۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা / ইমাম মাহদীর (আ) সমগ্র বিশ্ব বিজয় সংক্রান্ত আয়াত পবিত্র কুরআন ও হযরত দাউদের ( আ ) যাবূর গ্রন্থে।

হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমাম মাহদীর (আ) সমগ্র বিশ্ব বিজয় সংক্রান্ত আয়াত পবিত্র কুরআন ও হযরত দাউদের ( আ ) যাবূর গ্রন্থে :

متن قرآن, سوره 21: الأنبياء, آیه 105 - آیه 112

وَلَقَدْ كَتَبْنَا فِي الزَّبُورِ مِنْ بَعْدِ الذِّكْرِ أَنَّ الْأَرْضَ يَرِثُهَا عِبَادِيَ الصَّالِحُونَ ﴿۱۰۵﴾

و در حقيقت در زبور پس از تورات نوشتيم كه زمين را بندگان شايسته ما به ارث خواهند برد (۱۰۵)

নি: সন্দেহে আমরা যিকরের ( তাওরাত অর্থাৎ স্মারকবাণী )পর যাবূরেও লিপিবদ্ধ ( কিতাবত ) করে দিয়েছিলাম যে পৃথিবীর ওয়ারিস ( উত্তরাধিকারী ও অধিকারী) হবে আমার নেক - সালেহ ( সৎকর্মশীল পূণ্যবান ) বান্দারা ( অর্থাৎ শেষ যামানায় হযরত ইমাম মাহদী ( আ ) এবং তাঁর অনুসারীরা ) (( অর্থাৎ ইমাম মাহদী (আ) শেষ যামানায় মহান আল্লাহর মদদ ও সাহায্য নিয়ে সমগ্র বিশ্ব জয় করে ইসলাম ধর্ম (সমগ্র বিশ্বে ) প্রতিষ্ঠিত করবেন। )) ( সূরা - ই আম্বিয়া : ১০৫ )

ইরানের কোম নগরীর হযরত ফাতিমা মাসূমার( আ ) মাযার কমপ্লেক্সে আয়াতুল্লাহ মার'আশী নাজাফীর লাইব্রেরীর প্রাচীন পুস্তক ও পাণ্ডুলিপির প্রদর্শনী হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে ( খুব সম্ভবত: ২০০৯ সালে )। সেই প্রদর্শনীতে খ্রিষ্টীয় তৃতীয় - চতুর্থ শতাব্দীতে হরিণের চামড়ার ওপর ল্যাটিন ভাষায় লেখা ইঞ্জিল আনা হয়েছিল যেটার ওল্ড টেস্টামেন্ট অংশের হযরত দাউদের ( আ ) ওপর নাযিল কৃত যাবূর গ্রন্থের যে পাতায় পবিত্র কুরআনের এ আয়াতটি ( সূরা -ই আম্বিয়ার ১০৫ নং আয়াত ) বিদ্যমান সেই পাতাটা ডিসপ্লে করা হয়েছিল। অতি নিকট থেকে উক্ত পাতায় লেখা এ আয়াতটি দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। উল্লেখ্য যে পৃথিবীতে ইঞ্জিলের যে চারটি সবচেয়ে প্রাচীন কপি বিদ্যমান সেগুলোর একটি হচ্ছে ইরানের কোম নগরীর আয়াতুল্লাহ মার'আশী নাজাফীর লাইব্রেরীতে বিদ্যমান এ ইঞ্জিলটি যা ল্যাটিন ভাষায় লেখা । আয়াতুল্লাহ মার'আশীর এ লাইব্রেরীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও জাতির ধর্মীয় ঐতিহাসিক সহ বিভিন্ন বিষয়ে লিখিত বেশ কিছু বই - পুস্তক ও গ্রন্থের অতি বিরল , দুর্লভ ও প্রাচীনতম পাণ্ডুলিপির এক সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে যার মধ্যে রয়েছে ১৭০০ বছরের পুরনো এই ইঞ্জিল । এ সব দুর্লভ ও বিরল প্রাচীন গ্রন্থ আয়াতুল্লাহ মার'আশী নাজাফী অনেক ত্যাগ , কষ্ট ও কৃচ্ছতা সাধন করে নিজের জীবন এ পথে উৎসর্গ করে সংগ্রহ করে গেছেন বিশ্ববাসীদের জন্য । তিনি এই সব গ্রন্থ সংগ্রহের জন্য অনেক মৃত ব্যক্তির নামায রোযার ক্বাযা আদায় করা বাবদ যে অর্থ পেতেন তা এ সব দুর্লভ বিরল প্রাচীন বই , পুস্তক ও গ্রন্থ ক্রয় ও সংগ্রহে ব্যয় করতেন । সা'য়ুহু মাশকূর ( মহান আল্লাহর কাছে তার এই অক্লান্ত চেষ্টা ও পরিশ্রম প্রশংসিত হোক ) ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .