۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর
মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর

হাওজা / মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর সাহেব উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের ৩৪তম সভাপতি ও দেশবন্ধুর ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের মধ্যে অন্যতম।

শহীদ তিতুমীর কারবালা ট্রাস্ট

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর সাহেব উপমহাদেশে জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের মধ্যে অন্যতম। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের ৩৪তম সভাপতি ও দেশবন্ধুর ঘনিষ্ঠ অনুগামীদের মধ্যে অন্যতম। তিনি ভারতের খিলাফত আন্দোলনের প্রধান নেতৃত্ব ছিলেন। ১৮৭৮ সালে ১০ই ডিসেম্বর ভারতের উত্তরপ্রদেশের রামপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। জাতীয়তাবাদী মুসলিম "মাওলানা শওকত আলী" অগ্রজ ছিলেন। ১৮৯৭ সালে তিনি ভারতে উত্তরপ্রদেশের বিপ্লবের আঁতুড়ঘর "দারুল-উলুম-দেওবন্ধ " মাদ্রাসা থেকে ও "আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়" আধুনিক ইতিহাস, ভারতের স্বাধীনতার কারন, ও উর্দু, ফার্সি, আরবী সাহিত্যে অধ্যায়ন করেন। আজীবন জাতীয় সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী মুহাম্মদ আলী জওহর সাহেব ১৯১১সালে উর্দু ভাষায় "হামদর্দ" ও ইংলিশে "দ্য কমরেড" নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু করে ভারতের স্বাধীনতার পক্ষে, স্বশস্ত্র বিপ্লবীদের সমর্থন করে ও বৃটিশদের বিরুদ্ধে প্রচার করতে থাকেন। ১৯১৮ সালে তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নতিকল্প ও সম্প্রসারণে তিনি আর্থিক সহায়তা দান করেন। তারই সাহায্যে "ইসলামিয়া প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯০৬ সালে ঢাকায় "নিখিল ভারত মুসলিম লীগ" প্রতিষ্ঠা হলে ১৯১৮ সাল- ১৯২৮ সাল প্রর্যন্ত তিনি প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী মুসলিম হিসেবে সভাপতিত্ব করেন। ১৯১৯ সালে বৃটেনে ভারতীয় (হিন্দ মুসলিম) মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করেন। খিলাফত আন্দোলনে শর্ত প্রস্তাব করেন। কিন্তু বৃটিশরা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি দেশে ফিরে খিলাফত আন্দোলনের কমিটি গঠন করেন। ও বৃটিশদের বয়কটের নেতৃত্ব দেন। মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর সাহেব ১৯২১সালে জাতীয়তাবাদী মুসলিমদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করেন। সেখানে তিনি পাশে পান তার কনিষ্ঠ "মাওলানা শওকত আলী", "মাওলানা আবুল কালাম আজাদ", "হাকিম আজমল খান, "আসফ আলী", "মাওলানা হজরত মোহানী", "মাওলানা ওবেইদুল্লাহ সিন্ধী", "মুখতার আহমেদ আনসারি" প্রমুখ । এছাড়াও মহাত্মা গান্ধী এতে ছিল। গান্ধী মুসলিমদের সাথে ঐক্যের নিদর্শন হিসেবে জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থন অর্জন করে অসহযোগ ও মাওলানা মুহাম্মদ আলী জওহর খিলাফত আন্দোলন একত্র করে চলতে থাকে। এসময়ে বিপ্লবীদের সংগে যোগাযোগ ও রাজদ্রোহী বক্তৃতার দায়ে তিনি দুবছর কারারুদ্ধ হন। ১৯২৩ সালে তিনি দেশবন্ধুর উত্তরসুরী হিসেবে ৩৪তম জাতীয় কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট হন।

খিলাফত আন্দোলনের ব্যর্থতা, চৌরি-চৌরা ঘটনার পর গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলন প্রত্যাহার, ও কংগ্রেসী নেতাদের অপদার্থ তিনি বিরক্ত হন। তিনি পুনরায় "হামদর্দ" পত্রিকায় স্বশস্ত্র উপায় স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলতে থাকেন। এবং গান্ধীর নেতৃত্ব সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। তিনি নেহেরু রিপোর্টের বিরোধিতা করেন। এবং "ডমিনিয়ন স্টেটাস" প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। মতিলাল নেহেরু নেতৃত্বে একটি রিপোর্ট হিন্দু-মুসলমান উভয়ই সদস্যগন মতের ভিত্তিতে সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে পেশ করা হয়। এবং তিনি কারারুদ্ধ থাকাকালীন তাতে সমর্থন দেন। তিনি পরবর্তীতে জিন্নাহ ১৪দফা দাবীকেও সম্মত দেন। ও গান্ধীর ঔদাসিন্যতা ও অহিংসা মতবাদকে তীব্র সমালোচনা করেন। ১৯২০ সালে ভারতের মুসলিমদের হিতকল্পে তিনি "তৃতীয় আগা খান" কে সভাপতি করে একটি গোল টেবিল বৈঠক করেন। সেখানে তিনি আবেদন-নিবেদন পথ ছেড়ে বৃটিশদের বিরুদ্ধে স্বশস্ত্র জাতীয়তাবাদী পথে স্বাধীনতার পক্ষে জোড়ালো বক্তব্য দেন। ১৯২১সালে তিনি পুনরায় কারারুদ্ধ হন। তাকে করাচির খালিকদিনা হল আদালতে ভারতরক্ষা আইনে কারারুদ্ধ করা হয়। কারারুদ্ধ অবস্থায় তার স্বাস্থ্য ভেঁঙে পড়ে। ১৯৩১ সালে ৩রা জানুয়ারি তিনি কারারুদ্ধ থাকাকালীন ইন্তেকাল করেন। তাকে তার ইচ্ছা অনুযায়ী জেরুজালেমে "কুব্বাত-আস-সাখরা" মসজিদের কাছে সমাহিত করা হয়। এখানে কবরে উৎকীর্ণ রয়েছে *সৈয়দ মোহাম্মদ আলী আল হিন্দী*।

১৯২১সালে কলকাতায় অসহযোগ ও খিলাফত আন্দোলনের ঐক্য হিসেবে কলেজ স্ট্রীটে নিজ উদ্যোগে তিনি দুর্গাপুজো প্রচলন করেন। তার জন্য একটি কমিটি গঠন করেন।যা আজও *মুহাম্মদ আলী পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি* নামে পরিচিত।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .