۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ শামীম মির্জা
হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ শামীম মির্জা

হাওজা / পবিত্র কুরআনের দিকে দৃষ্টি স্থাপন করলে মানব জাতির অন্তরে শয়তানের প্রবেশ করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও উপায় বোঝা যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস না করলে শয়তানের প্ররোচনাকে প্রতিহত করা যায় না।

অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মুহাম্মদ শামীম মির্জা

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, পবিত্র কুরআনের দিকে দৃষ্টি স্থাপন করলে মানব জাতির অন্তরে শয়তানের প্রবেশ করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও উপায় বোঝা যায়। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস না করলে শয়তানের প্ররোচনাকে প্রতিহত করা যায় না।

শয়তান আদমকে (আ.) সেজদা না করে মহান আল্লাহর আদেশ অমান্য করে এবং এই কারণে তাকে আল্লাহর দরজা থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং এরপর থেকে শয়তান সমস্ত মানবজাতিকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার শপথ করে। এই অবাধ্যতা এবং শয়তানের শপথের কাহিনী সূরা কাহাফের ৫০ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে:

وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ كَانَ مِنَ الْجِنِّ فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ أَفَتَتَّخِذُونَهُ وَذُرِّيَّتَهُ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِي وَهُمْ لَكُمْ عَدُوٌّ بِئْسَ لِلظَّالِمِينَ بَدَلًا

(স্মরণ কর) যখন আমরা ফেরেশতাদের বলেছিলাম, ‘আদমকে সিজদা কর’, তখন ইবলিস ব্যতীত সকলেই সিজদা করল; সে ছিল জীন জাতির অন্তর্ভুক্ত এবং সে তার প্রতিপালকের আদেশ লঙ্ঘন করল। তবে কি তোমরা আমাকে ত্যাগ করে তাকে এবং তার বংশধরকে তোমাদের অভিভাবক রূপে গ্রহণ করবে? অথচ তারা তোমাদের শত্রু। এটা তো অবিচারকদের জন্য নিকৃষ্টতম প্রতিস্থাপন (শয়তানকে আল্লাহর স্থানে স্থাপন)।

এই ঘটনাটি পবিত্র কুরআনে একাধিকবার উল্লেখ করা হয়েছে; কারণ এটি স্পষ্টভাবে এবং অত্যন্ত জোর দিয়ে মানুষের সাথে শয়তানের শত্রুতাকে দেখায় যাতে শয়তানের শত্রুতা সম্পর্কে মানব জাতির কোন সন্দেহ না থাকে। শয়তানের এই শত্রুতার মূল উদ্দেশ্য মানুষকে আল্লাহর নির্ধারিত পথ থেকে বিচ্যুত করা; যেমনটি আমরা সূরা আ’রাফের ১৬ এবং ১৭ আয়াতে দেখতে পায়:

قَالَ فَبِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأَقْعُدَنَّ لَهُمْ صِرَاطَكَ الْمُسْتَقِيمَ؛ ثُمَّ لَآتِيَنَّهُمْ مِنْ بَيْنِ أَيْدِيهِمْ وَمِنْ خَلْفِهِمْ وَعَنْ أَيْمَانِهِمْ وَعَنْ شَمَائِلِهِمْ وَلَا تَجِدُ أَكْثَرَهُمْ شَاكِرِينَ

সে বলল, ‘যেরূপে আপনি আমাকে ভ্রষ্ট সাব্যস্ত করলেন সেরূপে আমি আপনার সরল পথে ওঁৎ পেতে বসে থাকব। অতঃপর তাদের সম্মুখ, পশ্চাৎ, ডান ও বাম দিক দিয়ে তাদের নিকট আসব এবং আপনি তাদের অধিকাংশকে কৃতজ্ঞ পাবেন না।’

প্রথম থেকেই শয়তান তার সমস্ত শক্তি ও হাতিয়ার দিয়ে মানুষের সাথে শত্রুতা শুরু করে এবং তার প্রথম শিকার ছিল হযরত আদম (আ.) ও হাওয়া; যারা শয়তানের প্ররোচনায় ধরা পড়েছিল:

َوَسْوَسَ لَهُمَا الشَّيْطَانُ لِيُبْدِيَ لَهُمَا مَا وُورِيَ عَنْهُمَا مِنْ سَوْآتِهِمَا وَقَالَ مَا نَهَاكُمَا رَبُّكُمَا عَنْ هَذِهِ الشَّجَرَةِ إِلَّا أَنْ تَكُونَا مَلَكَيْنِ أَوْ تَكُونَا مِنَ الْخَالِدِينَ

অতঃপর শয়তান তাদের উভয়কে কুমন্ত্রণা দিল যাতে তাদের লজ্জাস্থানগুলো যা তাদের থেকে আবৃত ছিল তাদের জন্য প্রকাশিত হয়ে যায় এবং বলল, ‘তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের উভয়কে এ বৃক্ষ হতে কেবল এজন্য নিষেধ করেছেন যে, (পাছে) তোমরা দু’জন ফেরেশতা হয়ে যাও অথবা (এখানে) চিরস্থায়ী হয়ে যাও।’

সূরা আ’রাফ, আয়াত: ২০

শয়তানের সাথে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে এটিই ছিল মানুষের প্রথম এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এর পরে বিভিন্ন ধরনের শয়তানী প্রলোভন মানুষের সামনে রাখা হয়, যাতে করে বিভিন্ন হাতিয়ার ও পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের ঈমানকে পরীক্ষা করা যায়।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .