۸ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۸ شوال ۱۴۴۵ | Apr 27, 2024
রমজান মাসের ৯ম দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রমজান মাসের ৯ম দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

হাওজা / হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে।

মজিদুল ইসলাম শাহ

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, রমজানের দুআ

اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لي فيهِ نَصيباً مِنْ رَحْمَتِكَ الْواسِعَةِ، وَاهْدِني فيهِ لِبَراهينِكَ السّاطِعَةِ، وَخُذْ بِناصِيَتي اِلى مَرْضاتِكَ الْجامِعَةِ، بِمَحَبَّتِكَ يا اَمَلَ الْمُشْتاقينَ.

হে আল্লাহ! এদিনে আমাকে তোমার রহমতের অধিকারী কর। আমাকে পরিচালিত কর তোমার উজ্জ্বল প্রমাণের দিকে। হে আগ্রহীদের লক্ষ্যস্থল। তোমার ভালোবাসা ও মহব্বতের উসিলায় আমাকে তোমার পূর্ণাঙ্গ সন্তুষ্টির দিকে নিয়ে যাও।

মূল কথা

এই দুআয় তিনটি মূল বিষয়ের দিকে নির্দেশ করা হয়েছে: (১) আল্লাহর বিস্তৃত করুণা (রহমত) (২) আল্লাহর প্রমাণ এবং দলিল (৩) আল্লাহর সন্তুষ্টিতে এগিয়ে যাওয়া।

দুআর বিশেষ বাক্য গুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১– أَللّهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ نَصيباً مِنْ رَحْمَتِكَ الْواسِعَةِ

আল্লাহর করুণা (রহমত) সম্পর্কে প্রচুর আলোচনা রয়েছে,নির্বিশেষে, এখানে (রহমত) করুণার কয়েকটি কোণ বা দিক সম্পর্কে আলোচনা করি:

ইমাম সাজ্জাদ (আ:) -কে বলা হল যে হাসান বসরী বলেন: আশ্চর্য হল সেই ব্যক্তি যিনি ত্রুটির অনেক কারণের সত্ত্বেও মুক্তির পথ অবলম্বন করে; ইমাম সাজ্জাদ (আ:) বলেছেন: আমি এই ভাবে বলি: "لَیْسَ الْعَجَبُ مِمَّنْ نَجَى کَیْفَ نَجَى، وَ اِنَّما الْعَجَبُ مِمَّنْ هَلَکَ کَیْفَ هَلَکَ مَعَ سِعَةِ رَحْمَةِ اللهِ؟!"

যে ব্যক্তি মুক্তির পথ অবলম্বন করে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই, বরং আশ্চর্যের বিষয় যে এই ব্যক্তি আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অসীম দুআ সত্বেও ত্রুটির পথ ধরে। (সাফিনাতুল বেহার খ. ১ পৃ. ৫১৭)...ঐশিক রহমত কখনও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি সহ ব্যক্তিকে হতাশ করে না...উভয় বিবৃতি দৃষ্টিকোণ বিবেচনা করুন এবং নিজেই কিছু পয়েন্ট বের করুন। করুণা (রহমত) আল্লাহর অনুগ্রহ যা আল্লাহর উপাসনা এবং স্মরণ থেকে আসে হযরত আলী (আ:) বলেছেন: জিকর এবং আল্লাহর স্মরণের সাথে করুণা (রহমত) নাজিল হয়;ببذل الرحمۃ تستنزل الرحمۃ (উয়ুনুল-হুকম-ওয়াল-মাওয়ায়েজা ১৯০)

২– وَ اهْـدِنى فـيهِ لِبَراهيـنِكَ السّـاطِـعَةِ:

বুরহান মানে তর্ক এবং প্রমাণ,আল্লাহ তায়ালা বলেন:

أَمِ اِتَّخَذُوا مِنْ دُونِهِ آلِهَةً قُلْ هٰاتُوا بُرْهٰانَكُمْ هٰذٰا ذِكْرُ مَنْ مَعِيَ وَ ذِكْرُ مَنْ قَبْلِي بَلْ أَكْثَرُهُمْ لاٰ يَعْلَمُونَ اَلْحَقَّ فَهُمْ مُعْرِضُونَ؛

না তারা আল্লাহ ব্যতীত অন্য উপাস্য গ্রহণ করেছে? বলে দাও তোমরা তোমাদের প্রমাণ নিয়ে এসো, এটি আমার সাথিদের এবং আমার আগে যারা ছিল তাদের সবার উল্লেখ আছে তবে তাদের বেশিরভাগই সত্য সম্পর্কে অজ্ঞ এবং তাই তারা প্রত্যাহার করছে। (সুরা আম্বিয়া ২৪)

রাগিব ইসফাহানী বুরহানকে দৃঢ়তম যুক্তি হিসাবে প্রমাণের অর্থ জানেন; (আল মুফরেদাত ফি গারিবুল কোরআন খ. ৪৫) এবং ‘বুরহানে সাতে' ও একও হুজ্জত এবং উজ্জল প্রমাণ এবং যেহেতু এটি নিজের মধ্যে খুব শক্তিশালী, অন্য পক্ষ যদি শত্রুতার আচরণ না করে তবে এটি মাথা নত করবেই এ কারণেই ইতিহাস সাক্ষি আছে যে নবী-রসূলগণের সামনে কোন মিথ্যাচারের কথা চলতো না একইভাবে ইমামগণ আল্লাহর জীবন্ত উজ্জল প্রমাণ ছিল যারা তাদের বিরোধীদের শত্রুতার কারণে নিপীড়িত হয়েছিলেন কারণ বিরোধীদের কাছে কোনও উপায় ছিল না...ইমাম বাকির (আ:) বলেছেন: বুরহান হলেন হযরত মু্হম্মাদ (স:) (মুস্তাদরাক সাফিনাতুল বেহার খ.১ পৃ. ৩৪৭) এবং হযরত আলী (আ:) বলেছেন: হযরত মু্হম্মাদ (স:) ছাড়া দৃঢ় ও শক্ত যুক্তিবিদ অন্য কেউ নেয়;انہ لم یکن للہ سبحانہ حجۃ فی ارضہ اوکد من نبینا محمد؛ একইভাবে গাদিরের দিনের জিয়ারতে হযরত আলী (আ:) এর গুনাবলী যা বর্ণনা হয়েছে তাতে আমরা পড়ি:انت الحجۃ البالغۃ و المحجۃ الواضحہ؛ মাওলা,আপনি শক্ত যুক্তি এবং স্পষ্ট প্রমাণ ... যুক্তি না মানার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে যেমন: দুনিয়া লোভী, রাষ্ট্রের লোভী,স্বার্থপরতা,হিজাব নাফস...

وَ خُذْ بِناصِيَتى اِلى مَرْضاتِكَ الْجامِعَةِ

এই বাক্যে একটি বাধ্যতামূলক উদ্দেশ্য রয়েছে; তবে এর অর্থ এই নয় যে আল্লাহ কাউকে তাঁর উপাসনা করতে বাধ্য করেন। বরং দুআর মাধ্যমে অনুরোধ করি যে আমাদের নিজেদেরকে আমাদের নিজের ইচ্ছার মালিক হতে দিও না যাতে করে আমরা কোন চিন্তাভাবনা না করে যেন কোথাও যেতে না পারি। কারণ আমরা অজ্ঞ, আমদের বুঝ শক্তি নেই...কারণ কোন ঘটনা ঘটে গেলে আমরা তার সমাধান খুজে পায় না শুধু আমরা চোখ মেলে দেখতে থাকি সুতরাং আল্লাহ তোমার সন্তুষ্টি যদি আমাদের সাথে থাকে তাহলে আমরা কখনো পথভ্রষ্ট হব না...শৈশবে বড়দের সতর্কবাণী অবশ্য খারাপ লাগে তবে সেই জিনিস পরে গিয়ে জীবনের প্রতিষেধক হয়ে উঠেপ্রকৃতপক্ষে, এই দুআর মাধ্যমে আমরা আল্লাহকে আমাদের মঙ্গল ও সদ্ব্যবহারের ক্ষেত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি যাতে সর্বদা এমন কাজে নিযুক্ত থাকি যা তাকে সর্বদাই সুখী করে তুলবে।

بِمَحَبَّـتِكَ يا أَمَـلَ الْمُشْـتاقينَ

এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার জন্য গাড়ীর যেভাবে খাদ্যের সরবরাহ প্রয়োজন একইভাবে এই দুনিয়ে থেকেও, হে আল্লাহ তোমার কাছে পৌঁছানোর জন্য আমার তোমার ভালবাসার দরকার...

ফলাফল

দুআর বার্তা: ১- আল্লাহর বিশাল (রহমতের) করুণার সুবিধার জন্য অনুরোধ;২- আল্লাহর স্পষ্ট ও আলোকিত প্রমাণের দিকে দিকনির্দেশ; ৩- আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এমন কিছুর প্রতি পদক্ষেপ নেওয়া; ৪- তাঁর বান্দাদের প্রতি আল্লাহর বন্ধুত্ব এবং ভালবাসা।

নির্বাচিত বার্তা: আল্লাহ তায়ালা দুটি (রহমতের) করুণার মালিক:

১-সাধারণ এবং পরম করুণা,যা অত্যন্ত বিস্তৃত এবং সমস্ত মানুষকে ঘিরে রেখেছে, তারা মুমিন হোক বা কাফির, ভাল হোক বা খারাপ وَ رَحْمَتی وَسِعَتْ کُلَّ شَیْءٍ এবং আমার রহমত সমস্ত বিষয়কে ঘিরে রেখেছে। (সুরা আরাফ ১৫৬) رَبَّنَا وَسِعْتَ کُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَةً وَ عِلْماًহে আমাদের পালনকর্তা তুমি তোমার অনুগ্রহ এবং জ্ঞান দিয়ে সমস্ত কিছুকে আবদ্ধ করছো। (সুরা গাফির ৭) এই সীমাহীন (রহমতের) করুণার বিরুদ্ধে কোনও প্রকারের ক্ষোভ নেই।

২- বিশেষ (রহমত) করুণা: এই ধরনের করুণা একটি বিশেষ ধরণের ক্রোধের বিপরীত এবং তা শুধুমাত্র ঈমানদার ও সৎকর্মশীলদের কাছে থাকে যা থেকে কাফের ও মুনাফিকরা বঞ্চিত হয়: إِنَّ رَحْمَتَ اللَّهِ قَرِيبٌ مِّنَ الْمُحْسِنِينَ নিঃসন্দেহে আল্লাহর করুণা সৎকর্মীদের নিকটবর্তী। (সুরা আরাফ ৫৬) وَ کانَ بِالْمُؤْمِنِينَ رَحِيم তিনি মুমিনদের প্রতি করুণাময়। দুআয়ে কমায়েলে আমরা পড়ি: بِرَحْمَتِكَ الَّتی وَسِعَتْ كُلُّ شَیء এবং আবু হামজা সোমালির দুআয় আমরা আরও বলি: اَيْنَ رَحْمَتَكَ الْواسِعَة (সুরা আহজাফ ৪৩)

تبصرہ ارسال

You are replying to: .