۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ شوال ۱۴۴۵ | Apr 20, 2024
নেই কোনো মুসলমান, তবুও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান হচ্ছে!
নেই কোনো মুসলমান, তবুও পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযান হচ্ছে!

হাওজা / সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলার খবর থেকে দূরে, এ গ্রামে বিশেষ কোনো কর্মসূচি থাকলে সমাজের মানুষ দিনরাত মসজিদ পরিষ্কারের কাজে ব্যয় করে।মসজিদের পেইন্টিং হোক বা এর নির্মাণ, পুরো গ্রাম সহযোগিতা করে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, নালন্দা: বিহারের নালন্দা জেলার অন্তর্বর্তী ব্লকে একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে দিনে পাঁচবার আজান হয়, কিন্তু গ্রামের কেউ এখানে নামাজের জন্য আসে না।

মাড়ি গ্রামে এখন একটিও মুসলিম পরিবার নেই, তবে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান হচ্ছে।আসলে এ সবই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপনের গল্প। হিন্দু সমাজের লোকেরা মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের কাজ করে আর নামাজের আজান যথাসময়ে পাঁচ ওয়াক্ত হয়, যার দায়ভার গ্রামের হিন্দুদের হাতে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার খবর থেকে দূরে, এ গ্রামে বিশেষ কোনো কর্মসূচি থাকলে হিন্দু সমাজের লোকজন দিনরাত মসজিদ পরিষ্কারের কাজে ব্যয় করে।মসজিদের পেইন্টিং হোক বা এর নির্মাণ, পুরো গ্রাম সহযোগিতা করে।

মসজিদ পরিষ্কারের দায়িত্ব গৌতম মেহতো, অজয় পাসওয়ান, বাখুরি জমাদার এবং অন্যান্যদের কাঁধে। এই মসজিদের সঙ্গে গ্রামের মানুষের বিশ্বাসও জড়িত।

বাড়িতে কোনো খুশির অনুষ্ঠান হলেই হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মসজিদে পৌঁছে যায়। এটি একটি গভীর বিশ্বাস যে এটি একটি বিবাহ বা যে কোন শুভ অনুষ্ঠান, প্রথমে তারা মসজিদ পরিদর্শন করে।

এটা বিশ্বাস করা হয় যে বিপর্যয় তাদেরই হয় যারা তা করে না। গ্রামের লোকজন জানান, শতবর্ষের এই ঐতিহ্য সবাই মেনে চলে।মসজিদের বাইরে একটি মাজারও রয়েছে।

গ্রামে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড ও বন্যার ঘটনা ঘটত বলে জানা গেছে। প্রায় ৬০০ বছর আগে এই গ্রামে আসেন হযরত ইসমাইল। তার আগমনের পর গ্রামে কোনো ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি, গ্রামে আসার পর আগুন লাগার ঘটনাও বন্ধ হয়ে যায়।

তিনি মারা গেলে গ্রামবাসী তাকে সেখানে দাফন করে। এই মসজিদটি প্রায় ২০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল।

১৯৪২ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর সমস্ত মুসলিম পরিবার গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। সেই থেকে হিন্দুরা এই মসজিদের দেখভাল করছেন।

যখন নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল তখন সেখানে বাজার ছিল, তাই এই গ্রামের নাম ছিল মান্ডি। পরে তা মাড়ি হয়ে যায়। এখানকার লোকেরা গঙ্গা-জমুনা সংস্কৃতির উদাহরণ দিচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হল এই লোকেরা কীভাবে নামাজের আযান দেয়!

আসলে এখানকার হিন্দুরা আজান দিতে জানে না, তাই তারা পেনড্রাইভের আশ্রয় নেয়। অর্থাৎ আজানের রেকর্ডিং লাউডস্পিকারের মাধ্যমে বাজানো হয়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .