হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃক্ষরোপণের পর সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় আয়াতুল্লাহ খামেনি এবারের বৃক্ষরোপণ দিবসের স্লোগান, "প্রতিটি ইরানি, তিন চারা গাছ" উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে সেজন্য তিনি তিনটি গাছ রোপণ করেছেন।
তিনি বলেন: এই স্লোগানের ভিত্তিতে প্রত্যেক ইরানি তিনটি করে চারা রোপণ করলে আগামী হিজরি সৌর বর্ষ থেকে সরকারের এক বিলিয়ন চারা রোপণের কর্মসূচি চার বছরে শেষ হবে।
তিনি পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণের বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন: জনসাধারণের সহযোগিতায় একশ কোটি বৃক্ষ রোপণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব এবং বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ হলো ফল গাছের পাশাপাশি বন্য গাছ রোপণ করা উচিত যার কাঠের মূল্য রয়েছে কারণ কাঠের ব্যবসা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইসলামী বিপ্লবী নেতা জোর দিয়ে বলেন যে, একটি পণ্যের মধ্যে সীমিত অর্থনীতির ফলাফল হচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং দেশটি জাতীয় মুদ্রার মূল্য, মুদ্রাস্ফীতির ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
সমস্যা সমাধানে কর্মকর্তাদের প্রচেষ্টার দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন: জনগণের সমস্যা সমাধানের সঠিক পথ খুঁজে বের করতে কর্মকর্তাদের সম্ভাব্য সব ধরনের অর্থনৈতিক উপায় ব্যবহার করতে হবে।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়ে স্পষ্টতাকে দেশের সংবিধানের অন্যতম প্রধান বিষয় বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে কেউ এই আইন লঙ্ঘন করবেন না।
তিনি শিক্ষার্থীদের বিষ প্রয়োগের বিষয়টিও তুলে ধরে বলেন: দায়িত্বশীল ও গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশ বিভাগকে এ বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন: এই বিষয়টি একটি বড় অপরাধ যা উপেক্ষা করা যায় না এবং কেউ যদি এর সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে অপরাধীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে।