۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী
কারবালা আমাদের ধর্মভীরু, ত্যাগী, বিনয়ী, মানবতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সরলতা, ঐক্যবদ্ধতা, একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা হতে শেখায়। কারবালা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

হাওজা / কারবালা আমাদের ধর্মভীরু, ত্যাগী, বিনয়ী, মানবতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সরলতা, ঐক্যবদ্ধতা, একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা হতে শেখায়। কারবালা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

রিপোর্ট: সৈয়দ জন মহম্মদ জায়দী

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের।

আসন্ন মহররম মাস। আমরা শীয়া ইসনা আশারি। আমাদের পরিচয় আমরা হোসায়নী। সুন্নাতে রাসূল (সা:) আদায় করি বলে মহররম শোক পালন করি। শুধু পালন করে গেলেই হবে না সাথে সাথে নিজেদেরকেও পরিবর্তন করতে হবে! মহররম হলো শোক প্রকাশ করার মাস, ও মন মানসিকতার আমুল পরিবর্তন করার মাস কিংবা এভাবেও বলা যায় মহররম মাস মানবতার শিক্ষা দেয়, ত্যাগী ও বিনয়ী এবং উদার মানসিকতা, সহিষ্ণুতা, ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তিত্ব হতে সাহায্য করে। তবে যারা শোক পালনের সাথে সাথে নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে পারেন বা পারবেন তারাই সঠিক দ্বীন ও সঠিক হুসায়নী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে। একাধারে কারবালা মানেই যেমন শোক শব্দটা বহন করে অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করেন। তাই কারবালাকে শুধুমাত্র শোক, আযাদারী,মাতাম, জুলুস, নিয়াজ বন্টন হিসাবে দেখলে ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালামের মিশন সম্পন্ন হয় না এর সাথে সাথে নিজেদের আচার আচারণ, ধর্মভীরুতা, নম্রতা, ভদ্রতা, ত্যাগী, মহব্বত ও সর্বশেষ মানবতা এই বৈশিষ্ট্য গুলিকে নিজের মধ্যে ধারণ ও ঈমান কে শক্ত করে নিজেদের মধ্যে অমানবিক, অমানসিক, অসামাজিক, বেঈমানীর মতো ক্রিয়াকলাপ থেকে নিজেকে দূরে রাখলে আসল কারবালাই বা হুসাইনী হতে পারবেন। যদি আযাদারী মজলিস মাতাম জুলুস করে গেলেন কিন্তু নিজের চলমান জীবনে হক্ব বাতিল, সত্য মিথ্যা, জালিমের প্রতিবাদ ও মজলুমের প্রতি দয়াবান, নম্রতা ভদ্রতা ত্যাগী হওয়ার বৈশিষ্ট্য গুলি বিরাজমান না হয় তাহলে ভাববেন ইমাম হুসাইন আলাইহিস সালাম আপনার প্রতি রাজী নয়, "কারবালা" র আসল হক্ব আপনি আদায় করতে সক্ষম হননি। সুতরাং শোকের দিন হিসাবে মহররম মাসকে পালন করুন তার সাথে কারবালা কে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে ফারশে আযা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের মধ্যে পরিবর্তন এনে পরিবারকে সমাজকে পরিবর্তন করলেই বা পরিবর্তন করার চেষ্টা করলে আসল আযাদার বা আসল হুসাইনী হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। সেই কারণে আমরা আমাদের সকলের সহিত সুমধুর সম্পর্ক স্থাপন, একে অপরের প্রতি মহব্বত, বিনয়ী, ত্যাগী হয়ে বিচ্ছেদ বিদ্বেষ অহংকার শত্রুতা কে ভুলে সমাজে হুসায়নী মিশন কে সফল করি। আসুন দুনিয়া কে দেখিয়ে দিই কারবালা আমাদের ধর্মভীরু, ত্যাগী, বিনয়ী, মানবতা, সহমর্মিতা, সহযোগিতা, সরলতা, ঐক্যবদ্ধতা, একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা হতে শেখায়। কারবালা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

ওয়াসসামাম-

تبصرہ ارسال

You are replying to: .