۴ آذر ۱۴۰۳ |۲۲ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 24, 2024
জান্নাতুল বাকী
জান্নাতুল বাকী

হাওজা / কবরস্থান বাকী ইসলামের প্রাচীনতম স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। বাকী নবীজীর সন্তানদের সমাধিস্থল। কিছু রেওয়ায়েত অনুযায়ী, বাকী হজরত ফাতিমা জাহরার সমাধিস্থল। বাকি চার ইমাম, ইমাম হাসান (আ.), ইমাম সাজ্জাদ (আ.), ইমাম বাকির (আ.) এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর সমাধিস্থলের সাথে সাথে অনেক মহান ব্যক্তিত্বও এখানে ঘুয়ে আছেন যাদের নাম উল্লেখ করা অসম্ভব।

মজিদুল ইসলাম শাহ

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, জান্নাতুল-বাকী ইমাম মাসুমিন, হযরত ফাতিমা জাহরা, মহানবীর সাহাবী, তাবিঈন এবং ধর্মীয় অভিজাত ও আল্লাহর ওলীদের কবর সম্বলিত কবরস্থানকে জান্নাতুল-বাকী বলা হয়। এই কবরস্থানটি দুবার ভেঙে ফেলা হয়েছিল, প্রথমবার ১২২০ হিজরিতে এবং দ্বিতীয়বার ১৩৪৪ হিজরিতে।

এ সম্পর্কে বিশ্বের সকল দেশের শিয়া ও সুন্নিরা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং সম্পূর্ণ নির্মাণ সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকবে।

প্রতি বছর শাওয়ালের ৮ই তারিখ জান্নাতুল-বাকী ধ্বংস দিবস হিসেবে পালিত হয় এবং এই কাজের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা সৌদি আরবের বর্তমান সরকারের কাছে অবিলম্বে এই কবরস্থানটি নির্মাণের দাবি জানায়।

নবীর (সা.) এর রওজার পর জান্নাতুল-বাকী মদীনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও শ্রেষ্ঠ স্থান। বাকী কবরস্থান হল প্রথম কবরস্থান যা মহানবীর (সা.) আদেশে মুসলমানদের জন্য জান্নাতুল-বাকীর ভিত্তি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

জান্নাতুল বাকীর গুরুত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব সম্পর্কে এতটুকু বলাই যথেষ্ট যে, মহানবী (সা.) এ সম্পর্কে বলেছেন: বাকী থেকে সতেরো হাজার লোক একত্রিত হবে, যাদের মুখমণ্ডল পূর্ণিমার চাঁদের মতো উজ্জ্বল হবে।

কবরস্থান বাকি ইসলামের প্রাচীনতম স্মৃতিস্তম্ভগুলির মধ্যে একটি। বাকি নবীজীর সন্তানদের সমাধিস্থল।

কিছু রেওয়ায়েত অনুযায়ী, বাকী হজরত ফাতিমা জাহরার সমাধিস্থল। বাকি চার ইমাম, ইমাম হাসান (আ.), ইমাম সাজ্জাদ (আ.), ইমাম বাকির (আ.) এবং ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর সমাধিস্থলের সাথে সাথে অনেক মহান ব্যক্তিত্বও এখানে ঘুয়ে আছেন যাদের নাম উল্লেখ করা অসম্ভব।

আলী বিন মুসা নামে একজন ঐতিহাসিক এ প্রসঙ্গে লিখেছেন যে, ইমামগণের (আ.) কবর বাকীর সমস্ত কবরের চেয়ে বড় ছিল।এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলেন ইব্রাহিম রিফাত বাশা যিনি এই মাজারটি ধ্বংস করার ১৯ বছর আগে তাঁর প্রশংসায় বলেছিলেন যে জান্নাতুল-বাকী ছিল ইমামগণের (আ.) সবচেয়ে বড় সমাধি।

১৩৪৪ সালের ৮ই শাওয়াল, সৌদি সরকারের প্রধান বিচারপতি শেখ আবদুল্লাহর আদেশে, জান্নাতুল-বাকীর সমস্ত ঐতিহাসিক নিদর্শন ভেঙে ফেলা হয়েছিল।

সকল শিয়া ও সুন্নি মুসলমান জান্নাতুল-বাকী নির্মাণের জন্য সৌদ সরকারের কাছে আবেদন জানায় কেননা শুধু ইসলামী বিধি-বিধান ও নীতির সাথেই অসঙ্গতিপূর্ণ নয়, বরং ইসলামের বুজুর্গদের কবর জিয়ারত করাও একটি মুস্তাহাব প্রথা এবং ইসলামে এই প্রথার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .