۲۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۰ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 18, 2024
জাতিসংঘ
জাতিসংঘ

হাওজা / রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফল ভোগ করবে কয়েক প্রজন্ম। এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য মানুষ কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফল ভোগ করবে কয়েক প্রজন্ম। এই যুদ্ধের ফলে অসংখ্য মানুষ কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশন জানিয়েছে, ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে ১০ হাজার ৫৮২ জনের মারা যাওয়ার বিষয়টি তারা যাচাই করে দেখেছেন। এছাড়াও আরও অনেকে মারা যেতে পারেন। মৃতের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়বে। "

ইত্তেফাকের এ খবর সংক্রান্ত মন্তব্য : (জাতিসংঘ)

জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশনের মতে ইউক্রেনে দুবছরের যুদ্ধে ৪৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার মধ্যে মাত্র ১০৫৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। অথচ গাযায় পশ্চিমাদের প্রত্যক্ষ সর্বাত্মক রাজনৈতিক সমর্থন এবং ব্যাপক সামরিক ও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সাহায্য পেয়ে

ইসরাইল মাত্র সাড়ে চার মাসে ( ৭অক্টোবর ২০২৩ থেকে আজ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত ) ২.৪ মিলিয়ন গাজাবাসীর মধ্য থেকে প্রায় ৩০০০০ জনকে হত্যা করেছে যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী এবং ৭০ হাজারের অধিক মানুষকে আহত করেছে যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী। জাতিসংঘের ভলকার তুর্কের মতে দুবছরে মাত্র ১০৫৮০ বা এর কিছু বেশি ইউক্রেনীয় নিহত হওয়ার কারণে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ফল নাকি ভোগ করবে কয়েক প্রজন্ম অথচ ৭৬ বছর ধরে ইসরাইল ফিলিস্তীন অন্যায় ভাবে জবরদখল করে ও ১৫০০০০ লক্ষাধিক ফিলিস্তিনীকে হত্যা করে প্রায় গোটা ফিলিস্তিনী জাতকে দেশ থেকে উচ্ছেদ করে ও তাড়িয়ে দিলে এবং এখন গত সাড়ে চার মাসে ৩০০০০হাজার ফিলিস্তিনীকে হত্যা , ৭০০০০এর অধিক আহত এবং গাযার সম্পূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করলে কত

ফিলিস্তিনী প্রজন্ম কত শতাব্দী ধরে পাশ্চাত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় ইসরাইলের এ যুলুম , অন্যায় , অপরাধ, আগ্রাসন , আক্রমণ , হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের ফল ভোগ করবে ও ভুক্তভোগী থাকবে ?!!! এ কথা ফিলিস্তিনীদের ব্যাপারে কিন্তু জাতিসংঘ ( জংলীসংঘ? ) ঘূর্ণাক্ষরেও বলে নি ও বলছেও না । এখান থেকে পশ্চিমাদের এবং জাতিসংঘের ( জংলীসংঘ) দ্বিমুখী নীতি সুস্পষ্ট হয়ে যায় । ইউক্রেনের এ দুর্দশার জন্য রাশিয়া দায়ী নয় বরং পশ্চিমাদের,ন্যাটোর এবং বিশেষ করে মাযুরার ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরার ( যুক্তরাজ্য) প্রত্যক্ষ ইন্ধন , উস্কানি ও আস্কারা পেয়ে ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী কার্যকলাপ ও অপতৎপরতা শুরু করলে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হয় এবং দুবছর ধরে সেই সংঘাত ও সংঘর্ষ চলছে। তাহলে ইউক্রেন ও ফিলিস্তিন সমস্যার মূল হোতা ও নারোদ মনি হচ্ছে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) ।

আর ইউক্রেনে দু বছর যুদ্ধে ৪৪ মিলিয়ন জনগণের মধ্যে মাত্র ১০৫৮০ জন বা এর কিছু বেশি বেসামরিক জনগণের নিহত হওয়া নিতান্তই স্বাভাবিক এবং এ থেকে প্রমাণিত হয় যে রাশিয়া জল্লাদ নয় । কিন্তু ইসরাইল কর্তৃক মাত্র ২•৪ মিলিয়ন গাযা বাসীর মধ্যে মাত্র সাড়ে চার মাসে ৩০০০০ যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী তাদের নিহত হওয়া থেকে প্রমাণিত হয় যে ইসরাইল এবং তার পৃষ্ঠপোষকরা [পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)ও যুরা (যুক্তরাজ্য)] প্রকৃত পক্ষে ভয়ঙ্কর রক্তপিপাসু রক্তচোষা ভ্যাম্পায়ার ড্রাকুলা ও পাষাণ জল্লাদ ।

অতএব বিশ্বের উচিত পাশ্চাত্য বিশেষকরে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা ও ইসরাইলকে দায়ী ও তীব্র নিন্দা করা রাশিয়া এবং গাযার হামাস ও ফিলিস্তিনীদেরকে নয় ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .