۲۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 9, 2024
baqi
জান্নাতুল-বাকী ধ্বংসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কুম শহরে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

হাওজা / হাওজা ইলমিয়া ইমাম খোমেনীতে জান্নাতুল-বাকী ধ্বংসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাহরির পোস্ট আয়োজিত একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিভিন্ন বক্তা আলে সৌদ ও জান্নাতুল-বাকীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, কুমের হাওজা ইলমিয়া ইমাম খোমেনীর শহীদ সদর হলে জান্নাতুল-বাকী ধ্বংসের ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তাহরির পোস্ট আয়োজিত একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিভিন্ন বক্তারা আলে সৌদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জান্নাতুল-বাকী নির্মাণের পাশাপাশি বিগত ১০০ বছরের উত্থান-পতনের কথা উল্লেখ করেন, কবিরা বাকী সংক্রান্ত কবিতাও উপস্থাপন করেন।

মাওলানা সৈয়দ ফারজান হায়দারের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

নিজামতের দায়িত্ব পালন করেন হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন সৈয়দ হায়দার আব্বাস জাইদী।

তেলাওয়াতের পর জান্নাতুল-বাকী সম্পর্কে বিপ্লবী নেতার বক্তব্য প্রচার করা হয়। এরপর বাকী সংগঠনের প্রধান সৈয়দ মাহবুব মাহদি আবদি নাজাফি একটি ভিডিওর মাধ্যমে শ্রোতাদের উদ্দেশে একটি বার্তা জারি করে বলেন: আমাদের সংস্থা বাকী সম্পর্কে জাতিসংঘে আওয়াজ তুলেছে।জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাকী নির্মাণের বিষয়ে আমাদের দাবি রয়েছে।

তিনি সারা বিশ্বে জান্নাতুল-বাকী নির্মাণের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন: জান্নাতুল-বাকীকে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, সম্মেলন ও বিভিন্ন আন্দোলন করা ঈমানদারদের জন্য আবশ্যক।

সম্মেলনের প্রথম বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল-মুসলিমীন শেখ হোসাইন গায়েব গোলামী আল-হারসাভী নজদীদের অত্যাচার ও নিপীড়নের ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে জান্নাতুল বাকী ধ্বংসের বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরেন। এবং তিনি বলেন: জান্নাতুল বাকী ধ্বংসের পেছনে কেবল বস্তুগত কারণ ছিল, কবর জিয়ারত ইত্যাদির মতো কোনো ধর্মীয় বিশ্বাস এই জঘন্য কাজের কারণ ছিল না। বরং সেখান থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র বের করে বাজারে বিক্রি করা এবং অর্থনৈতিক অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কেবল বস্তুগত কারণ ছিল।

তিনি আরো বলেন: মুহাম্মাদ বিন আব্দুল-ওয়াহহাব একজন অযোগ্য আলেম এবং একজন ঘৃণ্য ব্যক্তি ছিলেন এবং তার জ্ঞান প্রমাণিত নয়।

সম্মেলনের দ্বিতীয় বক্তা হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলিমীন আলী আকবর আলামিয়ান বলেন: কাবার ওপর হামলার ইতিহাস এবং এর পেছনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, কাবা ধ্বংসের লক্ষ্য ঠিক একই লক্ষ্য ছিল জান্নাতুল-বাকীকে ধ্বংস করা।

আবরাহার লক্ষ্য ছিল আধিপত্য ও ক্ষমতা অর্জন করা এবং নজদি এবং আলে সৌদের লক্ষ্যও ছিল ক্ষমতা ও শক্তি অর্জন।

উল্লেখ্য যে, তাহরির পোস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় এই সম্মেলনটি আয়োজিত হয়েছিল, যাতে ভারতের কিছু ছাত্র সংগঠন সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। আঞ্জুমানে মুহিব্বানে আলে ইয়াসিন, ইন্ডিয়ান ইসলামিক স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, ইমাম হুসাইন (আ.) ট্রাস্ট, আল মুস্তফা ফাউন্ডেশনের নাম অংশগ্রহণকারী সমিতিগুলোর মধ্যে রয়েছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .