۲۱ آذر ۱۴۰۳ |۹ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 11, 2024
ইরান
ড. আলীরেজা জাকানি ও হোসাইন কাজীজাদেহ

হাওজা / ইরানের প্রেসিডেন্ট সরে দাঁড়ালেন হোসাইন কাজীজাদেহ ও ড. আলীরেজা জাকানি।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ড. ইবরাহীম রাইসির অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদ 'প্রেসিডেন্ট' নির্বাচনের ঠিক আগের দিন (আজ ২৭ জুন) প্রার্থীতা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন জনপ্রিয় রক্ষণশীল (ইসলামি বিপ্লবপন্থী) নেতা ও রাজধানী তেহরানের মেয়র ড. আলীরেজা জাকানি! এর আগে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করেছেন একই মতাদর্শের আরেক জনপ্রিয় নেতা সৈয়দ আমির হোসাইন কাজীজাদেহ হাশেমি!

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে ড. আলীরেজা জাকানি তার অফিসিয়াল এক্স (টুইট) একাউন্টে লিখেন, ''আমি নির্বাচনী প্রতিযোগিতার আইনি সময়ের শেষ শেষ হওয়া পর্যন্ত লড়েছি, কিন্তু (আমার থাকার চেয়ে) শহীদ রাইসির পথের ধারাবাহিকতা থাকা আরও গুরুত্বপূর্ণ।

আমি সাঈদ জালিলি ও কালিবাফকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামি বিপ্লবী শক্তির ন্যায্য দাবিগুলো পূর্ণ করতে এবং রুহানির তৃতীয় সরকার গঠনে বাধা দিতে অটল থাকার আহবান জানাচ্ছি।

আমি (ইরানের) প্রিয় মানুষ এবং ভক্তদের প্রতি কৃতজ্ঞ জানাচ্ছি এবং আমি (নিন্দুকের) সমালোচনাকে ভয় পাই না।''

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থীতা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের নাম প্রত্যাহার করে আরেক প্রার্থী সাইয়্যেদ আমির হোসাইন কাজীজাদেহ হাশেমি বলেন, 'প্রার্থীদের মধ্যে যে সবচেয়ে বেশি যোগ্য, দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য যে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করতে পারবেন এবং সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবেন, আমরা অবশ্যই তাকে সাহায্য করব।"

উল্লেখ্য যে, গত নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তেও তিনি ড. ইবরাহীম রাইসিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছিলেন।

গত নির্বাচনে ড. রাইসিকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, "দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য গত নির্বাচনেও আমি জনাব সাইয়্যেদ রাইসিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়িয়েছি এবং তার সরকারকে সর্বাত্মক সমর্থন ও সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। এটাই দ্বীনি দর্শন। এই নির্বাচন তো সার্বিক কল্যাণের জন্য, না ক্ষমতা ও পদ প্রাপ্তির প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইসলাম ও ইসলামি বিপ্লবের নীতি তো এটা নয় যে আমরা ক্ষমতা লিপ্সু হবো!"

উল্লেখ্য যে, আগামীকাল ২৮ জুন, রোজ শুক্রবার ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইরানের সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্ট ড. ইবরাহীম রাইসির শাহাদাত ও তার যোগ্য উত্তরসূরী বাছাইয়ের কারণে এই নির্বাচনকে পূর্বের যেকোনো নির্বাচন থেকে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .