۲۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۰ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 18, 2024
হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়ে
হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়ে

হাওজা / ইসরাইল হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়ের তিন সন্তান ও নাতি - নাতনীদের হত্যা ও শহীদ করে ভাবছে হামাস প্রধানকে তীব্র মর্মবেদনা, শোক ও কষ্টে ফেলে দিয়েছে এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতাদের ঘাবড়ে দিয়েছে ও ভীত সন্ত্রস্ত করেছে।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ফিলিস্তীন , লেবানন, ইরাক , ইয়ামান ও ইরানের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধা ও সংগ্রামীদের জীবন এমনই। তাদের ও তাদের পরিবার - পরিজন , স্ত্রী , পুত্র , কন্যা , নাতি নাতনী, ভাই - বোন ও ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজন সবার আগে উৎসর্গ্য হন সংগ্রামের পথে। শুধু মুখে মুখে বড় বড় কথা নয় বাস্তবে তারা নিজেদের জান , মাল , সম্ভ্রম সব কিছু উৎসর্গ করে জনগণের কাছে আত্মত্যাগ ও কুরবানীর আদর্শ উত্থাপন করেন বলেই জনগণও তাদের ভালোবাসে ও তাদের পথ ও আদর্শ গ্রহণ করে । গাযার জনগণ দেখতে পাচ্ছে যে গাযার ৩৩০০০ শহীদের কাফেলায় হামাস ও ফিলিস্তিনী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতাদের ঘনিষ্ঠ নিকটাত্মীয় ও আপনজনেরাও রয়েছেন।

গতকাল ঈদুল ফিতরের দিনে ইসরাইলী বোমাবর্ষণে ইসমাঈল হানিয়ার তিন সন্তান ও নাতি - নাতনীদের শাহাদাত ফিলিস্তিনী ও গাজাবাসীদের মুক্তি ও আযাদীর সংগ্রামকে বিজয়ী ও আগ্রাসী পিশাচ ইসরাঈলী হিংস্র হায়েনা রক্তপিপাসু পশুদের পরাজয় , ধ্বংস ও বিলুপ্তির অতল গহ্বরে নিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। ঈদুল ফিতরের দিনে

হানিয়েহ পরিবারের শাহাদাত মুবারক।

স্মর্তব্য : ইরান , লেবানন, ফিলিস্তীন , ইরাক , ইয়ামানে শাহাদাত বরণ উপলক্ষে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন না করে অভিনন্দন ও কনগ্রাচুলেশন জানান হয় । কারণ শহীদান শাহাদাত বরণের মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদাকর জীবন লাভ করে চিরঞ্জীব হন এবং মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রিযক ও জীবিকা প্রাপ্ত হন । অভিনন্দন বাণীতে বলা হয় : " হানীয়ান লাকাশ শাহাদাহ্ ইয়া শাহীদ্ ! ( হে শহীদ তোমার জন্য শাহাদাত মধুর হোক ) ।"

ইসরাইল হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়ের তিন সন্তান ও নাতি - নাতনীদের হত্যা ও শহীদ করে ভাবছে হামাস প্রধানকে তীব্র মর্মবেদনা, শোক ও কষ্টে ফেলে দিয়েছে এবং প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতাদের ঘাবড়ে দিয়েছে ও ভীত সন্ত্রস্ত করেছে। পিতার কাছে সন্তান হারানোর কষ্ট ও বেদনা অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু ইসরাইল এ জঘন্য কাজ করে হামাস প্রধান ইসমাঈল হানিয়েকে এবং অন্যান্য নেতাকে মোটেও টলাতে ও বিচলিত করতে পারবে না বরং তাদেরকে মুক্তি , স্বাধীনতা ও সংগ্রামের পথে তাদেরকে আরো অধিক দৃঢ়পদ এবং তাদের সংকল্পকে আরো অধিক শক্তিশালী করবে। আর মযলূম ফিলিস্তীনী জনগণ , গাজাবাসী এবং ফিলিস্তীনী মুক্তি যোদ্ধা ও মুজাহিদদেরকে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যোগাবে । কারণ এটা হচ্ছে জিহাদ, বিজয় ও শাহাদাতের পথ । বীর ফিলিস্তীনী মুজাহিদদের জনপ্রিয় শ্লোগান : " ইন্নাহূ তূফানুল আকসা ইম্মা নাসর আওয়িসতিশহাদ ( নিশ্চয়ই এটা হচ্ছে তূফানুল আকসা হয় বিজয় নতুবা শাহাদাত। ) " আর এটাই হচ্ছে পবিত্র কুরআনে বর্ণিত ইহদাল্ হুসনায়াইন ( দুটো উত্তম ও অনুপম সুন্দর বিষয়ের একটি । ) আর ঐ উত্তম বিষয় দুটো হচ্ছে : ১. জিহাদে বিজয় ( নাসর ) ও ২. শাহাদাত। আর হামাস ( حَمَاس ) শব্দের অর্থ হচ্ছে উৎসাহ , অনুপ্রেরণা, বীরত্ব , উদ্দীপনা । সুতরাং গাজাবাসীদের এবং ফিলিস্তীনী মুজাহিদদের মধ্যে জিহাদ ও হামাস উভয়ের চেতনা ও জযবাহ বিদ্যমান ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .