۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
বিমানে নারী যাত্রীর গায়ে মূত্রত্যাগ
বিমানে নারী যাত্রীর গায়ে মূত্রত্যাগ

হাওজা / অসভ্যতা ও অসভ্য পনার যেন আর শেষ নাই পশ্চিমা অসভ্যতা প্রভাবিত বেশ কিছু অসভ্য অপশ্চিমার !

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (৪-১-২০২৩)

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, অসভ্যতা ও অসভ্য পনার যেন আর শেষ নাই পশ্চিমা অসভ্যতা প্রভাবিত বেশ কিছু অসভ্য অপশ্চিমার ! ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের বিমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত এক ভারতীয় পুরুষ যাত্রী মাতাল অবস্থায় অন্য এক ভারতীয় নারী যাত্রীর গায়ে পেশাব করে ! এ রকম ঘটনা পূর্বেও ঘটেছে ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্সের ফ্লাইটে এবং বিমান কর্তৃপক্ষ এ ধরনের বদমাইশ অসভ্য অপরাধী যাত্রীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় নি যা নি: সন্দেহে অপরাধ ও অঘটন সৃষ্টিকারীদের অপরাধ ও অঘটন অপেক্ষাও কোনো অংশে কম নয় । আবার ভারতীয় ফ্লাইটগুলোয় নানা ধরনের অনিয়ম , অঘটন ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ঐ শ্রেণীর যাত্রীরাই বেশি করে থাকে যারা হচ্ছে প্রভাবশালী যেমন : উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী এবং গোটা ফ্লাইটটাকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো মনে করে তারা ! আর এ কারণে ভারতীয় বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষেরও মুরোদ নেই এ সব অসভ্য প্রভাবশালী যাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ! নিঃসন্দেহে এ সব অসভ্য প্রভাবশালী যাত্রীর অনেকেই উচ্চ আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিত । আসলে পাশ্চাত্য শিক্ষা - দীক্ষা , কৃষ্টি , সংস্কৃতি ও সভ্যতা প্রকৃত পক্ষে বস্তুবাদী ছাইপাশ অশিক্ষা - কুশিক্ষা , অপসংস্কৃতি , অসভ্যতা , অশালীনতা ও অভদ্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর এ কারণেই তা সচ্চরিত্র , সদাচরণ ( আখলাক ) ও নীতি - নৈতিকতা বর্জিত । বস্তুবাদী স্বার্থ , ভোগসম্ভোগ এবং আমোদ -প্রমোদের সুযোগ সুবিধা পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্যই পশ্চিমাদেরকে নিয়ম কানুন মেনে চলতে দেখা যায় । তবে ভোগের সুবিধা এবং বস্তুগত স্বার্থ ও লাভ নষ্ট হয়ে গেলে তথাকথিত ভদ্র মার্জিত সুশীল শিষ্টাচারী পশ্চিমাদের হিংস্র রক্তপিপাসু বীভৎস নরপশু ও পিশাচ ( ড্রাকুলা ) এবং হায়না ও নেকড়ে হয়ে যেতে সময় লাগে না । আর এই একই কথা পশ্চিমা সভ্যতা প্রভাবিত ও পাশ্চাত্য শিক্ষিত অনেক অপশ্চিমা ব্যক্তির ক্ষেত্রেও সমভাবে প্রযোজ্য। (ইন্ডিয়ান এয়ার লাইন্স)

তাই এ সব পশ্চিমা সভ্যতা ও সংস্কৃতি প্রভাবিত এবং তথাকথিত আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষিত ভারতীয়রা প্লেনে এ ধরনের বর্বর অসভ্য অশালীন আচরণ করছে সহযাত্রীদের ওপর এবং তা তারা করেই যাবে। ' শিক্ষিতা পতিতার আত্মচরিত ' গ্রন্থে লেখিকা মানদা দেবী তার পদস্খলনের জন্য বারবার দোষ দিয়েছেন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা ( অর্থাৎ পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থা ) তথা সংস্কৃতিকে যেখানে গল্প , নাটক , সিনেমা - থিয়েটার , উপন্যাস সবখানে চটুল অবৈধ প্রেমের ও নারী-পুরুষের অবৈধ মিলনের সয়লাব ও জয়জয়কার। তার মতে উঠতি বয়সে ধর্মীয় শিক্ষার পরিবর্তে যখন কোনো কিশোরী এ সকল সাহিত্য কলায় মজে যায় ও মেতে উঠে আর মা - বাবার স্নেহের স্থলে যখন যুবক শিক্ষক বা তরুণ নিকটাত্মীয়দের সাথে চলাফেরা বেশি করে , তখন এর অবশ্যম্ভাবী পরিণতি এমনটাই।

অতএব পাশ্চাত্য শিক্ষা , সভ্যতা ও সংস্কৃতি অবৈধ অবাধ নোংরা যৌনতা , যৌন অপরাধ ও পতিতাবৃত্তির প্রসার ঘটিয়েছে ও ঘটাচ্ছে সমগ্র বিশ্বব্যাপী । আর ধর্ষণের শীর্ষ দশে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র - কানাডা , ব্রিটেন , ভারত , সুইডেন , নিউজিল্যান্ড , অস্ট্রেলিয়া , ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ড !!! ধর্ষণে তো ভারতের স্থান পঞ্চমে । গোটা বিশ্বের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার উন্নত দেশগুলোতেই ব্যক্তি নিরাপত্তা ব্যাহত হচ্ছে। ধর্ষণের মতো বর্বর ঘটনার মতো অপরাধের শীর্ষে রয়েছে সেই সব উন্নত রাষ্ট্র সমূহ

( দ্র: যুগান্তর, ২৬-১০-২০১৬ ) ।

এক সমীক্ষায় প্রকাশ : ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোয় ৬২% ছাত্রী ধর্ষণ , যৌন নিগ্রহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাই ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিদ্যাপীঠ না বলে নারী নির্যাতন কেন্দ্র ও পতিতালয় বললে মোটেও অত্যুক্তি হবে না !! আর এ কারণেই পশ্চিমাদের প্রবর্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা , সভ্যতা ও সংস্কৃতি মানুষকে হিংস্র অমানুষ পশুতে রূপান্তরিত করছে ।

আর সেই সাথে উপরোক্ত এ খবর থেকে প্রমাণিত হলো যে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠীর প্রবর্তিত বস্তুবাদী ও চরিত্রহননকারী শিক্ষা ব্যবস্থা ও সংস্কৃতির কারণে ভারতের এহেন চারিত্রিক নৈতিক স্খলন ও দুরাবস্থা হয়েছে !!!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .