۱۴ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲۴ شوال ۱۴۴۵ | May 3, 2024
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবরিনা রহমানের ঘাতক মার্কিন লোকটি সাবরিনাকে ছাড়াও আরো ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ।
বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবরিনা রহমানের ঘাতক মার্কিন লোকটি সাবরিনাকে ছাড়াও আরো ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ।

হাওজা / বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবরিনা রহমানের ঘাতক মার্কিন লোকটি সাবরিনাকে ছাড়াও আরো ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় বন্দুক হামলায় বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু https://www.dailyjanakantha.com/international/news/706899

এ খবর সংক্রান্ত মন্তব্য :

মার্কিন নাগরিকদের মাথা সত্যিই খারাপ । বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবরিনা রহমানের ঘাতক মার্কিন লোকটি সাবরিনাকে ছাড়াও আরো ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে । ঐ ৫ নিহতের মধ্যে ঘাতকের বাবা মাও আছে !!! মাযুরায় ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) নাগরিকদের মনো - নৈতিক অবস্থার এতটাই অবনতি হয়েছে যে দেশটির অধিবাসীরা নিজেদের পিতা মাতার সম্মান তো রক্ষা করেই না অনেক ক্ষেত্রে মারধর এমনকি তাদের হত্যা পর্যন্ত করে । যেমন : এই ঘাতক মার্কিন যুবকটি যে তার নিজের পিতামাতাকে হত্যা করেছে। (বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সাবরিনা) (

মাযুরা বা মার্কিন মুলুকে অতীতেও এমন ঘটনা ( পিতামাতাকে , পিতাকে বা মাকে হত্যা এবং পিতা-মাতা , পিতা বা মা কর্তৃক সন্তান হত্যার বহু ঘটনা ঘটেছে এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে । )

পবিত্র কুরআন মানুষকে শিখায় যে তোমরা তোমাদের পিতামাতাকে উফ্ পর্যন্ত বলো না .... । ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী পিতা-মাতাকে উহ্ উফ্ বলা অর্থাৎ বিরক্তি প্রকাশই হারাম ।

وَ قَضَیٰ رَبُّکَ أَلَّا تَعْبُدُوْا إِلَّا إِیَّاهُ وَ بِالْوَالِدَیْنِ إِحْسَانَاً . إِمَّا یَبْلُغَنَّ عِنْدَکَ الْکِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ کِلَاهُمَا فَلَا تَقُلْ لَّهُمَا أُفٍّ وَ لَا تَنْهَرْهُمَا وَ قُلْ لَّهُمَا قَوْلَاً کَرِیْمَاً ۲۳ . وَاخْفِضْ لَهُمَا جَنَاحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحْمَةِ وَ قُل رَّبِّ ارْحَمْهُمَا کَمَا رَبَّیَانِيْ صَغِیْرَاً . ۲۴ : سورة بني إسرائیل.

তোমার রব্ব ( প্রতিপালক ) নিশ্চিত বিধান ( হুকুম) প্রদান করেছেন যে, তাঁকে ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত ( উপাসনা) করবে না এবং পিতা-মাতার সাথে ইহসান ( সদাচার ) করবে ; যদি তাদের মধ্যে একজন বা উভয়েই তোমার সামনে বার্ধক্যে উপনীত হয় , তবে তাঁদেরকে উফ্ ( ন্যূনতম অসম্মানজনক বা বিরক্তি প্রকাশকারী কথা ) পর্যন্ত বলবে না , আর তাদের ধমক দিয়ে ( ও ভর্ৎসনা করে ) তাড়িয়ে দিও না এবং তাঁদের সাথে সম্মানসূচক (মমতাপূর্ণ ) কথা বলবে (২৩) । আর তাদের সামনে বিনয় - নম্র হয়ে নিজের কাঁধ নত করে দেবে এবং বলবে ( তাঁদের জন্য দুআ করতে থাকবে ) : হে আমার পরওয়ারদেগার ( প্রতিপালক ) তাঁদের উভয়ের প্রতি রহমত ( করুণা ) করুন , যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে তারবিয়ত (প্রতিপালন ) করেছিলেন ( ২৪ )। ( সূরা - ই বনী ইসলাঈল )

আর পিতা-মাতার সাথে চেঁচিয়ে জোরে কথা বলা , বেআদবী , গালমন্দ ও মারধোর এবং হত্যা করা বিল আওলাভীয়াহ্ আল - কাত্ব্ঈয়াহ্ [( بِالْأَوْلَوِیَّةِ الْقَطْعِیَّةِ ) বিবেকবুদ্ধি সমর্থিত ও অকাট্য সর্বাধিক অগ্রাধিকার নীতির ভিত্তিতে ] কত বড় জঘন্য অপরাধ ও হারাম !!! কিন্তু বস্তুবাদিতা , ধর্মহীনতা ও ভোগবাদিতার অতল গহ্বরে নিমজ্জিত এবং ইফফাত ( শালীনতা ) , আদব - কায়দা ( শিষ্টাচার ) , শরাফত (ভদ্রতা) ও আখলাক ( নীতিনৈতিকতা ) বর্জিত পাশ্চাত্য সমাজ - যার শীর্ষে রয়েছে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) , যুরা ( যুক্তরাজ্য ) ইত্যাদি - কিভাবে পিতা-মাতা ও মুরুব্বিদের সম্মান , ইযযত ও হক (অধিকার) রক্ষা করবে ? আসলে পশ্চিমা সমাজে পিতা-মাতা কেন্দ্রিক পরিবারের কোন গুরুত্ব আছে কি ? সুস্থ পরিবার পাশ্চাত্যে নেই । আর থাকলেও সেটার সংখ্যা অতি নগণ্য ও অত্যন্ত সীমিত । আর সুস্থ পরিবার না থাকলে মানুষ জনের মাথা তো খারাপ হবেই এবং সমাজে মানসিক রোগ , বিকৃতি ও সমস্যার ব্যাপক প্রসার ও প্রাদুর্ভাব হবেই । এখন মানসিক বিকৃতি , রোগ ও সমস্যা পশ্চিমা দেশগুলোয় মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করেছে এবং তা অব্যাহত আছে। পশ্চিমা দেশগুলোয় যেটুকু ভদ্র ও মার্জিত ব্যবহার ও আচার আচরণ করা হয় তা আসলে বস্তুবাদী স্বার্থ সিদ্ধি ও দুনিয়াবী কল্যাণ লাভ ও আদায়ের উদ্দেশ্যে। আর বস্তুবাদী স্বার্থ সিদ্ধি ও দুনিয়াবী কল্যাণ লাভ সম্ভব না হলেই ব্যস এদের মাথা খারাপ হয়ে যায় এবং মানসিক বিকৃতি , সমস্যা ও বীভৎসতা এদের ভিতর মাথা চারা দিয়ে ওঠে ; মানসিক সুস্থতা ও ভারসাম্য হারিয়ে এরা তখন সম্পূর্ণ অমানুষ , হিংস্র নরপশু ও জানোয়ারে পরিণত হয় । আর তাই এ ধরনের ভয়ঙ্কর ভয়াবহ অপরাধ যেমন: নিরীহ মানুষ হত্যা এমনকি নিজের পিতা-মাতাকে হত্যার মতো অপরাধেরও উদ্ভব হয় । আর বস্তাপচা এ পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ( অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা বলাই শ্রেয় ) বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন ভাবে ও কায়দায় ( যেমন: ইউনেস্কোর জঘন্য ২০৩০ কর্মসূচি যা পাশ্চাত্য কর্তৃক প্রণীত জাতিসমূহের সভ্যতা - সংস্কৃতির সম্পূর্ণ পরিপন্থী ভয়ঙ্কর ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা )

যারফলে এই অপয়া অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা যে দেশেই বিস্তার ও প্রসার লাভ করবে সে দেশে পশ্চিমা ধাঁচের মানসিক বিকৃতি , রোগ ও সমস্যারও ব্যপ্তি ও বিস্তার ঘটবেই । মানসিক রোগের চাইতেও মানসিক বিকৃতি অনেক অনেক ভয়ঙ্কর । অতএব এখন থেকে আমাদের এ ব্যাপারে অত্যন্ত সাবধান হতে হবে ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .