মজিদুল ইসলাম শাহ
হাওজা নিউজ রিপোর্ট অনুযায়ী,
শবে কদরের আমল:
রমযান মাসের ১৯, ২১, ২৩ এর রাতকে শবে কদর বলা হয় যে-রাতে আল্লাহ তায়ালা কোরআন অবতীর্ণ করেছেন আর এই মাসের ঐ রাত গুলোকে হাজার রাতের থেকে উত্তম বানিয়েছেন।
এই রাতে দুই ধরনের আমল আছে। ১- এই তিন রাতের জন্য একই আমল ২- প্রত্যেক রাতের জন্য আলাদা আলাদা আমল।
যৌথ আমল:
১- গোসল
২- দুই রাকাত নামাযে শবে কদর, প্রতি রাকাতে সূরা হামদের পর সাত বার সূরা তৌহিদ।
৩- নামাযের পর ৭০ বার استغفر الله و اتوب الیه
৪- যিয়ারতে ইমাম হোসায়েন (আ:)
৫- কোরআনী আমল, কোরআন সামনে খুলে রেখে এই দোওয়া পড়তে হবে।
بسم الله الرحمن الرحیم
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِكِتَابِكَ الْمُنْزَلِ وَ مَا فِيهِ وَ فِيهِ اسْمُكَ الْأَكْبَرُ وَ أَسْمَاؤُكَ الْحُسْنَى وَ مَا يُخَافُ وَ يُرْجَى أَنْ تَجْعَلَنِي مِنْ عُتَقَائِكَ مِنَ النَّارِ.
তাঁর পর কোরআন মাথার উপর রেখে এই দোওয়া পড়তে হবে।
اللَّهُمَّ بِحَقِّ هَذَا الْقُرْآنِ وَ بِحَقِّ مَنْ أَرْسَلْتَهُ بِهِ وَ بِحَقِّ كُلِّ مُؤْمِنٍ مَدَحْتَهُ فِيهِ وَ بِحَقِّكَ عَلَيْهِمْ فَلا أَحَدَ أَعْرَفُ بِحَقِّكَ مِنْكَ
তাঁর পর بِكَ يَا اللَّهُ দশবার بِمُحَمَّدٍ দশবার بِعَلِيٍّ দশবার بِفَاطِمَةَ দশবার بِالْحَسَنِ দশবার بِالْحُسَيْنِ দশবার بِعَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ দশবার بِمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ দশবার بِجَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ দশবার بِمُوسَى بْنِ جَعْفَرٍ দশবার بِعَلِيِّ بْنِ مُوسَى দশবার بِمُحَمَّدِ بْنِ عَلِيٍّ দশবার بِعَلِيِّ بْنِ مُحَمَّدٍ দশবার بِالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ দশবার بِالْحُجَّةِ দশবার, তাঁর পর নিজের প্রয়োজন আনুযায়ী দোওয়া করা।
শবে কদরের খাস আমল:
উনিশের রাতের আমল: ১- একশ বার استغفر الله و اتوب الیه পড়া ২- اللهم العن قتله امیر المومنین
তাছাড়া অন্য দোওয়াও আছে যা বিভিন্ন দোওয়ার বইয়ে আছে পড়তে পারেন।
একুশে রমযামের রাতের আমল:
১- রমযান মাসের শেষ দশ রাতের দোওয়া।
২- দোওয়া জৌশনে কাবির।
৩- হযরত আলী (আ:)'র মাসায়েব (শোক প্রকাশ করা) বর্ণনা করা।
তেইশে রমযানের রাতের আমল:
১- সূরা আনকাবুত ও সূরা রুম পড়া
২- সূরা দুখান পড়া
৩- এক হাজার বার সূরা ইন্না আনযালনা পড়া
৪- দোওয়া ফরয (আত্ম প্রকাশের জন্য দোওয়া করা) পড়া
৫- একশ রাকাত নামায আদায় করা, যার প্রতিটি রাকাতে সূরা ‘হামদের’ পর দশবার সূরা ‘তৌহিদ’ পড়তে হবে।
৬- এই দোওয়া পড়তে হবে:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَمْسَيْتُ لَكَ عَبْداً دَاخِراً لا أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعاً وَ لا ضَرّاً وَ لا أَصْرِفُ عَنْهَا سُوءاً أَشْهَدُ بِذَلِكَ عَلَى نَفْسِي وَ أَعْتَرِفُ لَكَ بِضَعْفِ قُوَّتِي وَ قِلَّةِ حِيلَتِي فَصَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَ آلِ مُحَمَّدٍ وَ أَنْجِزْ لِي مَا وَعَدْتَنِي وَ جَمِيعَ الْمُؤْمِنِينَ وَ الْمُؤْمِنَاتِ مِنَ الْمَغْفِرَةِ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ وَ أَتْمِمْ عَلَيَّ مَا آتَيْتَنِي فَإِنِّي عَبْدُكَ الْمِسْكِينُ الْمُسْتَكِينُ الضَّعِيفُ الْفَقِيرُ الْمَهِينُ اللَّهُمَّ لا تَجْعَلْنِي نَاسِياً لِذِكْرِكَ فِيمَا أَوْلَيْتَنِي وَ لا [غَافِلا] لِإِحْسَانِكَ فِيمَا أَعْطَيْتَنِي وَ لا آيِساً مِنْ إِجَابَتِكَ وَ إِنْ أَبْطَأَتْ عَنِّي فِي سَرَّاءَ [كُنْتُ ] أَوْ ضَرَّاءَ أَوْ شِدَّةٍ أَوْ رَخَاءٍ أَوْ عَافِيَةٍ أَوْ بَلاءٍ أَوْ بُؤْسٍ أَوْ نَعْمَاءَ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
৬- দোওয়া জৌশনে কাবির
৭- দোওয়া মাকারিমে আখলাক
৮- দোওয়া তৌবা পড়া
৯- সারা রাত কোরআন দোওয়া ও নামায পড়া এবং সারা রাত জেগে থাকা।