশ্চিমা স্বার্থ বিরোধী গণতান্ত্রিক সরকার সমূহকে অগণতান্ত্রিক ভাবে অর্থাৎ অবৈধ বেআইনি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে স্বৈরাচারী অগণতান্ত্রিক একনায়ক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে এবং সেই সব যালেম দুর্নীতি পরায়ণ এক নায়ক সামরিক শাসকদের দোসর হয়েছে । আবার এই তথাকথিত গণতান্ত্রিক পাশ্চাত্য পৃথিবীর বহু দেশে অগণতান্ত্রিক সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী মধ্যযুগীয় রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও রক্ষকও বটে ।

পশ্চিম এশিয়ার ( মধ্যপ্রাচ্য ) দেশ গুলোর চরম অত্যাচারী ( জালেম ) স্বৈরাচারী রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সরকার সমূহের ( যেমন : জর্দানের রাজতন্ত্র, সৌদি রাজতন্ত্র এবং পারস্য উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক দেশগুলো : কাতার , কুয়েত বাহরাইন, আরব আমিরাত ও ওমান ) প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছে তথাকথিত পশ্চিমা গণতন্ত্রের ( সংসদীয় গণতন্ত্র ) জননী ব্রিটেন!

আবার এই ব্রিটেনই হচ্ছে পশ্চিম এশিয়ার ফিলিস্তীনের জনগণকে সম্পূর্ণ সন্ত্রাসী কায়দায় বাস্তু ভিটা থেকে উচ্ছেদ করার মধ্য দিয়ে ১৯৪৮ সালে যে চরম বর্ণবাদী যায়ন বাদী ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের গোড়া পত্তন হয় সেই সন্ত্রাসী অবৈধ মেকি রাষ্ট্রটির ঘনিষ্ঠ মিত্র ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক !! আসলে ব্রিটেন ও পাশ্চাত্যের ( বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) প্রত্যক্ষ মদদেই চরম সন্ত্রাসী বর্ণবৈষম্যবাদী ইহুদীবাদী গোড়া সাম্প্রদায়িক ইসরাইলের প্রতিষ্ঠা ।

অতএব যে রাষ্ট্র জবরদখল ও নিরীহ নিরপরাধ জনগণের ভূমি অবৈধ ভাবে দখল ও গ্রাস করে এবং আসল বাসিন্দাদের উচ্ছেদ ও বহিষ্কার করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেই রাষ্ট্রের সাথে দুর্নীতি, অন্যায় ও অত্যাচার অবিচ্ছেদ্য ও একাকার হয়ে আছে । সুতরাং ঐ রাষ্ট্রের রাজনীতিকরা তো দুর্নীতিবাজ হবেই ।

পশ্চিমা দেশগুলোর রাজনীতিকরা সর্বাবস্থায় দুর্নীতি বাজ । হয় তারা নিজ নিজ জাতির সাথে দুর্নীতি করে নতুবা অন্য জাতি সমুহের সাথে দুর্নীতি করে এবং তাদের সর্বস্ব লুণ্ঠন করে যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে এ সব পশ্চিমা দেশ সমগ্র বিশ্ব ব্যাপী সাম্রাজ্যবাদী শাসন শোষণ চালিয়ে পরাধীন জাতিসমূহের সর্বস্ব লুণ্ঠন করেছে এবং এখনো তা অব্যাহত রেখেছে।

এখনো বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দুর্নীতিবাজরা অবৈধ বিত্ত বিভব সহ পশ্চিমা দেশগুলোয় পালিয়ে যাচ্ছে এবং সেখানে ঐ সব সম্পদ ও অর্থ বিনিয়োগ করে ঐ সব পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ভূমিকা রাখছে । আর এ কারণেই পশ্চিমা সরকারগুলো সেখানে এ সব দুর্নীতিবাজদের পুনর্বাসন দিচ্ছে !! অতএব চোরে চোরে মাসতুতো ভাই আর কি !! তাই পাশ্চাত্যের নেতৃত্বে বিশ্বায়নের যুগে আসলেই দুর্নীতির বিশ্বায়ন হয়েছে !!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .