হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরবের একজন লেখক এবং রিপোর্টার তুর্কি আল-শালহুব, যিনি ইতিমধ্যেই 'উহুদ পর্বত' সম্পর্কিত ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি জঘন্য পরিকল্পনা উন্মোচন করেছেন।
আল-শালহুব লিখেছেন: সৌদি আরবের একটি আদালত উম্মুল-কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুহাম্মদ বিন মহসিন বাসরাকে কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করার জন্য ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। ওই শিক্ষক সৌদি আরবের টিভি চ্যানেল আল আরাবিয়া, কাতারকে বয়কট এবং দেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার ভয় ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির সমালোচনা করেছিলেন।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবের আদালতে সরকারবিরোধী মানবাধিকার ও সমাজকর্মীদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রচলন বাড়ছে।এবং এ পর্যন্ত শত শত নাগরিককে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারী অভিযোগের অধীনে সরকারের বিরুদ্ধে থাকার অপরাধে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয়েছে এবং শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে আইনগতভাবে নাবালকও রয়েছে।
সৌদি আরবের সরকার রাজনৈতিক ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক, মানবাধিকার ও সমাজকর্মী এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, বিশেষ করে শিয়া জনগণের জন্য গুরুতর উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে এবং এখন এই লোকেরা অনুভব করছে যে তাদের জীবন সংকীর্ণ হচ্ছে।
৩ দিন আগে, মদিনার একটি সৌদি ফৌজদারি আদালত সুপরিচিত শিয়া ধর্মগুরু শেখ কাজেম আল-ওমারিকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়। এই ধর্মগুরুকে নভেম্বর মাসে আল সৌদ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছিলেন, কিন্তু গ্রেপ্তারের সময় তাকে যে অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তার কোনো উল্লেখ ছিল না।
মনে রাখা উচিত যে শেখ কাজেম আল-ওমারি মদীনার একজন সুপরিচিত ধর্মীয় এবং আলেম ব্যক্তিত্ব আল্লামা মুহাম্মদ আল-ওমারির পুত্র।
সৌদি আরবের আলে সৌদ সরকার কর্তৃক শিয়া ও ভিন্নমতাবলম্বীদের গণগ্রেফতার অব্যাহত রয়েছে কারণ সৌদি কর্তৃপক্ষ জাহিরপূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করে বিশ্ব জনগণের কাছে নিজেকে একটি প্রগতিশীল ও স্বাধীন দেশ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
বিদেশী মিডিয়া প্রকাশ করেছে যে আলে সৌদ সরকার কাতারে ফিফা বিশ্বকাপের পূর্ণ সুবিধা নেওয়ার সময় ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে।
বড়দিনের ছুটিতে সৌদি আরবে আরও অনেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা টেলিগ্রাফ।