মজিদুল ইসলাম শাহ
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১ তম রমজানের দুআ
اَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ دَليلاً، وَلا تَجْعَلْ لِلشَّيْطانِ فيهِ عَلَيَّ سَبيلاً، وَاجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَمَقيلاً، يا قاضِيَ حَوائِجِ الطّالِبينَ.
হে আল্লাহ! এ দিনে আমাকে তোমার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত কর। শয়তানদের আমার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দিওনা। জান্নাতকে আমার গন্তব্যে পরিণত কর। হে প্রার্থনাকারীদের অভাব মোচনকারী।
গুরুত্বপূর্ণ দিক
১) পথের নেতা ২) শয়তানের বেলায়েত ৩) জান্নাত হল চিরন্তন গন্তব্য।
দুআর বিশেষ বাক্য গুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
১-أَللّـهُمَّ اجْعَلْ لى فيهِ اِلى مَرْضاتِكَ دَليلاً:
একজন ব্যক্তি আল্লাহর পথ অনুসরণ করতে চায় কিন্তু সে জানে না যে তাকে কোন পথ অবলম্বন করা উচিত, তাই তার একটি যুক্তি এবং পথপ্রদর্শক প্রয়োজন; সাধারণভাবে বলতে গেলে মানুষের সামনে দুটি পথ রয়েছে: একটি পথ যা অনুসরণ করে আল্লাহ ও তাঁর সন্তুষ্টি ও খোদায়ী সন্তুষ্টি লাভ করা হয় এবং অন্যটি সেই পথ যা শয়তানের আবাস যা তাকে জাহান্নামের যোগ্য করে তোলে।
পথ বাছাই করা আমাদের উপর নির্ভর করে, পথ দেখানোর জন্য ঐশী হুকুম, রসূলগণের নির্দেশ, এবং ইমামগণের নির্দেশনা রয়েছে, তবুও যে ব্যক্তিকে নিজের কর্তৃত্ব দিয়ে পথ বেছে নিতে হবে সে নিজেও একজন মানুষ, কেউ কাউকে ভালো বা খারাপ হতে বাধ্য করেনি, কেননা কোন ব্যক্তিকে ভালো বা মন্দ হতে বাধ্য করা হলে শাস্তি ও পুরস্কার, জাহান্নাম ও জান্নাতের কোন অর্থই থাকত না, সূরা বালাদে বলা হয়েছে:
أَ يَحْسَبُ أَنْ لَنْ يَقْدِرَ عَلَيْهِ أَحَدٌ ﴿البلد، 5﴾ সে কি মনে করে যে তাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না;
يَقُولُ أَهْلَكْتُ مٰالاً لُبَداً ﴿البلد، 6﴾ সে বলে আমি অনেক মাল উড়িয়ে দিয়েছি;
أَ يَحْسَبُ أَنْ لَمْ يَرَهُ أَحَدٌ ﴿البلد، 7﴾ সে কি মনে করে যে তাকে কেউ দেখেনি
أَ لَمْ نَجْعَلْ لَهُ عَيْنَيْنِ ﴿البلد، 8﴾ আমি কি তার জন্য দুটি চোখ বানাইনি?
وَ لِسٰاناً وَ شَفَتَيْنِ ﴿البلد، 9﴾ আর একটা জিভ আর দুই ঠোঁট?
وَ هَدَيْنٰاهُ اَلنَّجْدَيْنِ ﴿البلد، 10﴾ এবং আমি তাকে উভয় পথ দেখিয়েছি
فَلاَ اِقْتَحَمَ اَلْعَقَبَةَ ﴿البلد، 11﴾ কিন্তু তিনি কঠিন উপত্যকা (নেকির) পাড়ি দেননি
وَ مٰا أَدْرٰاكَ مَا اَلْعَقَبَةُ ﴿البلد، 12﴾ আর তুমি কি জানো সেই কঠিন ঘাট কি ?
সূরা ইনসানে বলা হয়েছে: إِنّٰا هَدَيْنٰاهُ اَلسَّبِيلَ إِمّٰا شٰاكِراً وَ إِمّٰا كَفُوراً﴿الإنسان، 3﴾
নিশ্চয় আমি তাকে (হেদায়েত) পথ দেখিয়েছি, সে কৃতজ্ঞ হোক বা (কুফরানে নেয়ামত) অবিশ্বাসী হোক।
সঠিক পথ ও উত্তম পথ অবলম্বন করলে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, কিন্তু এ পথে আমাদের একটি দলিল ও পথপ্রদর্শক প্রয়োজন, যাকে হুজ্জাত নামে স্মরণ করা হয়, এবং দলিল ও প্রমান দুই প্রকার: হয় অভ্যন্তরীণ হবে বা বাহ্যিক; কারণ হল অভ্যন্তরীণ বুদ্ধি যা ঈশ্বর মানুষকে দিয়েছেন, বিশ্বজনীনকে বোঝার ক্ষমতা দিয়ে মানুষ অন্য প্রাণীর সাথে বৈষম্য করতে পারে।
অভ্যন্তরীণ প্রমাণ হল (আকল) বুদ্ধি যা আল্লাহ মানুষকে দিয়েছেন যে বিশ্বজনীনদের বোঝার শক্তিতে মানুষ নিজেকে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে, বুদ্ধি হল অভ্যন্তরীণ প্রমাণ যে আল্লাহ প্রতিটি মানুষের উপর অর্পণ করেছেন এবং এটি মানবজাতির উপর আল্লাহর প্রথম (হুজ্জাত) প্রমাণ। যদি এই অভ্যন্তরীণ এবং বাতেনি প্রমাণ না থাকে বাহ্যিক প্রমাণও কাজ করবে না।
ইমাম মূসা কাজীম (আ.) বলেন:
يَا هِشَامُ إِنَّ لِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حُجَّتَيْنِ حُجَّةً ظاہرةً وَ حُجَّةً بَاطِنَةً فَأَمَّا الظاہرةُ فَالرُّسُلُ وَ الْأَنْبِيَاءُ وَ الْأَئِمَّةُ ع وَ أَمَّا الْبَاطِنَةُ فَالْعُقُول[1]۔
এই দুটি যুক্তি আপনার কাছে না রাখলে আপনি কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন না। আমাদের যদি কখনো অন্ধকারে হাঁটতে হয়, আমাদের একটি প্রদীপ জ্বালাতে হবে যাতে পথ দেখা যায়, কিন্তু এই প্রদীপ আমাদের হাত ধরে আমাদের গন্তব্যে নিয়ে যাবে না, তাই আমাদের নিজেদেরকে চলতে হবে।
বুদ্ধিও একটি প্রদীপের মতো যা পথকে আলোকিত করে এবং নবী, রাসুল, ইমামগণ এই পথের পথপ্রদর্শক, তাদের অনুসরণ করলে আমরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারব। ফলস্বরূপ, খোদায়ী ইচ্ছা অর্জন কেবল অভ্যন্তরীণ প্রমাণ অর্থাৎ বুদ্ধি এবং বাহ্যিক প্রমাণ অর্থাৎ নবী, রাসুল এবং ইমামগণকে অনুসরণ করেই অর্জিত হতে পারে।
২- وَ لا تَجْعَلْ لِلشَّيْطانِ فيهِ عَلَىَّ سَبيلاً:
শয়তানের বয়স মানবতার সমগ্র ইতিহাসের সমান, কোটি কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিজ্ঞতা তার আছে, সে বড় বড় তপস্বীদের বিভ্রান্ত করেছে, কেউ যদি না জানে তার বনী ইসরাইলের ইতিহাস খোঁজা উচিত। শয়তান সমগ্র জাতিকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করেছে।
تَاللّٰهِ لَقَدْ أَرْسَلْنٰا إِلىٰ أُمَمٍ مِنْ قَبْلِكَ فَزَيَّنَ لَهُمُ اَلشَّيْطٰانُ أَعْمٰالَهُمْ فَهُوَ وَلِيُّهُمُ اَلْيَوْمَ وَ لَهُمْ عَذٰابٌ أَلِيمٌ؛
শপথ আল্লাহর, তোমার পূর্ববর্তী জাতিদের নিকট (বহু রসূল) প্রেরণ করেছিলাম। কিন্তু শয়তান তাদের ক্রিয়াকর্মকে শোভন করে প্রসর্শন করেছিল। সুতরাং সে আজও তাদের অভিভাবক এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক শাস্তি।[2]
শয়তান কোন বাহ্যিক উপদেষ্টা হিসেবে মানুষের কাছে আসে না, কিন্তু সে মানুষের মনে প্রবেশ করে এবং তার চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে তাকে সে যা করে তাই করতে বাধ্য করে, যেন সে যা করেছে তাই করছে।
উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির অন্য ব্যক্তির প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ থাকে, সেই সময় শয়তান তার চিন্তাধারায় প্রবেশ করে এবং তাকে এমনভাবে প্রভাবিত করে যে সে মনে করে যে তার চিন্তাভাবনা একটি প্রকৃত চিন্তা। এই হল শয়তানী দৃষ্টি, সেই সময় যখন মানুষ জানতে পারবে যে আমি শয়তানের হস্তক্ষেপে এভাবে ভাবতে শুরু করেছি, তখন যদি সে নিজেকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচিয়ে নায় তাহলে ভালো আর যদি নিজেকে বাঁচাতে না পারে তাহলে ধ্বংস অনিবার্য, সে আমাদের দেখেন কিন্তু আমরা তাঁকে দেখতে পারি না, সে আমাদের দুর্বলতা জানেন, আল্লাহর সাহায্যেই আমরা শয়তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারি, যে ব্যক্তি শয়তানকে দেখে এবং শয়তান তাকে দেখতে পায় না - অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ও তায়ালা, মহান আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের পথ সম্পর্কে অবহিত ও সতর্ক করেছেন, আল্লাহ বলেছেন যে, শয়তানের কোন ক্ষমতা নেই মানুষের উপর যে তাকে কোন কাজ করতে বাধ্য করবে।
যাইহোক, যেহেতু মানুষ স্বেচ্ছায় শয়তানের আনুগত্য স্বীকার করে, কেউ তার পাপের জন্য শয়তানকে দায়ী করতে পারে না:
وَ قٰالَ اَلشَّيْطٰانُ لَمّٰا قُضِيَ اَلْأَمْرُ إِنَّ اَللّٰهَ وَعَدَكُمْ وَعْدَ اَلْحَقِّ وَ وَعَدْتُكُمْ فَأَخْلَفْتُكُمْ وَ مٰا كٰانَ لِي عَلَيْكُمْ مِنْ سُلْطٰانٍ إِلاّٰ أَنْ دَعَوْتُكُمْ فَاسْتَجَبْتُمْ لِي فَلاٰ تَلُومُونِي وَ لُومُوا أَنْفُسَكُمْ مٰا أَنَا بِمُصْرِخِكُمْ وَ مٰا أَنْتُمْ بِمُصْرِخِيَّ إِنِّي كَفَرْتُ بِمٰا أَشْرَكْتُمُونِ مِنْ قَبْلُ إِنَّ اَلظّٰالِمِينَ لَهُمْ عَذٰابٌ أَلِيمٌ؛
যখন সমস্ত বিষয় নিস্পত্তি হয়ে যাবে তখন শয়তান বলবে, আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেন এবং তাঁর প্রতিশ্রতি সত্য এবং আমিও তোমাদের কিছু প্রতিশ্রতি দিয়েছিলেম, কিন্তু আমি তোমাদের সাথে প্রতিশ্রতি ভঙ্গ করেছি। তবে তোমাদের ওপর তো আমার কোন আধিপত্য ছিল না। আমি কেবল তোমাদের আহ্বান করেছিলাম; আর তোমরা তা গ্রহণ করেছিলে। সুতরাং তোমরা আমাকে তিরস্কার কর না; বরং নিজেদের তিরস্কার কর। আজ না আমি তোমাদের সাহায্য করতে পারি, আর না তোমরা আমাকে সাহায্য করতে পার, তোমরা যে পূর্বে আমাকে (আল্লাহর সাথে) অংশী করেছিলে আমি তা অস্বীকার করছি। নিশ্চয় যারা অবিচার তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্ত্তদ শাস্তি। [৩]
যে শয়তানকে এড়াতে চায় তাকে পাপের প্রথম ধাপে নিজেকে থামাতে হবে:
وَ إِمّٰا يَنْزَغَنَّكَ مِنَ اَلشَّيْطٰانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللّٰهِ إِنَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ ﴿الأعراف، 200﴾
আর যদি শয়তানের পক্ষে হতে কোন প্ররোচনা তোমাকে প্রলুব্ধ করে, তবে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা কর; নিশ্চয় তিনি সবডশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
إِنَّ اَلَّذِينَ اِتَّقَوْا إِذٰا مَسَّهُمْ طٰائِفٌ مِنَ اَلشَّيْطٰانِ تَذَكَّرُوا فَإِذٰا هُمْ مُبْصِرُونَ ﴿الأعراف، 201﴾
নিশ্চয় যারা আত্মসংযমী তাদের যখন শয়তানের প্ররোচনা স্পর্শ করে তখন তারা (আল্লাহকে) স্মরণ করে এবং তৎক্ষনাৎ তাদের চোখ খুলে যায়।
وَ إِخْوٰانُهُمْ يَمُدُّونَهُمْ فِي اَلغَيِّ ثُمَّ لاٰ يُقْصِرُونَ ﴿الأعراف، 202﴾
তাদের (অবিশ্বাসীদের) ভাইয়েরা তাদের ভ্রষ্টতার দিকে টেনে নিয়ে যায়, অতঃপর তারা (এ কত্রে) কোনরূপ শিথিলতা দেখায় না।
শয়তান অবিলম্বে একজন মুসলমানকে কাফের হতে বলে না কারণ আমি তোমাকে জাহান্নামে নিয়ে যেতে চাই, বরং এর পদ্ধতি হলো গোপনে এবং ধীরে ধীরে একজন মানুষকে ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। এ কারণেই যারা আল্লাহকে ভয় করে শয়তান তাদের আঘাত করলে সতর্ক হয়ে যায়। যেমনটি এই আয়াতে বলা হয়েছে। কিন্তু যারা তাঁর আনুগত্য করে, শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে এবং তারা সে পথ থেকে বিমুখ হয় না।
৩-وَ اجْعَلِ الْجَنَّةَ لى مَنْزِلاً وَ مَقيلاً:
"مقیل" ' قیلولہ' থেকে নেওয়া হয়েছে যার অর্থ দুপুরের পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম, যেমনটি সূরা ফুরকানে বলা হয়েছে: أَصْحٰابُ اَلْجَنَّةِ يَوْمَئِذٍ خَيْرٌ مُسْتَقَرًّا وَ أَحْسَنُ مَقِيلاً
সেদিন জান্নাতবাসীদের আশ্রয়স্থল হবে উৎকৃষ্ট এবং বিশ্রামস্থলও হবে মনোরম। [৪]
দুআর এই তৃতীয় অংশটি প্রথম দুটি দুআর ফল, অর্থাৎ যখন সঠিক প্রমাণ এবং ঐশী নির্দেশনা অনুসরণ করা হবে আর শয়তানকে নিজের উপর আরোপিত করতে দেওয়া হবে না, জান্নাতে প্রবেশ করা এবং তাতে স্থান লাভ করা এবং তাতাে অবস্থান ও বিশ্রাম নিলে এ সকল কিছুই অর্জিত হবে।
৪-يا قاضِىَ حَوآئِجِ الطّالِبينَ:
হে ভিক্ষুকদের চাহিদা পূরণকারী, আমাকে আপনার সন্তুষ্টির দিকে পরিচালিত করুন এবং শয়তানকে আমার উপর আরোপিত করতে দেবেন না।
ফলাফল
দুআর বাণী: ১- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ২- শয়তান থেকে দূরত্ব ৩- জান্নাত লাভ ৪- চাহিদা গ্রহণ।
নির্বাচিত বার্তা: এক ব্যক্তি ইমাম আলীকে (আ.) বললেন: আল্লাহ বলেছেন আমার কাছে দুআ করতে যাতে আমি তা গ্রহণ করতে পারি, তাহলে আমরা দুআ করলেও তা কবুল হয় না কেন ?
ইমাম বললেন: কারণ তোমাদের অন্তর আটটি স্থানে বিশ্বাসঘাতকতা করে:
১- আল্লাহকে জেনে সেই ভাবে যে ভাবে জানা উচিত তাঁর হক্ব আদায় করে না।
২- আল্লাহ নবীর (সা.) উপর ঈমান আনা সত্ত্বেও কার্যত তাঁর জীবন বিধান ও সুন্নাতের বিরোধিতা করছে।
৩- আল্লাহর কিতাব তিলাওয়াত করে কিন্তু তা অনুসরণ করে না।
৪- বলে যে আমরা জাহান্নামের আগুনকে ভয় পাই, কিন্তু পাপের মাধ্যমে সেখানেই যায়।
৫- বলে যে আমারা জান্নাতে যেতে চায়, কিন্তু এমন কিছু করে যা সেখান থেকে দূরে নিয়ে যায়।
৬- আল্লাহর নেয়ামত থেকে উপকৃত হতে চায় কিন্তু তাঁর শকরিয়া আদায় করে না।
৭- আল্লাহ বলেছেন যে শয়তান তোমাদের শত্রু, তাকে শত্রু হিসাবে রাখ, আর তোমরা জিহ্বা দিয়ে শয়তানকে অভিশাপ দাও কিন্তু বাস্তবে তার আনুগত্য করো।
৮- মানুষের দোষ সামনে রাখ আর নিজের দোষ থেকে চোখ বন্ধ করে রাখো এবং ফলস্বরূপ তোমরা এমন কাউকে দোষারোপ কর যার থেকে তোমরা নিজেরাই বেশি দোষের যোগ্য।
এমন অবস্থায় তোমাদের দুআ কিভাবে কবুল হবে যখন তোমারা নিজ হাতে এর কবুলের দরজা বন্ধ করে দিয়েছ?
তাকওয়াকে নিজের মূলমন্ত্র কর, নিজের কাজগুলি সংশোধন কর এবং যা ভাল তা কর এবং যা ভুল তা নয়, যাতে আল্লাহ তোমাদেরর প্রার্থনাকে কবুলের সম্মান দান করেন [5]।
[১] – কাফি, খণ্ড ১, পৃ. ১৬
[২] – সুরা-নাহল, ৬৩
[৩] – সুরা ইব্রাহিম, ২২
[৪] – সুরা ফুরকান, ২৪
[৫] – বিহারুল-আনওয়ার, খণ্ড ৯৩, পৃ. ৩৭৬ এবং ৩৭৭