۳۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۲ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 20, 2024
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পতিতালয় এবং নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কেন্দ্র
ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি পতিতালয় এবং নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কেন্দ্র

হাওজা / ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ৬০% ছাত্রীরা জানিয়েছেন যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন আক্রমণ , নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন !

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, এক পরিসংখ্যানে প্রকাশ : ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ৬০% ছাত্রীরা জানিয়েছেন যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন আক্রমণ , নিপীড়ন ও ধর্ষণের শিকার হয়েছেন !

তাই ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে আসলে বিদ্যাপীঠ না বলে পতিতালয় এবং নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কেন্দ্র বললে অত্যুক্তি হবে না মোটেও!

এই হল ব্রিটেনে স্বাধীনতা , নারী অধিকার ও ফেমিনিজমের প্রকৃত হাল হকিকত।

এ ভাবে যদি ব্রিটেনের বিশ্ব বিদ্যালয় সমূহে ছাত্রীরা যৌন নিপীড়ন, নির্যাতন , ধর্ষণ, আক্রমণ ও নিগৃহের শিকার হয় তাহলে যৌন আঘাত বা ট্রমা জনিত তীব্র মানসিক ব্যাধি ও বিকার গ্রস্ত হচ্ছে তারা যা আমৃত্যু তাদের অনেকের জীবনের নিত্য সঙ্গী হবে । পাশ্চাত্যের অন্যান্য দেশের অবস্থাও কমবেশি ব্রিটেনের মত ই। আর পশ্চিমা বা পাশ্চাত্য সভ্যতা আসলে কোনো সভ্যতা নয় । বরং এটা হচ্ছে চরম বস্তুবাদী অসভ্যতা ও জাহেলীয়াত । আর এ প্রমাণিত হয় যে কেবল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মানুষের উন্নত মহান মানবীয় চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর মোটেও উৎকর্ষ সাধন ও বিকাশ ঘটায় না । তা মানুষকে মনুষ্যত্বের আ'লা ইল্লীয়ীনে ( সর্বোচ্চ স্তর ) উন্নীত না করে বরং পাশবিকতা , জাহেলীয়াত ( মূর্খতা - অজ্ঞতা ) ও জাহান্নামের আসফালা সাফিলীনে ( সর্বনিম্ন স্তর ) নামিয়ে দেয় ও চরম ভাবে অধ:পতিত

করে এবং তখন মানুষ চতুষ্পদ জন্তু জানোয়ারের চেয়েও অধিক অধম ও হীন নীচ ( আদ্বাল্ল أَضَلُّ ) ও পথভ্রষ্ট হয়ে যায় । শুধু বস্তুবাদী জ্ঞান - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দিয়ে মানুষের মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটানো সম্ভব নয় । আর যদি তা হত তাহলে ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় সমূহে ৬০% ছাত্রী অর্থাৎ অধিকাংশ নারী শিক্ষার্থী যৌন নিপীড়ন , নির্যাতন , আঘাত , ধর্ষণ ও আগ্রাসনের শিকার হতো না । আর এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় যে পশ্চিমা জাতি ও সমাজ সমূহে কেন যিনা ব্যভিচার ( অবৈধ যৌন সম্পর্ক ) ও বেশ্যা বৃত্তির সয়লাব হয়েছে এবং পাশ্চাত্যের সিংহভাগ প্রকৃত অর্থেই হারামজাদা ( বাস্টার্ড Bastard ) ।

ধর্মহীন সেক্যুলার শিক্ষাব্যবস্থা আসলে মানবতার উৎকর্ষ ও বিকাশ সাধন কারী কোনো শিক্ষা ব্যবস্থাই নয় বরং তা মানুষরূপী অমানুষ তৈরির কর্মসূচি ও প্রোগ্রাম মাত্র। আর ঠিক এটাই পাশ্চাত্যে ঘটেছে এবং এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা ও কর্মসূচি যেখানে বাস্তবায়িত হবে সেখানকার পরিবেশ ও পরিস্থিতি পাশ্চাত্য ও ব্রিটেনের অনুরূপ হবে ।

কুদরতে খোদা শিক্ষা কার্যক্রম ও ইউনেস্কোর ২০৩০ শিক্ষা নীতি ও কার্যক্রম আসলে পাশ্চাত্যের বস্তাপচা অমানুষ তৈরির শিক্ষানীতি , কার্যক্রম এবং জড়তা গ্রস্ত বস্তুবাদী মতাদর্শ থেকে সরাসরি উৎসারিত ও সংগৃহীত যা কখনোই প্রকৃত কল্যাণ ও মঙ্গল আনয়ন করবে না। অতএব মানব জাতির উচিত পাশ্চাত্যের বস্তাপচা বস্তুবাদী শিক্ষাব্যবস্থার অর্গল থেকে নিজেদের মুক্ত করে ফেতরাৎ ( মানবপ্রকৃতি ) , বুদ্ধিবৃত্তি , বিবেক বোধ ও সত্য ধর্ম ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন । আর তখন মানব জাতি প্রকৃত সুখ , সৌভাগ্য ও কল্যাণের মুখ দর্শন করবে ।

আর এ থেকে প্রমাণিত হয় যে অবাধ স্বাধীনতা আসলে স্বাধীনতা নয় বরং তা মানুষকে পাশবিকতা , সহিংসতা ও হিংস্রতার শিকলে আবদ্ধ করে ফেলে। আজ অবাধ যৌনতা ও যৌন স্বাধীনতা ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্রীকে প্রকৃত অর্থে যৌন দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেলেছে!!!

তাই স্বাধীনতা বলে যে মুখরোচক বুলি পশ্চিমারা আওড়ায় এবং আমাদেরকে উপহার দিতে চায় তা দিয়ে আসলে আমাদেরকে বিভিন্ন ধরনের দাসত্বের বেড়ীতে আটকানোর পায়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়।

অতএব বিচক্ষণ ব্যক্তিরা সাবধান হোক ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .