রিপোর্ট: হাসান রেজা
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক, আফগানিস্তান এবং অন্যান্য দেশের ছোট-বড় সব শহর ও গ্রামে ঈদের নামাজের জমায়েতের আয়োজন করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব ঈদের জামাতে জাতীয় নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এছাড়াও ফিলিস্তিন ও অধিকৃত কাশ্মীরের স্বাধীনতা এবং মুসলিম দেশগুলোতে রাষ্ট্রদ্রোহ ও দুর্নীতির অবসানের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ১০ই জিল-হিজ্জাহকে আল্লাহতায়ালা সকল মানুষের বিশেষ করে ইসলামের সন্তানদের জন্য একটি ঈদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এই দিনটি আমাদের খলিল খোদা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই দিনে, আল্লাহতায়ালা তাঁর নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর আন্তরিকতা ও বিশ্বাস পরীক্ষা করার জন্য এক কঠিন ও অনন্য পরীক্ষা নিলেন এবং তাঁর পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহর পথে কুরবানী করার নির্দেশ দিলেন।
হজরত ইব্রাহীম (আ.)ও এই কাজের কষ্ট সত্ত্বেও তাঁর পুত্র ইসমাঈলকে সর্বাত্মক আন্তরিকতার সঙ্গে আল্লাহর পথে কুরবানী করার সিদ্ধান্ত নেন, আল্লাহ নবী ইব্রাহিম (আ.)-এর আন্তরিকতা পরীক্ষা করে তাঁকে সাফল্যের সনদ দেন।
আর কোরবানির সময় তিনি গাইবী পথ থেকে একটি দুম্বা পাঠিয়ে হজরত ইব্রাহিমের কোরবানির উপায় জুগিয়েছিলেন।
এ ঘটনা প্রকৃতপক্ষে ইসলামের অনুসারীদেরকে নিঃস্বার্থ ও নিষ্ঠার শিক্ষা দেয় এবং আনুগত্য ও বন্দেগীর চেতনা শেখায়।
তদনুসারে, ইসলামের সন্তানেরা ইব্রাহিমী সীরাত অনুসরণ করে প্রতি বছর জিল-হিজ্জার ১০ তারিখে ঈদ উদযাপন করে।