۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
নদী ভরাটের কারণ ও প্রভাব

হাওজা / বাংলাদেশের নদীব্যবস্থার ওপর প্রথম আঘাত আসে ইংরেজ আমলের ভুল নদী ব্যবস্থাপনায়। এরপর ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লবের নামে ক্ষতিকর বাঁধ, আশির দশকে বিশ্বব্যাংকের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগুলোর ভালোর বদলে মন্দই করেছে বেশি। গত দুই দশকে শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যের প্রসারের জন্য নদীর দখল ও দূষণ ঘটেছে ব্যাপক হারে।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, 'নদী ভরাটের কারণ ও প্রভাব ' - শিরনামে ভোরের কাগজের এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে নদী ভরাটের প্রধান প্রধান কারণ নিচের প্যারায় বর্ণিত হয়েছে এভাবে যে

" বাংলাদেশের নদীব্যবস্থার ওপর প্রথম আঘাত আসে ইংরেজ আমলের ভুল নদী ব্যবস্থাপনায়। এরপর ষাটের দশকে সবুজ বিপ্লবের নামে ক্ষতিকর বাঁধ, আশির দশকে বিশ্বব্যাংকের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নদীগুলোর ভালোর বদলে মন্দই করেছে বেশি। গত দুই দশকে শিল্পকারখানা ও বাণিজ্যের প্রসারের জন্য নদীর দখল ও দূষণ ঘটেছে ব্যাপক হারে।

চর পড়ে এবং দখল-দূষণের কারণে নদ-নদীগুলো এখন মৃতপ্রায়। নদীর ধারে গড়ে উঠেছে বড় বড় কলকারখানা, নদীতে শত শত বাঁধ। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে নদীকে ব্যবহার করা হচ্ছে। নদী ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ- এখন এ কথা বলার আর কোনো উপায় নেই। এ দেশ এখন নদীবৈরী দেশে পরিণত হয়েছে। "

অথচ মুসলিম শাসনামলে ৫৫০ বছর ( ১২০৬ - ১৭৫৭ ) ধরে বাংলায় ঐতিহ্যবাহী যে পুলবন্দী দফতর কর্ম তৎপর থেকে বাংলার নদ - নদী , খালবিল , দিঘি , পুকুর ও জলাশয় , জল মহাল ইত্যাদি সংরক্ষণ ও সংস্কার করে পানি সম্পদের ব্যাপক ও সুষ্ঠু উন্নয়ন ঘটিয়ে এ দেশে অর্থনীতির অভূতপূর্ব বিকাশ , উন্নয়ন ও বিপ্লব সাধন করেছিল কালো ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যবাদী অত্যাচারী ব্রিটিশ স্বৈরাচারী শাসন তা ১৭৫৭ সালের পর বিলুপ্ত করে দেয় এবং এ দেশের পানি সম্পদ, নদ - নদী , খালবিল, জলাশয় ইত্যাদি রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার ওপর কয়েক হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম বারের মতো মারাত্মক আঘাত হানে যা আজও অব্যাহত আছে । আসলে ইতিহাস থেকে সঠিক শিক্ষা নিয়ে দীর্ঘ পাঁচ শতাব্দির অধিক কালের সফল সার্থক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনাকারী ঐতিহ্য বাহী পুলবন্দী দফতরের সার্থক পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে এবং পুনঃ প্রবর্তন করতে হবে পুলবন্দী দফতর। বাংলাদেশ নদীমাতৃক ও পানি সম্পদে সমৃদ্ধ দেশ । এ দেশের স্থায়ী উন্নয়নে সঠিক কার্যকর পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই। আর দেশের নদ - নদী, দিঘি , পুকুর, জলাশয় ও হাওর - বাওরের সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও সংস্কারের মাধ্যমেই কেবল দেশের পানি সম্পদের উন্নয়ন সম্ভব । (নদী ভরাট)

কিন্তু দুষ্টু ব্রিটিশ শাসনের মাধ্যমে এ দেশের নদ - নদী, পুকুর, দিঘি, জলাশয়ের যে ধ্বংস যজ্ঞ ও দুর্দশা নেমে আসে তা আজও বজায় ও বহাল রয়েছে । দেশের নদ - নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় নাব্যতা হারিয়ে বর্ষা মৌসুমে বন্যা সমস্যা এবং শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাব ইত্যাদি আসলে ব্রিটিশদের সৃষ্ট দুষ্টু ক্ষত যা আজও এ দেশবাসী বয়ে বেড়াচ্ছে। জনস্বার্থ সংরক্ষণ কারী পাঁচ শতাধিক কালের মুসলিম শাসনের অপূর্ব নজির পুলবন্দি দফতর । ইতিহাস থেকে আমাদের সবার শিক্ষা নেয়া উচিত। মুসলিম শাসনামলে কিভাবে সাড়ে পাঁচ শো বছর ধরে আমাদের পূর্ব পুরুষরা এ দেশের নদ নদীর নাব্যতা এবং পানি সম্পদের সুষ্ঠু উন্নয়ন ও সার্থক ব্যবহার করে এ দেশে এমন এক অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটিয়েছিল যা বাংলাকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধনী ১০ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছিল । কিন্তু আফসোস ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্র কাননে মহাবিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধীনতার রবি অস্তমিত হলে বাংলার সেই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ও যবনিকাপাত ঘটে এবং পুলবন্দি দফতর সহ শত শত বছরের অনেক গৌরবোজ্জ্বল অর্জন সব কিছুই হারিয়ে যায় জনস্বার্থ পরিপন্থী ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের বুটের তলায়। নদ নদীর মৃত্যু দশা হচ্ছে ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া বঞ্চনা গঞ্জনা ও দুষ্টু শাসনের ভয়াল চিত্র ও উত্তরাধিকার। পলাশী দিবসের প্রাক্কালে নদী মাতৃক বাংলাদেশের নদ নদীর এ করুণ দশা নিয়ে ভাবতে হবে এবং ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের রেখে যাওয়া এ দুষ্টু ক্ষত সারাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে ।

বাংলায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য বাদী শাসনের শ্রেষ্ঠ অবদান বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তা হলো "এ দেশের নদ - নদীর বেহাল ও করুণ মৃত্যু দশা " !!! অথচ বেশ কিছু অজাত কুজাত ব্যক্তি বলে বেড়ায় যে ব্রিটিশ শাসন নাকি বাংলা তথা ভারতবাসীকে আধুনিক চিন্তা - চেতনা , জ্ঞান - বিজ্ঞান , প্রযুক্তি , শিল্প ও যন্ত্র সভ্যতা যেমন : রেল গাড়ী , টেলিগ্রাফ টেলিফোন , মোটরগাড়ি , বিদ্যুত ইত্যাদি উপহার দিয়েছে !!! তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলতে হয় যে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ প্রদত্ত এ কেমন আধুনিক জ্ঞান - বিজ্ঞান, প্রযুক্তি , শিল্প ও যন্ত্র সভ্যতা যা আমাদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে এবং আমাদের দেশের নদ - নদী, পানি সম্পদ ও ভূপ্রকৃতির বারোটা বাজিয়েছে ? ঐ সব ব্রিটিশ প্রেমিকরা কি এ সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দেবে ?!!

আজ কেন ব্রিটেন ও পাশ্চাত্যের পড়ুয়া পরিকল্পনা বিদ ও প্রকৌশলীরা ৫৫০ বছর ধরে সফল ও তৎপর পুলবন্দী দফতরের মতো পানি সম্পদ ও নদ - নদী ব্যবস্থাপনায় সাফল্য ও দক্ষতা দেখাতে পারছে না ? ওয়াপদা (WAPDA ) কেন পুলবন্দী দফতরের মতো বাংলাদেশের নদ - নদী , খাল-বিল, পুকুর, ডোবা, দিঘি , হাওর - বাওর ও জলাশয় গুলো সঠিক ও সুষ্ঠু সংরক্ষণ করতে সক্ষম হচ্ছে না এবং পুলবন্দী দফতরের মতো কর্মতৎপরতা ও দক্ষতা দেখাতে পারছে না ? অথচ পুলবন্দী দফতরে ব্রিটেনের ইঞ্জিনিয়ারিং বিদ্যা , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জানা কোন লোক ও বিশেষজ্ঞ ছিল না । পুলবন্দী দফতর দেশজ জ্ঞান , প্রযুক্তি ও শত শত বছরের অর্জিত ও পুঞ্জীভূত কার্যকর ব্যবহারিক অভিজ্ঞতা ও ঐতিহ্য কাজে লাগিয়ে এ দেশের পানি সম্পদ , নদ - নদী , খালবিল , পুকুর , দিঘি , ডোবা , জলাশয় , হাওর - বাওর সংরক্ষণ ও সংস্কার , পুল , সেতু , বাঁধ , রাস্তা - ঘাট , সড়ক ও যোগাযোগ পথ নির্মাণ ও সংস্কার ব্যবস্থাপনায় অভূতপূর্ব অসাধারণ উন্নতির স্বাক্ষর রেখেছিল যার নজির আজো বিদ্যমান নেই। ব্রিটিশরা নিজেদের সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ সংরক্ষণে বাংলা ও পাক - ভারতে রেল লাইন বসিয়েছিল এবং বিশেষ করে এ রেল লাইন এবং অপরিকল্পিত রাস্তা ও সড়ক নির্মাণ করে নদ - নদীর গতিপ্রবাহ এবং স্বাভাবিক জল প্রবাহে বাধা, বিঘ্নতা ও ব্যত্যয় সৃষ্টি করে পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে নদ নদীর নাব্যতা হ্রাস , জলাবদ্ধতা , প্রলয়ঙ্কারী বন্যা এবং শুকনা মৌসুমে পানির অভাব , ভূপ্রকৃতি ও পরিবেশের ধ্বংস সাধন , ব্রিটিশ আমলে এবং ব্রিটিশ পরবর্তী বছরগুলোতে ( পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে ) ব্রিটিশদের আদলে পরিবেশ প্রকৃতি বৈরী অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও কল কারখানা নির্মাণ করে নদ - নদীর পানি ও প্রকৃতি - পরিবেশের ব্যাপক দূষণ সৃষ্টি করা হয়েছে এবং যা আজও অব্যাহত আছে। পশ্চিমা জ্ঞান - বিজ্ঞান , প্রযুক্তি, শিল্প ও কৃষি আসলে মারাত্মক দূষণ ও ধ্বংস সাধন করে শুধু বাংলা নয় সমগ্র বিশ্বের জীব - জগৎ , প্রকৃতি ও পরিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেই যাচ্ছে অন্তত পক্ষে বিগত তিন শো বছর যাবৎ এবং এর ফলে পৃথিবী গভীরতর অসুখে আক্রান্ত এবং ধ্বংসের কিনারায় মানব জাতি ও সভ্যতা ! -- আর এ ব্যাপারে সতর্ক করছেন সচেতন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু কে শোনে কার কথা ?!! তথাকথিত শিল্প বিপ্লব দিয়ে সর্বাগ্রে ব্রিটেন এবং পরবর্তীতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ( পাশ্চাত্য ) এবং পশ্চিমাদের ঐ সর্বনাশা পথে চলে প্রাচ্য ( মূলত : চীন , জাপান , কোরিয়া ) বিশ্ব দূষণ , বিশ্ব উষ্ণায়ন ও প্রকৃতি - পরিবেশের ধ্বংস সাধনে লিপ্ত । তাহলে পশ্চিমাদের এ সব জ্ঞান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কি আসলে উপকারী জ্ঞান - বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ? অতএব সময় থাকতে বিশ্ববাসীকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে অপকারী এ সব জ্ঞান বিজ্ঞান , শিল্প ও প্রযুক্তির হাত থেকে নাজাত ও রেহাই পাওয়ার উদ্দেশ্যে ।

ওয়াপদা (WAPDA) কি তাহলে ১৯৪৭ সাল থেকে আজ পর্যন্ত ভেরেণ্ডা ভাজায় ব্যস্ত নাকি যে বাংলাদেশের নদনদীকে দুরাবস্থা ও মৃত্যুর পাঞ্জা থেকে নাজাত ( রেহাই ) দিতে পারছে না ?!! এত প্রকৌশলী ও জলপ্রকৌশলী এবং উন্নত যন্ত্রপাতি থাকতে নদ - নদীগুলোর এত চরম দুরাবস্থা হচ্ছে কিভাবে? তাহলে কেন এত উন্নত মানের প্রযুক্তি ও জ্ঞান - বিজ্ঞান থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা নিয়েও কেন এ দুরাবস্থা থেকেই যাচ্ছে ? ২৫০ - ৩০০ বছর আগে পুলবন্দী দফতরের প্রকৌশলী , কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের এই উন্নত প্রযুক্তি, প্রকৌশলী জ্ঞান ও যন্ত্রপাতি থাকলে তারা কী করত ? ২৫০ - ৩০০ বছর আগের প্রযুক্তি, প্রকৌশল বিদ্যা ও যন্ত্রপাতি দিয়ে তারা যে ব্যাপক বলিষ্ঠ ও গর্ব করার মত চোখধাঁধানো অবদান রেখেছিলেন এবং বাংলাকে তদানীন্তন বিশ্বের ১ম ১০ ধনী সমৃদ্ধ দেশের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন । কিন্তু এত সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে আজকের ওয়াপদা কেন তা পারছে না ? কারণ কী ?

১৭৫৭ সালের পরে দখলদার হানাদার লুটেরা দস্যু তস্কর ব্রিটিশ বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদী সরকার এই ঐতিহ্যবাহী সুদীর্ঘ ৫৫০ বছরের কার্যকর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন পুলবন্দী দফতরকে রাতারাতি বিলুপ্ত করে দেয়। ব্রিটিশ প্রশাসনের উচিত ছিল ৫ শতাব্দীর অধিক কালের অভিজ্ঞতাধারী এ প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখা । আর তা করলে বাংলার নদ নদীর এ মহা বিপর্যয় হত না । আর এই ২৬০ বছরে এই দফতর ও প্রতিষ্ঠান পূর্বের ৫৫০ বছরের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা এবং এর সাথে আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের যোগ হলে বিশ্বে সুবে বাংলা ( বাংলাদেশ ও অন্যান্য বাংলাভাষী অঞ্চল ) পানি ব্যবস্থাপনা ও পানি সম্পদ উন্নয়নে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ও অবদান রাখতে পারত। তথাকথিত মানবতাবাদী ( আসলে মানবতাবিরোধী ) গণতান্ত্রিক ( চরম স্বৈরাচারী অত্যাচারী ) সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ সরকার ও প্রশাসনের হিংস্র নখর ও থাবায় জনহিতকর , জনস্বার্থ সংরক্ষণকারী , বাংলার ভূগৌলিক প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষাকারী, বাংলার প্রগতি ও উন্নয়নের পথিকৃত পুলবন্দী দফতরের ইহোলীলা সাঙ্গ হয় । আসলে ২৩ জুন ১৭৫৭ সাল ইতিহাসের মহাবিপর্যয়ের দিন । এই পুলবন্দী দফতরেরও মৃত্যু হয় ঐ দিন , বাংলার নদ - নদীরও

মৃত্যু সূচিত হয় ঐ দিন এবং বাংলার ১১৭৬ মন্বন্তরের বীজ বপন হয় সে দিন যে মহা দুর্ভিক্ষে বাংলার এক তৃতীয়াংশ ( ১০ - ১১ মিলিয়ন ) বাসিন্দা মৃত্যুমুখে পতিত হয় । আর এ মহাদুর্ভিক্ষও এই রক্ত পিপাসু পাষাণ বেনিয়া ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদেরই সৃষ্টি যদিও ব্রিটিশরা এ দুর্ভিক্ষ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট দুর্যোগ বলে প্রচার করেছে । তাহলে প্রশ্ন : এত বড় দুর্ভিক্ষের নজির কেন হাজার হাজার বছর ধরে বাংলায় ছিল না? আর ব্রিটিশ শাসনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ( ১৯০ বছরের কালা শাসনামলে ) যত দুর্ভিক্ষের প্রাদুর্ভাব মুহুর্মুহু বাংলা ও ভারতে হয়েছে তারও কোনো নজির পূর্ববর্তী যুগ সমূহে ( অন্ততঃ গত ১০০০ বছরে বিশেষ করে ১২০৬ - ১৭৫৭ সাল পর্যন্ত - এই ৫৫১ বছরে ) দেখা যায় নি । আর ব্রিটিশ শাসনের শেষও হয়েছে দুর্ভিক্ষ দিয়েই । ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষে বাংলা সহ অত্র অঞ্চলে ৭ মিলিয়ন লোক মারা গিয়েছিল। শুধু বাংলায় মারা গিয়েছিল ১•৫ - ৩ মিলিয়ন । আর এ সব তথ্য হচ্ছে ব্রিটিশ প্রশাসন প্রদত্ত ! প্রকৃত সংখ্যা যে এর চাইতে বেশি তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না।

২৩ জুন ১৭৫৭ এক দু:সহ বেদনাময় দু:স্বপ্নের যুগ ও কালের সূচনা যার ভয়ানক রেশ ও নেতিবাচক প্রভাব আজও আমরা বহন করেই চলেছি ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .