۲۴ آذر ۱۴۰۳ |۱۲ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 14, 2024
লাইলাতুর রাগায়েবের ফজিলত এবং আমাল
লাইলাতুর রাগায়েবের ফজিলত এবং আমাল

হাওজা / রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতকে “লাইলাতুর রাগায়েব” বলা হয় এই রাতের জন্য আল্লাহর রাসূল (সা:) থেকে এমন একটি নামাজ বর্ণিত হয়েছে যার অনেক ফজিলত রয়েছে।

রিপোর্ট: হাসান রেজা

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, রজব মাসের শুক্রবারের প্রথম রাতকে লাইলাতুল রাগায়েব (আকাঙ্ক্ষার রাত) বলা হয় এই রাতের জন্য আল্লাহর রাসূল (সা:) থেকে এমন একটি নামাজ বর্ণিত হয়েছে যার অনেক ফজিলত রয়েছে।

তন্মধ্যে একটি হলো ওই নামাজের বরকতে অনেক গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং কবরের প্রথম রাতে, এই নামাজ, আল্লাহর ইচ্ছায়, একটি সুন্দর শরীর, একটি হাস্যময় মুখ এবং একটি পরিষ্কার এবং মিষ্টি জিহ্বা নিয়ে আসবে এবং বলবে, হে আমার প্রিয়, আপনার জন্য সুসংবাদ যে আপনি সমস্ত কিছু থেকে রক্ষা পেয়েছেন তখন সেই ব্যক্তি জিজ্ঞেস করবে, তুমি কে?

খোদার কসম, আমি তোমার চেয়ে সুন্দর ও মিষ্টি কথাবার্তা ও সুগন্ধী কাউকে দেখিনি, সে উত্তরে বলবে, আমিই তোমার নামাজ ও তার (সওয়াব) প্রতিদান যা তুমি অমুক মাসে অমুক বছরে অমুক রাতে পড়েছিলে আজ আমি তোমার অধিকার আদায় করতে এসেছি এবং এই আতঙ্ক এবং একাকীত্বের মধ্যে আমি তোমার আত্মার সাথী এবং দুঃখিত আগামীকাল (কিয়ামতে) যখন সুর ফুঁক দেওয়া হবে।

তখন ওই সময় তোমার মাথার ছায়া দেব তাই সুখী হও যে কল্যাণ কখনো তোমার থেকে দূরে থাকবে না এই বরকতময় নামাজের পদ্ধতী হল রজব মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার রোজা রাখা আর দিবাগত রাতে মাগরিব ও এশার মধ্যবর্তী সময়ে বার রাকাত নামাজ পড়তে হবে দুই-দুই রাকাত করে প্রতি রাকাতে সূরা আল-হামদের পর তিনবার 'ইন্না আনজালনাহ' এবং বারবার 'কুল হু আল্লাহ' পাঠ করতে হবে। তার পর সত্তর বার বলতে হবে:

اَللَّھُمَّ صَلِّ عَلٰی مُحَمَّدٍ النبیِ الاُمِّیِ وَ عَلیٰ آلِہٰ

অতঃপর সিজদায় গিয়ে সত্তর বার বলুন

سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلائِکةِ وَالرُّوحِ

অতঃপর সিজদা থেকে মাথা তুলে সত্তর বার বলুন

رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ وَتَجاَوَزْ عَمّاَ تَعْلَمُ اِنَّکَ اَنْتَ الْعَلِىُّ الاَعْظَمُ.

অতঃপর আবার সিজদায় গিয়ে সত্তর বার বলুন

سُبُّوحٌ قُدُّوسٌ رَبُّ الْمَلائِکةِ وَالرُّوحِ

অতঃপর নিজের প্রয়োজন চাইবে, ইনশাআল্লাহ তা পূরণ হবে।

মনে রাখতে হবে যে, রজব মাসে ইমাম আলী রেজা (আ:)এর জিয়ারতের জন্য যাওয়া মুস্তাহাব, কেননা এ মাসে ওমরাহ করার ফজিলতও বেশি এবং ওমরার ফজিলত হজের কাছাকাছি। রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, ইমাম জয়নুল আবিদীন (আ:) রজব মাসে ওমরাহ করতেন, কাবায় নামাজ আদায় করতেন, দিনরাত সেজদায় থাকতেন এবং সিজদা করার সময় এই দুআ উচ্চারণ করতেন।

عَظُمَ الذَّنْبُ مِنْ عَبْدِکَ فُلْیَحْسُنِ الْعَفْوُ مَنْ عِنْدِکَ

تبصرہ ارسال

You are replying to: .