হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান বলেছে, হিজবুল্লাহ যেকোনো শত্রুর হাত নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করতে সক্ষম। বিবৃতিতে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয় যে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়ালে ‘চূড়ান্ত পরাজিত’ পক্ষ হবে ইসরায়েল।
লেবাননে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা নিয়েছে ইহুদিবাদী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল। হামলা চালালে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ার করেছে হিজবুল্লাহ্ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। এই যুদ্ধ আশঙ্কার মধ্যেই গত শুক্রবার ইরানের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘে ইরান মিশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেছে, নিজেকে বাঁচাতে দখলদার ইসরায়েল সরকারের যেকোনো হঠকারী সিদ্ধান্ত এই অঞ্চলকে একটি নতুন যুদ্ধে নিমজ্জিত করতে পারে। এর ফলে লেবাননের অবকাঠামো ধ্বংস হতে পারে। পাশাপাশি ধ্বংস হতে পারে ১৯৪৮ সালের অধিকৃত অঞ্চলগুলোর অবকাঠামো।
বিবৃতিতে বলা হয়, নিঃসন্দেহে এ যুদ্ধে একটি পক্ষের চূড়ান্ত পরাজয় হবে। আর তারা হলো ইহুদিবাদী অবৈধ ইসরায়েলের শাসক গোষ্ঠী। হিজবুল্লাহর নিজেকে ও লেবাননকে রক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। সম্ভবত এই অবৈধ শাসকদের (ইসরায়েল) আত্মবিনাশের সময় এসেছে।
ইসরায়েল গত শুক্রবার ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহকে হুমকি দিয়েছে। ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, হিজবুল্লাহকে মোকাবিলা করার বিষয়ে তাঁরা শিগগির প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। মুক্তবিশ্বকে অবশ্যই ইরানের নেতৃত্বাধীন শয়তানের অক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরায়েলের পাশে নিঃশর্তভাবে দাঁড়াতে হবে। ইসরায়েলের যুদ্ধ অন্যদেরও যুদ্ধ।
হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ গত বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেন, লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলে ইসরায়েলজুড়ে তাঁরা রকেট ও ড্রোন হামলা চালানো হবে। ইসরায়েলের জল, স্থল, আকাশ কোথাও নিরাপদ স্থান থাকবে না।