হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনি সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজের পর ইয়েমেন জুড়ে সংঘটিত এসব বিক্ষোভে মানুষ স্লোগান দিচ্ছিল যে, “ইসরাইলের জাহাজ রক্ষাকারী জোটকে আমরা ভয় পাই না।” তারা জাতিকে সমর্থন অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন।
সানা, তাইজ এবং মারিব-এ ব্যাপক জনগণের অংশগ্রহণে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
একইভাবে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির ‘সাবিনা’-এ গাজার জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের জন্য বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
জর্ডানেও হাজার হাজার মানুষ জুমার নামাজের পর রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে এবং ইবাদুর রহমান মসজিদ থেকে মার্কিন দূতাবাস পর্যন্ত মিছিল করেছে।
বিক্ষোভকারীরা ইহুদিবাদী শাসনের অপরাধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের নিন্দা জানিয়েছে এবং তারা গাজায় ইহুদিবাদী অপরাধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবিলম্বে পদক্ষেপের দাবি জানায়।
লেবাননের রাজধানীতেও মানুষ খালিদ বিন ওয়ালিদ মসজিদের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে এবং বৈরুতের সাকিয়া আল-জানজির এলাকায় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন করেছে।
উল্লেখ্য যে, ৭ই অক্টোবর থেকে গাজার বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের আগ্রাসনে ১৯ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন, যার মধ্যে একটি বড় সংখ্যক শিশু ও নারী।
৪৫ দিনের যুদ্ধের পর, ২৪ নভেম্বর ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, যার সময় বন্দীদের বিনিময় হয়েছিল।
৭ দিন পর, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি হয় এবং ১ ডিসেম্বর থেকে, ইহুদিবাদী সরকার আবার গাজা আক্রমণ শুরু করে।