۲۲ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۳ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 11, 2024
সৌদি উন্নয়নমূলক প্রোজেক্ট সমূহে মানবাধিকার লংঘন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি ও কপটচারিতা।
সৌদি উন্নয়নমূলক প্রোজেক্ট সমূহে মানবাধিকার লংঘন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি ও কপটচারিতা।

হাওজা / সৌদি উন্নয়নমূলক প্রোজেক্ট সমূহে মানবাধিকার লংঘন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি ও কপটচারিতা

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি উন্নয়নমূলক প্রোজেক্ট সমূহে মানবাধিকার লংঘন এবং মানবাধিকার সংক্রান্ত পশ্চিমাদের দ্বিমুখী নীতি ও কপটচারিতা চোখধাঁধানো জৌলুস পূর্ণ জমকালো সৌদি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও প্রোজেক্ট সমূহের পেছনে রয়েছে হুমকি , বলপূর্বক উচ্ছেদ ও বিতাড়ন এবং রক্তপাতের বহু অব্যক্ত করুণ কাহিনী। (প্রোজেক্ট )

এক নিওম প্রোজেক্টেই শুধু ব্যয় হবে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এ প্রোজেক্ট করার জন্য হুওয়াইতাত গোত্রের ২০০০০ সদস্যকে বলপূর্বক উচ্ছেদ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ যাদের হদিস কেউ জানে না যে তারা কোথায় বসবাস করবে । এই নিওম প্রোজেক্টের জন্য গোত্রসমূহকে তাদের মাতৃভূমি ও বাসস্থান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে , জেলে পুরা হয়েছে তাদের অনেককে এমনকি মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে। সৌদি উন্নয়ন পরিকল্পনার বাহানায় জেদ্দায় হাজার হাজার স্থানীয় বাসিন্দাকে বেআইনি ভাবে উচ্ছেদ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মানবাধিকার লংঘনের জন্য বহু সৌদি প্রোজেক্ট তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমাদের সহযোগিতা, সমর্থন ও সহযোগিতা য় গণস্বার্থ বিরোধী এ সব প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

সৌদি শাসকবর্গ ও রাজতন্ত্র খুবই নিকৃষ্ট ও নিষ্ঠুর ভাবে হিজায ও আরব উপদ্বীপে ( যা আজ সৌদি আরব নামে পরিচিত) মানবাধিকার লঙ্ঘন করে । সৌদি শাসকরা দেশটির শোচনীয় মানবাধিকার পরিস্থিতির জন্য কুখ্যাত ( notorious ) ও দায়ী ।

দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে জনগণকে মেরে কেটে জোর করে উচ্ছেদ করে শত শত বিলিয়ন ডলার অর্থ ও সম্পদ শ্রাদ্ধ করে

নিওম ও পৃথিবীর প্রথম ড্রাগন বল থিম পার্কের মতো কাল্পনিক খামখেয়ালিপূর্ণ অনুৎপাদনশীল বিভিন্ন প্রোজেক্ট বানাচ্ছে সৌদি শাসকবর্গ পশ্চিমা ও জাপানী কোম্পানির মাধ্যমে । আর খুব শিগগিরই উদ্ভোধন হতে যাচ্ছে জাপানী কোম্পানি ড্রাগন বল নির্মিত পৃথিবীর প্রথম ড্রাগন বল থিম পার্ক সৌদিতে ।

পশ্চিমারা ইরান , রাশিয়া , চীন , কিউবা , উত্তর কোরিয়া, ভেনেজুয়েলার মত শত্রু মনোভাবাপন্ন দেশ ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আনে সবসময় এবং ইরানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বহু মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ দায়ের করে প্রায় সময় পাশ্চাত্য এবং নিষেধাজ্ঞা ঠুকে দেয় ও সব দেশের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ইরানের বিরুদ্ধে।

কিন্তু সৌদি শাসকবর্গ ও রাজতন্ত্র নিকৃষ্ট ও নিষ্ঠুর ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা সত্ত্বেও স্ট্র্যাটেজিক ও অতি গুরুত্বপূর্ণ শরীক হওয়ার জন্য পশ্চিমারা সৌদি শাসকগণ কর্তৃক নিকৃষ্ট পর্যায়ের মানবাধিকার লংঘনের বিষয় সবসময় এড়িয়ে যায় এবং কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করে না সৌদি সরকার ও শাসকদের বিরুদ্ধে । এ বিষয়টাই এ প্রতিবেদনে উল্লেখ

করা হয়েছে ।

আসলে পশ্চিমারাই প্রকৃত মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং সমগ্র বিশ্বজুড়ে তারাই প্রধানত মানবাধিকার লঙ্ঘন করে। সৌদি শাসকরা পশ্চিমাদের সাপোর্ট পেয়েই মানবাধিকার লংঘন করছে হিজায ও আরব উপদ্বীপে ( সৌদি আরব )। ইসরাইল পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ) ও যুরার সমর্থন ও সাহায্য নিয়ে ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে মানবাধিকার লংঘন , গণহত্যা সহ মানবতাবিরোধী সব ধরনের অপরাধ করে যাচ্ছে। আর গত ৬ মাস ধরে ইসরাইল পশ্চিমাদের বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) , যুরা (যুক্তরাজ্য) ফ্রান্স জার্মানির প্রত্যক্ষ মদদে এবং সর্বাত্মক সাহায্য , সহযোগিতা ও সমর্থন নিয়ে বেপরোয়া ভাবে গাযায় গণহত্যা সহ সব ধরনের যুদ্ধাপরাধ করছে।

এরপর কিভাবে পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)যুরা ( যুক্তরাজ্য ) বিশ্বকে মানবতার বাণী শুনায় ও মানবাধিকারের কথা বলে ?!!! এটা তো পশ্চিমাদের চরম মুনাফেকি। মানবতার শত্রু পশ্চিমারা গত তিন শতাব্দীর অধিক কাল ধরে এখন পর্যন্ত সমগ্র বিশ্ব জুড়ে সব ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং মানবাধিকার লংঘন করেই যাচ্ছে ।

তাই সবার উচিত পাশ্চাত্য বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) প্রভৃতিকে ভালো ভাবে চেনা এবং বিশ্ব মানবতার ভয়ঙ্কর শত্রু এ সব পশ্চিমা ডাকাত ও বিশ্ব লুটেরার বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .